তিনটি কবিতা । ফজলুররহমান বাবুল
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ জানুয়ারি ২০১৪, ৬:০৪ পূর্বাহ্ণ, | ১৮২৬ বার পঠিত
পরচর্চার ছুমন্তর স্রোতে ছুটতে ছুটতে
তোমার নাচন কোন মোহানায়?
কিছু পথে হাঁটতে গেলে ঘোর লেগে যায়।
আর, পথের খোঁজে আছ তুমি কোন
ধোঁয়াশায়?
ব্যাকুল তুমি,
এবং কৌতূহলী ভীষণ-মানুষ–
কিসের আশায় পথে যেতে
হাত লাগাবে উল্টা-ছায়ায়?
উল্টা-পথে হাঁটতে গেলেই
কিছু তবে কসুর হয়ে যায়…
কালো-আত্মা
কালো-আত্মা!
কোথায় দীপ্ত-আরাধনা তোমার?
কোথায় ক্ষিপ্ত-ছাপ, গৌর-চুম্বন?
কালো-আত্মা,
দ্বৈরতে আমাকে শুধু ধারণ করছো তুমি
আর জাল বিছিয়ে রাখছো তফাতে–
বিষদাঁতে কাটবে বলে রৌদ্র মন্দিরার।
কোথায় বাড়ি তোমার?
আমাকে ধারণ করছো তুমি!
ধুলোগাথা, রাত্তিরে আজ
ধরণীর ধুলো,
ধুলো তুমি উড়ে যাচ্ছো তারার দিকে…
অল্প আলোয় ছায়াঘন রাত্তিরে আজ
চাঁদ কেনো ফিকে?
ধুলো তুমি উড়ে যাচ্ছ তারার দিকে
দমকা হাওয়ায় রাত্তিরে…
আকাশে দৌড়াচ্ছে মেঘ–
চিতা থেকে উঠেছিল যারা।
ধুলো, কী মায়ায় তুমি আজ আত্মহারা!
তোমার নিচে হাসছে মরু-সাহারা…
ফজলুররহমান বাবুলের কাব্যবিশ্ব স্বতন্ত্র উচ্চারণে উজ্জ্বল– যা শুধু রচয়িতার নিজের ছায়াকেই অনুসরণ করে না। পাঠকের হৃদয়ও জাগায়; যেহেতু বিশ শতকের নব্বইয়ের দশক থেকে ব্যক্তিগত নিরীক্ষায় ভাষা ও প্রকাশের দিক থেকে বাবুল নিরন্তর মনোযোগী এবং শুদ্ধির চর্চায় সর্বদা ব্যাপৃত। তাঁর কিছু ঘনিষ্ঠজনেরা ‘বাংলা কবিতার এক নির্জন আশ্রমিক’ হিসেবেও তাঁকে সনাক্ত করেন।বর্তমানে ফজলুররহমান বাবুল বিরচিত কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা তিনটি :
১. ঋণী হবো সোহাগী জলে
২. সখিকাব্য
৩. সপ্তস্ফুট