হেমন্তের জার্নাল । অমলেন্দু বিশ্বাস
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ জুন ২০১৯, ২:২২ পূর্বাহ্ণ, | ৯৬৭ বার পঠিত
৯
গহন শর্বরী নেমে আসেনি তখন
অথচ যুবার দল গোল হয়ে বসে
হুইস্কি বোতল খোলে পরম আহ্লাদে !
ব্যাচেলার হস্টেলের সাততলা বলে
আমিষবর্জিত চার্ট গিলছ সহর্ষে !
#
তরল পানীয় যেন ইন্দ্রিয়ানুভূতি—
ছুঁয়ে রুয়ে না-বলা কথারা ঘোরে ফেরে
মুখের জঠরে ! কৃত্তিকা নক্ষত্র বুঝি
ফিসফিসকরে বলে যাচ্ছে পরস্পরে
তোমার গোপন দুঃখ পুষে রাখা থেকে
প্রকাশ্য আলোয় এসে গেলে ফুলেদের
ঘায়ে মূর্চ্ছা যাবে নতুন বইয়ে—
মুখ ঢাকে সকালের অনন্য বৈভবে !
১০
তোমার খোলা পিঠের কোমল বারান্দা
দেখালো আমাকে তার আধখানা চাঁদ
কতোটা নিকটে গেলে নীল বারান্দায়
দেখা যেতে পারে পীতবর্ণ হরিণীর
জ্যোৎস্নাকীর্ন নয়নের সুনন্দিত কাঁধ !
পশ্চাদ অনুধাবন দূরে রেখে দিয়ে
সামনাসামনি যেই প্রত্যক্ষ রেখেছি
দু çচোখ তোমাতে ! দেখি সুনেত্রা ঠোঁটের
মোহিনী তিলের বর্ণ মিশেছে শরীরে !
তবে কী এখন আমি তার নাভিকুন্ড ,
উরুসন্ধি পরিক্রমা করে দু ‘পাহাড়ের—
মধ্যিখানে রেখে দিতে পারি কমন্ডুলু !
সোমেশ্বরী , কোমরে জড়াবো হাত !
চাঁদের ঝর্ণায় থাকে অলীক গাহন !