শেকড়ের রঙ । নাহিদা আশরাফী
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ নভেম্বর ২০২৩, ৪:২১ পূর্বাহ্ণ, | ৪২৬ বার পঠিত
—কোন কোন রঙ মিলে জীবনের রঙ তৈরি হয়, জানো তুমি ?
চমকে তাকালাম তেরো বছর বয়সী নাটালিয়ার দিকে। কৈশোর পার হয়নি। ছিপছিপে গড়নে আরো ছোট লাগে। ন’দশ বলে অবলীলায় চালিয়ে দেয়া যায়। ব্লন্ড চুল, গোলাপি আভার স্কিনে খুব অন্যরকম মায়া। এমন বাচ্চা মেয়ের মুখে এই প্রশ্ন বড্ড বেমানান লাগা উচিত ছিলো। কিন্তু কেন যেন লাগলো না। মনে হল, প্রশ্নটা খুব স্বাভাবিক ওর জন্যে। ওর বসবার ভঙ্গি বাড়ির প্রাচীন সদস্যদের মত, ওর পোশাকের রঙ কুয়াশার মত, ওর চোখ শুকিয়ে যাওয়া নদীর মত, ওর চুল মরুঝড়ে ডুবে যাওয়া কোন প্রাগৈতিহাসিক শহরের ছেঁড়া পতাকার মতো। হঠাৎ ওকে দেখলে মনে হবে মৃত পাতার উপর ধুসর কোন প্রজাপতি ধ্যানমগ্ন হয়ে আছে। কিন্তু তারপরও ওর থেকে চোখ ফেরানো যাবে না। কী একটা আছে এই মেয়েটির ভেতরে।
তখন বিকেল কেবল সোনালি ফ্রকে নিজেকে সাজিয়েছে। ইয়ারার দুই ধার বেয়ে পিঁপড়ের সারির মত অফিস ফেরত মানুষগুলো মেট্রো স্টেশনের দিকে ছুটছে। ছ’নম্বর ব্রিজটার কোল ঘেঁষে আমি আর নাটালিয়া দুটো ফিস ফ্রাই আর একটা সফট ড্রিংকস ও জিঞ্জার বিয়ার নিয়ে অলস ভঙ্গিতে বসে আছি বটে কিন্তু আমাদের মস্তিষ্কে চিন্তার আঁকিবুঁকি চলছে বেশ জোরেশোরেই।
—কই উত্তর দিলে না?
—আমার চেয়ে তুমিই বোধহয় ভালো জানো।
—জানি না বললে মিথ্যে বলা হবে। আর জানি বললে ভুল বলা হবে। তোমার ক্ষেত্রেও তাই। কিছু প্রশ্নের কোন উত্তর হয় না। কারণ প্রশ্নেরও কোন রঙ নেই।
—কী যে বলো তুমি! বড় অদ্ভুত লাগে।
—পৃথিবী দাঁড়িয়ে আছে কিসের উপর, জানো?
—জলের উপর
—জলের রঙ কী?
—জল বরাবরই রঙহীন। সবাই জানে।
—আমরাও তাই। এক নিরন্তর আলেয়ার পিছে ছুটছি। কী চাই আমরা জানি না, কী পাচ্ছি তার হিসাবও জানি না। আমাদের ডিমান্ড বাড়ছে। বাড়তে বাড়তে আকাশ ছুঁয়ে দিচ্ছে, এমনটা ভেবো না। আকাশ ছুঁয়েছে অনেক আগেই। এখন অনন্তে ধাবিত হচ্ছে। আমরা রঙের দুনিয়ায় প্রবেশ করে আরো রঙ হারাচ্ছি। আমাদের ভাবলেশহীন মুখ ঢেকে যাচ্ছে বিজ্ঞাপনে।
—বাবা গত দু’বছর আগে হার্ট এট্যাকে চলে গেছেন। আমি আমার আঠেরোর অপেক্ষা করছি। তারপর ফিরে যাবো আমার বাবার গ্রামে। আমার শেকড়ের কাছে। জানো তো, পাতা যতই সবুজ হোক ঝরে পড়ার ভয় থাকে। শেকড় হয়তো রঙহীন তবু আঁকড়ে আমুল বাঁচা যায়।
আমি চমকে তাকালাম। আস্তে করে বললাম, জানো শঙ্খ ঘোষ নামে আমাদের এক কবি আছেন। তাঁর কবিতায় আছে এমন কথা। নাটালিয়া জিজ্ঞাসার চোখ নিয়ে তাকালো। আমি অনুবাদ করে ওকে বলতেই ওর মুখে আলো খেলা করে উঠলো।
—আমি তো কবি নই। তাই হয়তো অমন গুছিয়ে বলতে পারলাম না। কিন্তু দ্যাখো! তার এই লাইনগুলোই আমি বোঝাতে চাইছি তোমায়।
—নাটালিয়া। তুমি মাত্র তেরো। আর উনি কত বড় কবি! তার অভিজ্ঞতা দিয়ে যা লিখেছেন তা তুমি এই বয়সেই ভাবছো। এটা বিস্ময়কর! অবশ্য তুমি যা আলোড়ন তুলেছো চারদিকে! আমি তো এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না, তোমার পাশে বসে আছি আমি। তোমার সাথে এই সবুজ ঘাসে, সোনালি বিকেল পার করছি। স্বপ্নের মত লাগছে!
—আমায় আলাদা ভাবছো কেন?
—ভাববো না বলছো! যে মেয়ে মাত্র তেরো বছর বয়সে অনলাইন মার্কেটিঙে এমন তোলপাড় তুলে দিতে পারে, একমাসে যার ইনকাম দুই থেকে তিন লাখ ডলার, পত্রিকার বিজনেস পাতায় আইকন হিসেবে যার ছবি ভাসে, পৃথিবীর তাবৎ বিজনেস পার্সোনালিটির কাছে যে এক অপার বিস্ময় তাকে আলাদা ভাববো না! বরং বলতে পারো আমি আমাকেই বিশ্বাস করতে পারছি না। এমন একজনের সাথে আমি পার্কে বসে কথা বলছি।
—তুমি ব্যতিক্রম। আমায় চিনতে পেরেছো। অধিকাংশ বললেও কম বলা হবে। সাধারণ আমিকে কেউই চিনতে পারে না বলা যায়। নির্দ্বিধায় আমি এখানে বসে আরবারি এফ্লোটের বর্ণিল জীবন দেখি। ইয়ারার বুকে নৌকাবাইচের নৌকাগুলো দেখি। মজার কথা বলি তোমায়, একদিন সানডে মার্কেটেও ঢুকেছিলাম। কেউ আমায় চেনেনি। আমারই বানানো খেলনাগুলো নিয়ে একটা শিশুকে খেলতে দেখলাম। আমি একটা হাতে তুলে নিতেই সে ছোঁ মেরে আমার হাত থেকে নিয়ে নিলো। একটা দোকানে ঢুকেছিলাম। আমার সব টিনি টয় ওরা বিক্রি করছে। আমি একটা ধরতেই রে রে করে তেড়ে এলো। এবার বুঝলে তো রঙের দুনিয়ায় মৌলিক নাটালিয়ার কোন মূল্য নেই। গায়ে কিছু রঙিন পোশাক পরালে মুহূর্তেই আমি সেই মৌলিক নাটালিয়া থেকে সেলিব্রেটি নাটালিয়ায় পরিণত হয়ে যেতাম। তখন তাকে সবাই চিনতো। কিন্তু তুমি মৌলিক নাটালিয়াকে চিনেছো। এবার তুমিই বলো, তুমি ব্যতিক্রম নও?
আমি চুপ করে রইলাম। কী বলবো এরপর? আমি তার ফ্যান কিংবা ফলোয়ার নই। একটা বিস্ময় যা আমাকে কোনভাবেই ছাড়ছিলো না। নিজেকে সেই বিস্ময় থেকে বের করে আনতে চেয়েছি মাত্র। সত্যি বলতে নাটালিয়ার পাশে বসেও আমি ওকে চিনতাম না। চিনেছি ওর বা হাতের জোড়া আঙুল আর বা’ পায়ের গোড়ালিতে ইংরেজি ‘এন’ অক্ষর দেখে। অনেকদিন থেকেই মেয়েটা আমার মগজে ঝনঝন করছিল। প্রথমে সন্দিহান ছিলাম। তাই এত কাছে বসেও সময় নিয়েছি। খুটিয়ে দেখার চেষ্টা করেছি। অপেক্ষা করছিলাম ওর ডান হাতের ‘বি’ অক্ষরের ট্যাটুটা দেখার। সুযোগ আসতে খুব বেশি দেরি হয়নি। বাতাসের বেহায়াপনায় ওর ফ্রকের রুমাল হাতা উড়ে যেতেই সুস্পষ্ট দেখলাম ট্যাটুটা। নিশ্চিত হয়েই কথা বলার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করলাম।
—বিকেলটা সুন্দর। তাই না?
—হুম।
—একা এসেছো নাকি বাবা-মায়ের সাথে?
—এক্সকিউজ মি। আইম থার্টিন।
—জানি নাটালিয়া।
নাটালিয়া যতই ভাবলেশহীন থাকার চেষ্টা করুক না কেন তাকে যে চমকে দিতে পেরেছি এটা সুস্পষ্ট।
—তোমাকে স্থানীয় মনে হচ্ছে না।
—না নাটালিয়া (ইচ্ছে করেই নামটা আমি বারবার উচ্চারণ করছিলাম)। আমার বাড়ি অনেক দূরে। বে অফ বেঙ্গলের পাশে খুব ছোট্ট একটা দেশ। তুমি চিনবে বলে মনে হয় না।
—তোমার পূর্বপুরুষেরা কী ওখানকারই?
—হ্যাঁ।
—তাহলে ছোট বড় বিবেচ্য নয়। তুমি দাবি করতে পারো তোমার নিজস্ব একটা ভূমি আছে।
—তোমারও তো আছে। আচ্ছা ‘এন’ মানে নাটালিয়া বুঝলাম বাট ডান হাতের ‘বি’ আঁকা ট্যাটুটার মানে কী?
চুপ করে থাকা নাটালিয়ার দৃষ্টি তখন সাউদার্ন ব্রিজ পেরিয়ে দূর অন্ধকারে। খুব সুক্ষ্ম চোখে না তাকালে বোঝার উপায় নেই যে ওর গোলাপি ঠোঁটের কোণে কী আশ্চর্য বিষাদ! আর তখনই খুব অদ্ভুতভাবে আমার মনে হল, এমন গোলাপি আভাও বিষাদ ঠেকাতে পারছে না। প্রসঙ্গ পালটে বললাম-
—তোমার গতকালের ইন্টারভিউটা ভালো লেগেছে। রঙ নিয়ে দারুণ বলেছো! তোমার এনালাইসিস খুব ক্লিয়ার।
নাটালিয়া চুপ রইলো। ধরা দেবে কি দেবে না, এমন ইতস্ততবিক্ষিপ্ত চোখে ও বারবার আমায় দেখছিলো। আমার এই কমপ্লিমেন্টের উত্তরে থ্যাঙ্কিউ বলা মানেই নিজেকে উন্মুক্ত করে দেয়া। হয় সে নাটালিয়া, নয়তো না। কিন্তু আমি নিশ্চিত। আমার কনফিডেন্স লেভেলের কাছে মেয়েটা বিক্ষিপ্ত হয়ে যাচ্ছে। অবশেষে নিজের সাথে যুদ্ধ করে হার মানলো। আমার দিক থেকে চোখ সরিয়ে ইয়ারার জলে রাখলো।
—আসলে কী জানো আমরা রঙ ইউজ করি রঙহীনতাকে ঢাকতে। ঔজ্জ্বল্য মানেই কিছু একটা লুকোনোর বাহানা, অন্ধকার ঢাকার অপচেষ্টা। এত যে রঙ দিয়ে আমরা জীবন ঢাকতে চাই, পারি কই? প্রকৃতি তাই মাঝেমধ্যে সব ফ্যাকাসে করে দেয়। আমরা বিবর্ণতাকে ভয় পাই। তার মুখোমুখি দাঁড়াতে পারি না। আমার তৈরি করা খেলনাগুলো তাই রঙহীন। আমি চাই আমাদের শিশুরা ওদের ইচ্ছে অনুযায়ী রঙ ব্যবহার করুক। তুমি কী বুঝতে পারছো আমরা প্রতিনিয়ত এমন সব রঙিন মুখোশে নিজেদের আড়াল করছি যা মূলত আমাদের কাম্য নয়। আমরা রঙের অধীন হচ্ছি, রঙকে আমাদের অধীন করতে পারছি না। আমি চাই আমাদের শিশুরা রঙকে ওদের অধীন করুক। তাই স্বচ্ছ খেলনা তুলে দিয়েছি। এবার ওরা ইচ্ছেমতন ওদের কল্পনায় সাজাক নিজেদের পৃথিবী।
—কিন্তু এমন চিন্তা তোমার এই ছোট্ট মাথায় এলো কী করে? সবাই কী ভীষণভাবে গ্রহণ করেছে তোমার এই আইডিয়া। লক্ষ লক্ষ স্বচ্ছ খেলনা অনলাইনে, স্টোরে বিক্রি হচ্ছে। বাচ্চারা কী আগ্রহ নিয়ে কিনছে! রাতারাতি কী ভয়ানক সাড়া ফেলেছো তুমি।
মৃদু হাসলো নাটালিয়া। সবুজ ঘাসে আধশোয়া হয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে বললো, ‘ইটালিয়ান এক চিত্রশিল্পী আছে। নাম রবার্তো বার্নার্দি। ও সব স্বচ্ছ জিনিসের ছবি আঁকে। স্বচ্ছ জিনিসের বর্ণহীনতা ও এতে আলোর প্রতিফলন ক্যানভাসে ফুটিয়ে তোলা বেশ কঠিন কাজ। এ ধরনের শিল্পীদেরকে বলা হয় ফটোরিয়ালিস্টিক চিত্রকর। তুমি কী বিশ্বাস করবে যে প্রতিটি শিশু এক একজন ফটোরিয়ালিস্টিক চিত্রকর। ওর মনের ভেতরের সুস্পষ্ট ছবিকে ও নিজস্ব স্টাইলে রাঙাতে চায়। আমি শুধু ওদের সেই ইচ্ছেটাকে সম্মান জানয়েছি।
এতক্ষণে বেশ সহজ হয়ে উঠেছে নাটালিয়া। স্যামন ফিসটা কামড় দিয়ে মুখটা বাঁকা করে বললো, ‘ফ্রাইটা ভালো হয়নি। কালার দেখেই বুঝেছিলাম।’ মৃদু হাসলাম আমি।
—তুমি বুঝি খুব ভালো রান্না বোঝ?
—না। আমার বাবা বুঝতেন। আমাকে দুর্দান্ত সব রান্না করে খাওয়াতেন। বাবা যখন রান্না করতেন আমি পাশে বসে থাকতাম। তিনি প্রায়ই বলতেন, ‘জানিস তুতু’, সরি তোমায় বলা হয়নি। বাবা আমায় তুতু বলে ডাকতেন। তো যা বলছিলাম। বাবা বলতেন, ‘খাবার মুখে দেবার আগে চোখে ও নাকে দিতে হয়’। খুব অবাক হতাম তখন। বাবার মতে যে কোন ডিশ নাকি কালার দেখে আর ঘ্রাণ শুকেই বলে দেয়া যায় কতটুকু ভালো হয়েছে। একদিন বাবা ভেটকি মাছের স্টিম করে আনলেন। আমি দেখেই বললাম, ‘এর তো কোন রঙই নেই। খেতে নিশ্চয়ই ভালো হবে না।’ বাবা হেসে উত্তর দিলেন, ‘তুতু, ওর রঙহীনতাই ওর আসল রঙ’। তখন বুঝিনি, জানো। এখন বুঝি।
—এখন তোমায় রান্না করে খাওয়ায় না?
—না।
—কেন?
চুপ করে রইলো খানিক। ওর নীরবতা ঘাসের সতেজতাও ম্লান করে দিলো বুঝি। প্রায় দশ মিনিটের বোবা সময়কে খানখান করে নাটালিয়া কথা বললো,
—আমার বাবাকে ছেড়ে মা আমাকে নিয়ে এদেশে চলে এসেছিলেন। আমার বয়স তখন আট বছর। বাবা তার দেশ ছেড়ে, শেকড় ছেড়ে উদ্বাস্তু হতে চাননি। আমি আমার বাবাকে ছেড়ে আসতে চাইনি। বাধ্য হয়ে এসেছি। এখানে যাকে দেখছো তিনি আমার স্টেপ ফাদার। আমার মায়ের ধারণা ওরকম দেশে থাকলে আমি ব্রাইট ফিউচার মিস করবো। হায় রে! আমি তো মাকে বোঝাতে পারিনি আমি সবচেয়ে ব্রাইট থাকতাম ওখানেই। আমরা আমাদের মত করে সবকিছুতে রঙ চড়াই। সেই রঙে অন্যকেও রাঙাতে বাধ্য করি। কী জীবন আমাদের! এবার নিশ্চয়ই আমার কালারলেস টয়ের মানে বুঝতে পেরেছো।
আমি স্তব্ধ হয়ে বসে রইলাম। কী বলবো এই তেরো বছরের ছোট্ট মেয়েটাকে। আমার বুকটা হাহাকার করে উঠলো। চোখ অজান্তেই ভিজে উঠলো। বিশ্ব যাকে মাথায় করে রাখছে তার বুক ভরা কী বিষাদ!
—তোমার এই সাফল্যে বাবা নিশ্চয়ই খুশি হচ্ছেন। দূরে থেকেও দেখছেন অবশ্যই।
—তা তো জানি না। এতটাই দূরত্ব যে সেখান থেকে তিনি কী দেখেন, কেমন দেখেন, আদৌ দেখেন কিনা আমার জা্না নেই।
—মানে!
—বাবা গত দু’বছর আগে হার্ট এট্যাকে চলে গেছেন। আমি আমার আঠেরোর অপেক্ষা করছি। তারপর ফিরে যাবো আমার বাবার গ্রামে। আমার শেকড়ের কাছে। জানো তো, পাতা যতই সবুজ হোক ঝরে পড়ার ভয় থাকে। শেকড় হয়তো রঙহীন তবু আঁকড়ে আমুল বাঁচা যায়।
আমি বিড়বিড় করে বললাম, ‘এসব তুমি কখনোই কোন ইনটারভিউতে বলোনি। আমাকেই বা কেন বললে?
—আমি এ প্রশ্নের জন্যে তৈরি ছিলাম। তুমি যখন বললে তোমার দেশ বে অফ বেঙ্গলের পাশে ছোট্ট একটা দেশ। আমি তখনই বুঝে গিয়েছিলাম, তুমি বাংলাদেশের মানুষ। আমার ডান হাতে যে ট্যাটুটা নিয়ে লাখো মানুষের হাজারো প্রশ্ন ওখানেই আমার শেকড়। ইয়েস, বি ফর বাংলাদেশ । আমার পিতৃভূমি। ভালো থেকো বাংলাদেশ । আমাদের আবার দেখা হবে।
এটুকু বলেই নাটালিয়া খুব ধীর পায়ে হেঁটে পার্কের মৃদু আলোয় মিলিয়ে গেলো। বিবশ আমি একলা বসে থেকে থেকে দেখলাম আমার চোখের সামনেই সব রঙ মুছে গিয়ে কেমন অন্ধকার নেমে এসেছে…