মউলা, তনুশ্রী দাম ও অন্যান্য কবিতা । আবু তাহের তারেক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ ডিসেম্বর ২০১৬, ১:০৫ অপরাহ্ণ, | ১৯৬৪ বার পঠিত
সিদরাতুল মুনতাহা
যে ইশকুলে মিনষের জন্মনিবন্ধন হয়। যে স্কুলমাঠের বঠগাছ থাকি একটা পাতা খইসা পড়ল, অমনি একটা দুইটা শিক্ষার্থী অদূরে দিঘির জলে টুপ কইরা ডুব দিল। সেই বিদ্যালয়ের অ্যাটেনডান্স খাতা থিকা কোনো এক দুষ্টু বালকের নাম মুছার ইরেজার খুঁজতে, দূর মহাবিশ্বে পাড়ি দিতে আছে দ্রুতগামী রকেট।
রকেটের রিয়ার উইন্ডোয় রোমান হরফে লেখা: মিশন সিদরাতুল মুনতাহা।
সান্তারাই
রাস্পবেরির প্রতিটা কোষের লাল আকাঙ্ক্ষায় ভইরা উঠছে প্রেম আমার। বৃষ্টির পর অদূরে, পাহাড়ের উপ্রে সান্তারাই নগরী জাগে। আমি পর্তুগিজ-ইন্ডিয়ান-নেপালি ইত্যাকার কামলা লোকের কেচর মেচরের ভিত্রে, দেখি তুমি সান্তারাইয়ে প্রবেশ করতেছ।
তোমারে অভ্যর্থনা জানাইতে আমরার রাস্পবেরির গ্রিনহাউজ প্রকল্পয় আরেক পশলা মেঘ বাদলি হয়।
তনুশ্রী দাম
তনুশ্রী দাম রে, তর লগে রিদয়ের টুফাটুফি খেলা আছিল। আছিল নদীর ইফার থাকি ওফারও খতা ইটাইটি।
মায়ার মাসি আর মেসো আছলা। ফিসি তর আছলা না খেনে?
ভটর খালর ফারও তনু তর বাড়ী। আইছলে একদিন আমার বাড়িতও। মুখে তর ফুর্তি ফুর্তি আসি।
হিন্দু তনু রে, তরে আমি খত ভালবাসি। রিদয়ের রিদয়ও দিয়া। তবু তুই আম্বিকা যাস।
সেই দুখে আমি তর ঘড় ফুড়াই। নিরালা মন্দির ফুড়াই। তুলসীর তলায় গিয়া খই আমি- মালাউন তনু ল, যবন তারেক’র প্রেমও তুই ফড়লে না।
মউলা
আমারে বানাইয়া তুমি নিজ হাতে
পুষ করলায় বেদনার ইনজেকশন।
গিফট দিলায় মোরগঝুঁট কামরেঙা ফুল ।
আরও দিলায় বিচিত্র খনির সন্ধান।
স্বর্প শয়তান তুমি করলায় তৈয়ার।
এই ডরে কাঁপে মউলা আমার আঁধার।
গু মুত বীর্যময় জামার ভিতরে ঢুকাইয়া আমারে
ফুটাইলায় কুসুম দয়াল বানাইলায় ফুলের অনুরাগী।।