সুন্দরবন বিষয়ক সভা ঢাকায়
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ আগস্ট ২০১৬, ১১:০১ অপরাহ্ণ, | ২০৪২ বার পঠিত
মাহি রহমান : আসছে ১৯ আগস্ট শুক্রবার রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রামপাল ইশ্যু নিয়ে একটি বিশেষ আলোচনা ও নাগরিক মতামত সংগ্রহণের সভা। ‘রামপালে কী হচ্ছে?’ — এই প্রশ্নটিকে সামনে রেখে সাম্প্রতিক বাংলাদেশের উন্নয়ন, পরিবেশ ও গণতন্ত্রের সার্বিক গতিপ্রকৃতিধারা নিয়ে এই বিশেষ বৈঠকটি আয়োজিত হতে চলেছে। এর আয়োজক ‘বাংলাদেশ অধ্যয়ন কেন্দ্র’, সংক্ষেপে ‘বিপিএস’, সম্প্রতি ই-মেলবার্তা ও সামাজিক যোগাযোগের মুক্ত পরিসরগুলোতে এতদসংক্রান্ত এক আমন্ত্রণপত্রে অনুষ্ঠিতব্য সভাবৈঠকী বিষয়ে বিস্তারিত অবহিত করেছে।
অনেকেরই অনেক জিজ্ঞাসা আছে সুন্দরবন অঞ্চলে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতকেন্দ্র নিয়ে। আসলেই কি সুন্দরবন হুমকিতে পড়বে এ-ধরনের প্রকল্পের কারণে? সুন্দরবন কি আমাদের জন্যে এতই জরুরি? সুন্দরবন রক্ষা করে কি লাভ আমাদের? এসব কথার কি বৈজ্ঞানিক এবং কারিগরি ভিত্তি আছে পর্যাপ্ত? আমাদের বিদ্যুৎ দরকার, উন্নয়নের জন্যে বিদ্যুতের বিকল্প নেই। এসব প্রকল্প না-হলে কোথায় পাবো এত বিদ্যুৎ? উন্নয়নের খাতিরে কি পরিবেশ ধ্বংস অনিবার্য? সেটা কি তাহলে উন্নয়ন? পরিবেশ ধ্বংস না করে কি উন্নয়ন অসম্ভব? রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে মানুষ কি মতামত দিচ্ছে? জনগণের মতামত কি প্রতিফলিত হচ্ছে রাষ্ট্রের উন্নয়ন নীতিতে? যদি তা না হয়, তাহলে কি তেমন নীতি বাস্তবায়ন গণতান্ত্রিক আদর্শের সাথে যায়?
বাংলাদেশ অধ্যয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক অরূপ রাহী নামস্বাক্ষরিত অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র মারফতে আরও জানা যায় :
এ-রকম অনেক প্রশ্ন অনেকেরই মনে ঘুরছে, যুতসই উত্তর পাচ্ছেন না, পর্যাপ্ত তথ্য ও ব্যাখ্যাও হয়তো পাচ্ছেন না অনেকে। নাগরিকদের সেসব প্রশ্নের উত্তর দেবেন একটি প্যানেল, যাতে উপস্থিত থাকবেন ড. বদরূল ইমাম, অধ্যাপক, ভূতত্ত্ব বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; প্রকৌশলী কল্লোল মোস্তফা, প্রতিবেশ আন্দোলনের আহ্বায়ক আবুল হাসান রুবেল; সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা, মানবাধিকারকর্মী এবং সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল এবং তেল-গ্যাস-বিদ্যুত-বন্দর ও জাতীয় সম্পদ রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ । থাকবে মুক্ত আলোচনা।
আগামী শুক্রবার ১৬ অগাস্ট বিকাল ০৪.৩০ ঘটিকায় রাজধানীর বাংলামোটরে অবস্থিত বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভবনে এই সভাটি শুরু হবে। দেশের সর্বস্তরীয় সচেতন নাগরিক সভায় যোগ দিতে পারবেন। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক উন্নয়ননীতি অনুশীলনের পথ সুগমকরণে সুন্দরবন তথা রামপাল ও অন্যান্য সমস্ত জনসংশ্লিষ্ট অর্থনৈতিক-সামাজিক-রাজনৈতিক প্রভাবক ইশ্যুসমূহের ব্যাপারে নাগরিক স্বর সমাবেশন ও বিশাল বাংলার মানুষের মতামতের প্রতিফলন উন্নয়নতত্পরতায় সন্নিবেশিত করার গরজে এইধারার সভা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে আশা করছেন সকলেই।
সভার একটি ফেসবুক-ইভেন্ট পেইজ অবমুক্ত রয়েছে, পেইজটি লিঙ্ক ধরে এগোলে দেখা যাবে।