পাণ্ডুলিপি থেকে । খয়রুজ্জামান খসরু
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:০৪ পূর্বাহ্ণ, | ১৩৬৩ বার পঠিত
২০১৯ সালের বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে খয়রুজ্জামান খসরু এর কবিতার বই দীর্ঘশ্বাস ভেজা আলিক্সগন। প্রচ্ছদ : আল নোমান প্রকাশিত হয়েছে নাগরী প্রকাশনী থেকে। মূল্য : ১৫৫ টাকা।
কদমের ডালে ডালে, তমালের তলে
মনেতে বেহুলাগীত কদমকুসুম। ঝুমঝুম বৃষ্টি দিনে চোখে নেই ঘুম। জলের শাড়িতে বসে রূপশালী নারী। হাস্নাহেনার গন্ধে ব্যাকুল হৃদয়। বসো সখা এইদিনে বৃষ্টির ওড়নায়। রচিব অমর সংগীত তানসেন সুরে। দোহাই দোহাই প্রিয়ে যেয়ো না ছেড়ে। তমালের গাছে গাছে নূপুরধ্বনি। আমারে রাখিও আগলে নন্দেরও নন্দিনী। জলে আর মেঘে ভিজে হবো একাকার। হৃদয়ে আছড়ে পড়ে হৃদয়ের ঝংকার। এমন বরিষণ শেষে পদ্মপাতায়। আসন পেতে দেবো কুসুমশয্যায়। দিন চলে যায়। হায়! দিন চলে যায় … সোনালি ডানার দিন।
ফিরে দেখা
বাবুই পাখির বাসায় ঝুলে থাকা
পুরোনো কবিতা হতে
সযতনে তুলে আনি একটি শব্দ
আহ স্বাধীনতা, তুমি কেমন আছো?
তুমি ক্ষুদিরাম, ঈশা খান, নূর হোসেনের
আয়নায় ঝলসে ওঠা দ্যুতিময় কাব্যের মহড়া।
আমার শব্দে সাজানো পঙ্ক্তি
কবিতা আজ স্বাধীনতার কথা বলে
যেমন বলেছিল বায়ান্ন, উনসত্তর
কিংবা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ কালে।
এই অর্জনগুলো দেশ প্রেমিকের
একান্ত দেশ ও মানুষের
নয় কোনও দালাল কিংবা মুকুটহীন মিরজাফরের।
মিছরি আপা
নাকের নোলক হারিয়েছিল কাজলদিঘির ঘাটে
আবার যদি ফিরে যেতাম ওই বাদামতলির হাটে।
কিশোরবেলার সন্ধ্যারানি চিনিচাম্পা সই
আলতামাখা গোলবদনি মিছরি আপা কই?
কোথায় যেন হারিয়েছি পুতুল খেলার দিন
মনের বনে উঠতো বেজে ফাগুন রাঙা বীণ।
বারুদ এবং থুথু
দয়া করে কেউ হাত দেবেন না।
জীবিত প্রাণিকুল অক্সিজেনশূন্য হয়ে পৃথিবীপৃষ্ঠ খালি হোক
এটমবোমা তাই ঘোষণা করে।
গাছপালা চিৎকার করছে ওই শোনরে পাষ-
ধ্বংস করে দাও বারুদের প্রতিযোগিতা।
যেন কোনও রাষ্ট্রই ব্যয় না-করে বারুদশালায়;
এই শতাব্দীর অঙ্গীকার-
বারুদ নয়, বারুদ নয়, ভালোবাসার পারদে
নির্মিত একটা পৃথিবী চাই।
বারুদকে ঘৃণা করি, থুথু দিই।
কবিতার গল্প
কবিতা হল রোদেলা দুপুর স্নিগ্ধ ভোরের আলো
কবিতা হল দাঁড়াবার মত সবুজ একটি দ্বীপ
কবিতা হল প্রথম প্রণয় প্রেয়সীর লালটিপ
কবিতা তাই সমাজচিত্রের লেপটে থাকা ধুলো।
কবিতা নয় নীতিবর্জিত কাব্যকথার মাঠে শুধুই ঝুুুুলানো মুলো।
কবিতা নয় খেয়ালখুশির যথেচ্ছ সংবিধান
কবিতা নয় সত্য-মিথ্যার মিশ্র খেয়াল খুশির বয়ান
কবিতা নয় নেতানেত্রীর রাজনীতির হাট।
তাই
কবিরা
নিত্য
করেন
নান্দনিকতার পাঠ।