ঊর্ধ্বকমা এবং দ্বাদশ ডানা’র কবিতা । মাজুল হাসান
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ জুলাই ২০২২, ১০:১৭ পূর্বাহ্ণ, | ৪৮৬ বার পঠিত
পড়ো
সু, আমাকে পড়ো কোনো রকম পরিমার্জন ছাড়া
লালা-থুতু-আঁশটে গন্ধ সহ এই বেগানা শহর
আমার ডাকঘর; কোথাও কোনো শাখা নাই
আমাকে পড়ো অক্ষরের অধিক মেঘ মেদুরতায়
কু, আমাকে পড়ো কোনো রকম পরিমার্জন ছাড়া
আমি এক পুরুষ পরি। অশ্লীল, একা, স্বর্গবিচ্যূত
আমারও আছে ভগ্নডানা এবং স্তনবিষয়ক দুর্বলতা
কিশোর
প্রখর রোদে কিশোর নিজেই একটা স্বপ্ন
উল্টো পা’য়ে আসো লাল। তবে সাবধান,
কামভরে তাকিও না রূপসী ডবল ডেকার
সান্দ্র খুঁড়ে বের করো হল্কা
এতো যে তৃষ্ণা – অগভীর কুপের কাছে
খঞ্জনা ও মেঘস্খলন; প্রার্থনা; নিরর্থক?
হেটমুণ্ডু হও কিশোর, সমবয়সী খালাদের
উপহার দাও কচুরিপানা, তীব্র লোডশেডিং
শুধু সুপেয় ভেবে ডুব দিও না কুঁচকিতে
স্বপ্ন- ওখানে বন্ধ ঘড়ি; গোধূম কাস্পিয়ান…
কমলালেবু
প্রজাপতিটা স্বপ্ন দেখলো ও একটা মানুষ হয়ে গেছে
এখন শরীরে কোনো বর্ণালি নাই। পরাগ-চুম্বক নাই।
শুধু ৬ হাজার ৩শ ৫৬ দশমিক ৮ কিলোমিটার লম্বা
দুই দিকে প্রসারিত দুইটা হাত। হারিকিরি, তলোয়ার…
দু’ফালি দু’ফালি—পড়ে আছে আধ খাওয়া কমলালেবু
দ্বাদশ ডানা
রেডিও-টিভি আমার মন খারাপের খবর প্রচার করে না
ওরা সুকণ্ঠী ও স্ফীতবক্ষাদের আওতাধীন। বিপরীতে—
আমার মন খারাপ ফকিন্নি কিসিমের। দিনের পর দিন
গোছল করে না; করে না ছারপোশ। ধূলিমুখে তাই
মরুগোলাপের কথা ভাবি। মরুগোলাপ ধ্রুব-নক্ষত্র ঘেঁষা
এবং সত্য সাক্ষ্যদানকারী। জিজ্ঞেস করি ওদের—
কাকে হলে ভূপাতিত? কোথায় মেলে দ্বাদশ জান্তব ডানা?
বিমানবালা, আমি তোমায় ভালোবাসি; তুমি ক্যাপ্টেনের পিংপং
ঊর্ধ্বকমা
মাংসের ভেতর গেঁথে দিচ্ছি হাড়, বাড়ছে পাতাবাহার
পাতাবাহারের ডাল থেকে গজিয়ে ওঠে পাতাবাহার;
হাড় থেকে চুন ও বর্শা—আমার এক হাত করাত হয়ে
কেটে ফ্যালে অন্য হাত
বর্জিত পঙক্তিরা কাঁদে; একটা ফলা; একটা ঊর্ধ্বকমা
অসহ্য জঙ্গলে ফিরেঘুরে একটা পানপাতা-মুখ মনে পড়ে
উপরে নিটোল, ভেতরে রক্তাক্ত—তুখোড় যুদ্ধবাজ
অতএব কাম-ই কামরাঙা। লজ্জাস্থানে ক্ষয়িষ্ণু লাল
হাড় পিষে ছিটিয়ে দিচ্ছি ত্রস্ত শাদা।
পাখি তুমি পতাকার মতো ওড়ো