কালিকাপ্রাসাদ থেকে ফিরে । আলফ্রেড আমিন
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ৫:৫৪ অপরাহ্ণ, | ২১২২ বার পঠিত
মিথ্যার নাগরদোলায়
তোমার হাসির লাল ঘোড়া
আবর্তিত হয়
আর আমি সেই অকুস্থিত নিশ্চল দণ্ডায়মান
বাস্তবের করুণ বেত্রাঘাত
আর আমার কিছুই বলার নেই
তোমার হাসি সত্যি
আমার সোজাসাপ্টা অপ্রিয় সত্যগুলোর মতোই
. —জ্যাক প্রেভের, অনু: পার্থপ্রতিম মণ্ডল
হ্যাঁ, এই যাপিত জীবনের, যাপন-কবিতার ভেতরে আমাদের ক্ষয়ে যাওয়া জীবন, এক উজিশিয়্যান। যাকে দেখবো গান গাইতে, নৃত্য-পরায়ণ রক্তের গান। কালিকাপ্রাসাদেপথে যেতে যেতে অভ্যস্ত মুহূর্তগুলি ভ্রম্যমাণ ঘোড়ায় চড়িয়ে আমাদের নিয়ে যায় ফুলে ও বিভ্রমে, ‘দুর্গ-প্রাচীরে লেখা শোক-লিপিগুলা পড়তে বারবার’। যেখানে সন্ধ্যা আসে, ভেঙে পড়ে শরীর। এর পর, প্রেগন্যান্ট পোজ নিয়ে ভোর আসে সকালের ট্রেনে। আর আমরা গাইতে থাকি —
প্লুতস্বর, আরো অনাকাঙ্ক্ষিত হলে
তোমারে ফেলে চলে যাবো পথের ধারে
সন্ধ্যাবেলা, ঝিঁঝিদের আর্তনাদে, নিরব
অন্ধকারের ডানায় তোমারে উড়ে চলে যেতে দেখে
ফিরে যাবো; ঘরে বসে, টেবিল চেয়ারকে বলবো
‘ক্ষমা করো, এই প্রবঞ্চনা, ভারবাহী মহিষের’
কবিতা, ব্যাপারটায়, বিশেষ করে ইমরুল কবিতায় এক নিরবচ্ছিন্ন শব্দাবলীকে দাঁড়াতে দেখবো, যেখানে জীবন এক অনন্য গান গাইছে, আদালা চিত্রকল্পে। স্মৃতি-বর্তমান মাঠ থেকে তৃণ, ঘাস, গোধূলি, কুড়িয়ে এনে ইমরুল আরো আরো কতদিন পর একমুহুর্ত আনন্দকে তুলে ধরবেন, আমাদের, বাংলা-কবিতার স্বপ্নের ভেতর।
অনুক্রমে তোমার শহরে, ঋতু-চিহ্নগুলি, হাঙরের দাঁতের নিচে-ব্যতিক্রম স্বরে কথা বলবে। কবিতাগুলাকে মনে হবে প্রতিমুহূর্তের, এই যেমন ধুলো মাটি জল। পাঠক-সমাবেশ, আপনিও পড়তে পারেন, ইমরুল হাসানের কবিতা-বইগুলি—‘কালিকা-প্রাসাদে গেলে আমি যা যা দেখতে পাবো (জনান্তিক, ২০০৫। এবং আরো বেরিয়েছে, ঋতুচিহ্নহুলি, অশ্বত্থ বটের কাছে এসে, তোমার কথাগুলি আমি অনুবাদ করে দিতে চাই, রাঙামাটি, স্বপ্নের ভিতর, বসন্ত ১৪১৫।