আমার সঙ্গোপন রবীন্দ্রনাথ / পাপড়ি রহমান
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ মে ২০১৪, ৪:৩০ অপরাহ্ণ, | ২৬২৫ বার পঠিত
রবীন্দ্রনাথ মানে রবীন্দ্রনাথ। এর বাইরে কোনোভাবেই তাঁকে দেখবার উপায় নেই। এমনকি ভাববারও উপায় নেই। যে কেউ একবার রবীন্দ্রনাথ পড়লেন তো মনে হবে-
আমার প্রাণের পরে চলে গেল কে/বসন্তেরই বাতাস টুকুর মতো…
তা আপনি রবীন্দ্রনাথের যাই পড়ুন না কেন! আর পড়বার মতো বিস্তর লেখাপত্র তো তাঁর রয়েছেই। কবিতা, গান, গল্প, চিঠি, উপন্যাস, ডায়রী, নাটক, ভ্রমনকাহিনী এমনই নানান কিছু। ধরুণ পরতে শুরু করলেন ‘বিদায় অভিশাপ’—
………………………………………………………………………………………………………………..
হায় সখা এতো স্বর্গপুরী নয়
পুস্পে কীটসম তৃষ্ণা জেগে রয়
মর্মমাঝে বাঞ্ছা ঘুরে বাঞ্ছিতেরে ঘিরে
লাঞ্ছিত ভ্রমর যথা বারংবার ফিরে
মুদ্রিত পদ্মের কাছে।
এই যে অরুপ প্রেমের এমন রুপময় প্রকাশ, অথচ আমি কিন্তু হতাশ! জানি, এক্ষুণি ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। রবীন্দ্র অন্ধভক্তরা শিং উঁচিয়ে তেড়েফুঁড়ে আসতে পারেন। কেউবা রাগের চোটে আমায় এফোঁড় ওফোঁড় করে দিতেও পারেন! কিন্তু আমিই বা কি করতে পারি? আমার মনের লাগাম কষার তরিকা আমার জানা নাই।
মানসী, বলাকা, চিত্রা, পূরবী, পুনশ্চ, শেষলেখা, পলাতকা, জন্মদিনে, পরিশেষে, পত্রপুট, ক্ষনিকা বা শ্যামলী ভ্রমন করে এসেও তাঁর কাব্যে আমার যেমন জাগার কথা, তেমন অসীম তৃষ্ণা জাগেনি। হয়তো কড়া রোদ্দুরে পুড়ে এসে খুলে বসেছি
তখন বর্ষনহীন অপরাহ্ন মেঘে
শংকা ছিল জেগে
ক্ষণে ক্ষনে তীক্ষ্ণ ভৎসনায়
বায়ূ হেকে যায়
শূন্যে যেন মেঘছিন্ন রৌদ্ররাগে পিঙ্গল জটরা
দুর্বাসা হানিছে ক্রোধ রক্তচক্ষু কটাক্ষ ছায়া (পরিচয়ঃমহুয়া)