আমাদের ভাবনা-আচরণ একে অন্যকে যেভাবে প্রভাবিত করে | এইচ বি রিতা
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ অক্টোবর ২০২২, ৩:৪০ পূর্বাহ্ণ, | ৪৫০ বার পঠিত
একজন নারীর টিপ পরার বিষয়টি নিয়ে ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক অঙ্গন থেকে আপনার মতামত কী? রিপাব্লিকান নাকি ডেমোক্রেটিক, কোন রাজনৈতিক দল দেশ পরিচালনার জন্য উত্তম? নিউইয়র্কের কোন পত্রিকাটি সফলতার সাথে শ্রমজীবী মানুষদের জীবনের নানান দিকগুলো সমাজের সামনে তুলে ধরছেন?
এই প্রাসঙ্গিক প্রশ্নগুলো বা অনুরূপ প্রশ্নের জবাবে অবশ্যই আপনার একটি মতামত রয়েছে। সেই মতামত উপস্থাপন করতে আপনি এই জাতীয় সমস্যাগুলির বিষয়ে ভাবছেন, নিজস্ব একটা মনোভাব গড়ে তুলেছেন এবং এই মনোভাবের সাথে আপনার একটা শক্ত বিশ্বাস অবশ্যই যুক্ত হয়েছে। বিশ্বাস নিয়েই আমরা কথা বলি বা মতামত প্রকাশ করি। এখন আপনার মনোভাব কোন না কোন ভাবে আপনার বিশ্বাসের পাশাপাশি আপনার আচরণকেও প্রভাবিত করবে।
অ্যাটিটিউড বা মনোভাব সামাজিক মনোবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে অধ্যয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মনোভাব কী বা কোথা থেকে আসে, তা নিয়ে অনেক ব্যক্তি বিশেষে ভিন্ন মতামত রয়েছে। তবে মনোবিজ্ঞানে, মনোভাব একটি নির্দিষ্ট বস্তু, ব্যক্তি, জিনিস বা ঘটনার প্রতি আবেগ, বিশ্বাস এবং আচরণের একটি সমষ্টিগত সেটকে বোঝায়। মনোভাব প্রায়ই ব্যক্তির অভিজ্ঞতা, অনুধাবন করা, কিছু বহন করার ফলাফলে তৈরি হয়। মনোভাব মানসিক চাহিদা (প্রেরণামূলক ভিত্তি), সামাজিক মিথস্ক্রিয়া (সামাজিক ভিত্তি), এবং জেনেটিক্স (জৈবিক ভিত্তি) থেকেও বিকশিত হতে পারে বলে ধারণা করা হয়। তবে জেনেটিক্সের ধারণাটি নতুন এবং বিতর্কিত।
মনোভাব ব্যক্তির মাঝে যেভাবেই তৈরি হোক না কেন, এটি ব্যক্তির আচরণের ওপর শক্তিশালী প্রভাব ফেলতে পারে। যদিও মনোভাব স্থায়ী হয়, তবে এটি সময়, ঘটনা, পরিস্থিতি সাপেক্ষে পরিবর্তন হতে পারে।
আর পারিপার্শ্বিক উদ্দীপকের প্রতি প্রাণী যে প্রতিক্রিয়া দেখায় তাকে আচরণ বলে। আচরণ হলো কিছু ঘটছে এমন জিনিসগুলির প্রতিক্রিয়া, যেমন অভ্যন্তরীণভাবে—চিন্তাভাবনা এবং অনুভূতি, আর বাহ্যিকভাবে—পরিবেশ, অন্যান্য মানুষ সম্পৃক্ত বিষয়গুলি।
মার্চের ২৭ তারিখ, ৯৪তম একাডেমি অ্যাওয়ার্ডের লাইভ টেলিভিশন সম্প্রচারের সময়, অভিনেতা উইল স্মিথের স্ত্রী জ্যাডা পিনকেট স্মিথকে তার অ্যালাপেজিয়া রোগের দরুণ কামানো মাথা নিয়ে আপত্তিকর কৌতুক করায়, মঞ্চে দাঁড়িয়ে উপস্থাপক ক্রিস রককে মুখ জুড়ে কষে যে-চড় মেরেছিলেন উইল স্মিথ, সেটা হলো আচরণ। আচরণের অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক প্রতিক্রিয়া ছিলো ‘চড়’ যাকে রিএ্যাক্টিভ রেসপন্স বলা হয়।
আবার কিছু ক্ষেত্রে, আমরা আমাদের আচরণকে সঙ্গতিপূর্ণ করতে বা ভালো কিছু দ্বারা সারিবদ্ধ করতেও মনোভাব পরিবর্তন করে থাকি। কারণ আমরা জানি, জ্ঞানীয় অসঙ্গতি আমাদেরকে পরস্পরবিরোধী চিন্তাভাবনায় ফেলে, এবং অনেক সময় এই বিশ্বাসের কারণে আমাদেরকে মনস্তাত্ত্বিক যন্ত্রণার সম্মুখীন হতে হয়। তাই এইসব উত্তেজনা কমানোর জন্যও আমরা অনেক সময় নিজেদেরকে অন্যান্য বিশ্বাস বা প্রকৃত আচরণগুলো প্রতিফলিত করতে, মনোভাব পরিবর্তন করে থাকি। সর্বোপরি, মানুষ কিছু নির্দিষ্ট অবস্থার অধীনে তাদের মনোভাব অনুযায়ী আচরণ করতে পারে, আবার না করার সম্ভাবনাও থাকে।
আমাদের সাধারণ ধারণাটি হলো যে, আমাদের মনোভাব অনুসারেই আমরা আচরণ করি। কিন্তু সামাজিক মনোবৈজ্ঞানিকরা খুঁজে পেয়েছেন যে, কারো মনোভাব এবং প্রকৃত আচরণে—সবসময় মিল থাকে না বা একত্রিত হয় না।
যেমন ধরুন—রাহুল(ছদ্মনাম)আপনাকে কোনো কারণে একেবারেই পছন্দ করে না। কিন্তু আপনার সাথে সামাজিক কোন অনুষ্ঠানে দেখা হলে সে ঠিকই সবার সামনে আপনার কুশলাদি জানতে চান। এর পিছনের কারণ হতে পারে তিনি সামাজিক ভদ্রতা বজায় রাখতে চাচ্ছেন। আবার হতে পারে নির্দিষ্ট অবস্থার অধীনে তিনি নিজের মনোভাব অনুযায়ী আচরণ করতে পারছেন না।
যদি উলটোটা দেখি, ধরুন, আপনার বন্ধু রাহুল সব সময় ফোন কলে আপনার খোঁজখবর নেন, কিন্তু সামাজিক কোনো অনুষ্ঠানে দেখা হলে তিনি আপনাকে একদমই না চেনার ভান করে থাকেন। এই মনোভাব পরিবর্তনের কারণ স্বরূপ হয়তো আমরা ধরে নিতে পারি যে, তিনি হয়তো ভাবছেন, আপনার সাথে তার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অন্যদের সামনে প্রকাশ হলে, আপনাকে উন্নত বা সেরা কেউ প্রমাণ করা হবে এবং আপনি প্রশংসনীয় হতে পারেন, যা রাহুলকে কিছুটা হলেও ডাউন করতে পারে। কিছুটা হিংসা তো আছেই, তবে রাহুল এখানে আপনাকে হিংসা করার চেয়ে বরং নিজের অস্তিত্ব ও অবস্থান নিয়ে সম্ভবত বেশি ভাবছেন।
আবার কিছু ক্ষেত্রে, আমরা আমাদের আচরণকে সঙ্গতিপূর্ণ করতে বা ভালো কিছু দ্বারা সারিবদ্ধ করতেও মনোভাব পরিবর্তন করে থাকি। কারণ আমরা জানি, জ্ঞানীয় অসঙ্গতি আমাদেরকে পরস্পরবিরোধী চিন্তাভাবনায় ফেলে, এবং অনেক সময় এই বিশ্বাসের কারণে আমাদেরকে মনস্তাত্ত্বিক যন্ত্রণার সম্মুখীন হতে হয়। তাই এইসব উত্তেজনা কমানোর জন্যও আমরা অনেক সময় নিজেদেরকে অন্যান্য বিশ্বাস বা প্রকৃত আচরণগুলো প্রতিফলিত করতে, মনোভাব পরিবর্তন করে থাকি। সর্বোপরি, মানুষ কিছু নির্দিষ্ট অবস্থার অধীনে তাদের মনোভাব অনুযায়ী আচরণ করতে পারে, আবার না করার সম্ভাবনাও থাকে। তার মানে, যদিও মনোভাব আমাদের আচরণের উপর একটি শক্তিশালী প্রভাব ফেলে, তবে সেটা একেবারে সেট করা নয়।
আমাদের মনোভাব গঠনকে তিনটি উপাদান পদে সাধারণত বর্ণনা করা হয়। এফেক্টিভ কম্পোনেন্ট (কার্যকরী উপাদান), বিহেভিয়ার কম্পোনেন্ট (আচরণগত উপাদান), এবং কগনিটিভ কম্পোনেন্ট (জ্ঞানীয় উপাদান)।
কার্যকরী উপাদান—এই মনোভাবে বস্তু সম্পর্কে একজন ব্যক্তির অনুভূতি ও আবেগ জড়িত থাকে। যেমন, ‘আমি ইঁদুর ভয় পাই।’
আবার যেভাবে আমরা কাজ করি বা আচরণ করি তার ওপর আমাদের মনোভাবের প্রভাব ফেলাই হলো আচরণগত উপাদান। যেমন, ‘ইঁদুর দেখলেই চিৎকার দিয়ে আমি এটিকে এড়িয়ে যাব।’
যখন আমাদের মনোভাবে কোন বস্তু সম্পর্কে বিশ্বাস ও জ্ঞান জড়িত থাকে, তখন সেটা জ্ঞানীয় উপাদান। যেমন, ‘আমি বিশ্বাস করি ইঁদুর আমার স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক।’
এই মডেলটিকে আচরণ ও মনোভাবের এবিসি (ABC) মডেল বলা হয়। মানুষের নেতিবাচক ও হতাশাবাদী চিন্তা কাটাতে আলবার্ট এলিস ১৯৫৫ সালে সর্বপ্রথম এবিসি মডেলটি প্রবর্তন করেন। এই এবিসি মডেলটি ‘কগনিটিভ বিহেভিয়ারল থেরাপি’র জন্য সাধারণভাবে ব্যবহৃত একটি টুলস। ‘কগনিটিভ বিহেভিয়ারল থেরাপি’ সাধারণত কোন ব্যক্তিকে নেতিবাচক চিন্তাভাবনা, অনুভূতি এবং আচরণ থেকে ইতিবাচক উপায়ে পুনর্নির্মাণ করতে সাহায্য করে। এবং এই থেরাপি জ্ঞানীয় কৌশলগুলির সাথে আচরণগত কৌশলগুলি মোকাবিলা করতেও সহায়তা করে।
আলবার্ট এলিস ছিলেন ২০ শতকের একজন মনোবিজ্ঞানী। তিনি ছিলেন যুক্তিযুক্ত আবেগপূর্ণ আচরণ থেরাপি বিকাশের পথপ্রদর্শক, এবং যা পরবর্তীতে ব্যাপকভাবে ‘কগনিটিভ বিহেভিয়ারল থেরাপি’র অগ্রদূত হিসাবে বিবেচিত হয়।
এলিসের মতে, মানুষ যেভাবে চিন্তা করে, তার সাথে ভবিষ্যতের ঘটনা এবং ব্যক্তিগত সুখ সম্পর্কে বিশ্বাসকে প্রভাবিত করে। এই চিন্তা অযৌক্তিক হতে পারে, যা পরবর্তীতে এবিসি কৌশল দিয়ে মূল্যায়ন করা যেতে পারে।
ধরুন, শহরের সবার চেনা একজন ব্যক্তি কোন একটি নির্দিষ্ট ঘটনার কারণে একজন লেখকের ওপর রেগে গেলেন। এখন এখানে সুযোগ রয়েছে যে, উক্ত ব্যক্তি নিঃসন্দেহে নিজের এই উগ্র রাগের কারণ হিসাবে লেখককে নানানভাবে যুক্তি-প্রমাণসহ দায়ী করার চেষ্টা করবেন। এবিসি মডেলের এটাই একটা উদাহরণ, যেখানে অযৌক্তিক চিন্তায় ব্যক্তি কাউকে তার আবেগ ও অনুভূতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে সুযোগ দিচ্ছেন।
মূলত, যে-কোনো সঙ্কটপূর্ণ পরিস্থিতিতে সেটা কীভাবে মোকাবেলা করা হয় তা ব্যক্তির বর্তমান আবেগ ও আচরণকে নির্ধারণ করে। এবিসি মডেল অনুসারে বাহ্যিক যে-কোনো ঘটনা একজন ব্যক্তির আবেগকে প্রভাবিত করতে পারে। কিন্তু মানুষের আবেগ প্রায়শই ব্যক্তিগত বিশ্বাস দ্বারা প্রভাবিত হয়। মানুষের আবেগ এবং আচরণ দুটোই ঘটনা সঞ্চয়ের ফলে প্রভাবিত হয় না, তারা প্রভাবিত হয় কিভাবে একজন ব্যক্তি দ্বারা ঘটনাগুলো মূল্যায়ন এবং প্রক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়।
আমাদের প্রাত্যহিক সুস্থ জীবনে ইতিবাচক মনোভাব খুব দরকার। ইতিবাচক মনোভাব সুখের অনুভূতির সাথে যুক্ত থাকে। মনের সুখই আসল সুখ; এটা ভেতর থেকে আসে এবং বাহ্যিক কারণের উপর নির্ভর করে না। আপনি যখন ইতিবাচকভাবে চিন্তা করবেন, আপনি সবকিছুর প্রতি সামঞ্জস্যপূর্ণ হবেন এবং সুখী হবেন।
নিজের ভেতর ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তোলা মানে আপনি নিজের সম্পর্কে আরও ভালো অনুভব করতে শেখা, নিজেকে আরও বেশি সম্মান এবং ভালবাসার সাথে মূল্যায়ন করতে জানা। আর এর ফলে আপনার আত্মবিশ্বাসের স্তর এবং অভ্যন্তরীণ শক্তি বৃদ্ধি পাবে। আপনি যে-কোনো নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে সক্ষম হবেন।
সম্প্রতি চিকিৎসকদের মতে, ইতিবাচক মনোভাব ইম্মিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে। ইতিবাচক মনোভাবের লোকেরা প্রাণবন্ত, উদ্যমী এবং স্বাস্থ্যবান হয়। ইতিবাচক চিন্তা স্বাস্থ্যের ওপরও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে, যার ফলে এটা চাপ কমায় এবং ব্যক্তির সামগ্রিক সুস্থতা উন্নত করে। তাছাড়া, ইতিবাচক চিন্তাভাবনার মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখে, যা মস্তিষ্ককে সঠিকভাবে কার্য সম্পাদন করতে সহায়তা করে।
কাজেই ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তুলতে মনকে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। অনুপ্রেরণামূলক লেখা, উক্তিগুলি পড়লে সত্যিই নেতিবাচক চিন্তাভাবনা কাটিয়ে উঠা যায়, এবং এতে নিজের মধ্যে আশাবাদের অনুভূতিও জাগ্রত হয়।
আপনার চিন্তা আপনার অনুভূতি এবং কর্ম নির্ধারণ করে। তাই নেতিবাচর মানুষ, ঝামেলাপূর্ণ পরিবেশ, পরিস্থিতি এড়িয়ে চলাই উত্তম। কারো সাথে আপনার মতের অমিল হলো বলে তিনি আপনার সৃষ্টিশীল কাজগুলোকে এড়িয়ে যাচ্ছেন, কেউ নিজেকে সেরা ভেবে আপনাকে এড়িয়ে যাচ্ছেন, আপনার কোন লেখা পড়ছেন না, কেউ আপনার প্রাপ্য প্রশংসাটুকু দিতে হিমশিম খাচ্ছেন, কিংবা কেউ আপনার ভালো কিছুতে আড়ালে গ্রুপিং করছেন….এই সমস্ত বিষয়গুলোকে স্বাভাবিক ভেবে, উক্ত ব্যক্তিদের দুর্বল বা অসহায় জেনে নিয়ে নিজেকে তাদের থেকে সরিয়ে নিন।
একটি ইতিবাচক মনোভাব শুধুমাত্র আমাদের মুখে হাসি ফোটানো নয়, এটি তার থেকেও বেশি কিছু দেয়। ইতিবাচক মনোভাব থাকা মানে নিজেকে এবং নিজের জীবনকে ব্যাপকভাবে উন্নত করতে সাহায্য করা। ইতিবাচক মনোভাব শরীর এবং মন দুটোকেই সুস্থ রাখে এবং মনের সকল নেতিবাচক চিন্তা দূর করে বিশ্বকে একটি নতুন আলোয় দেখতে সুযোগ দেয়। ইতিবাচক মনোভাব আমাদের অন্যের প্রতি সহনশীল ও উদার হতে সাহায্য করে এবং আমাদেরকে আবেগের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখেন, যেখানে আমরা অভিজ্ঞতার প্রতিটি বিপত্তিতে একটি মূল্যবান মেসেজ খোঁজার চেষ্টা করতে পারি।
আমরা জানি যে, প্রতিটা সকালই সোনারোদ নিয়ে উপস্থিত হয় না। কোনো কোনো সকাল কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকে, কোনো কোনো সকাল আবার অনবরত বৃষ্টিতে নাগরিক জীবনকে বিপন্ন করে তুলে। সব কিছু আমাদের মন মতো হয় না কিংবা আমরা যা আশা করি তা সম্পূর্ণরূপে পূরণও হয় না। তাই বলে অন্যের কোন প্রাপ্তি থাকবে না, অর্জন থাকবে না, তা তো হয় না। কঠিন সময় সবার কাছেই আসে, আমাদেরকে সে-কঠিন সময়গুলো মোকাবেলা করতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে হবে। পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন বি পজিটিভ।