সোলায়মানের আংটি জ্বলে উঠে এবং মিত্র । শায়লা সিমি নূর
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ মার্চ ২০১৯, ৯:২৮ পূর্বাহ্ণ, | ১৩৮২ বার পঠিত
আজানের বন্ধনা
সমাপ্তিতে প্রারম্ভেও
আজানের বন্ধনা,
ভেসে আসে …
জন্ম— মৃত্যুতে…
.
আনন্দ —বেদনা
ভাগাভাগি করে
উপভোগ করি!
সাদা ময়ূরের শুভ্রতা
শূন্য হতে শেখায়…
.
তবে’ তা বলি যদি ,
বুঝবেনা মাটি !
শুধু কলকল শব্দে
নদী আদি মানুষের
ঠিকানা বলে দেয়…
.
আমি গন্তব্য থেকে প্রারম্ভে
যাবার কথা বলি,
জানেন আল্লাহর ওলি।
.
জানে না মর্তভূমি,
যা বলি…
কিছু সুখকর ক্ষণ,
খন খন বাজে;
বুকের খাঁজে;
সেই রকমও হয়!
কেমন আছি জানতে চাইলে কেহ!
ঠোঁটের জঠরে থাকা ময়না
ফাঁক পেয়ে উড়ে যায় ;
ময়না তদন্ত করেত্ত
কোনো প্রত্যুত্তর নাই !
মানুষের মুখ বরফ
চোখের সামনে
কোরানের হরফ।
পরক্ষনে অনেক উচ্চতা থেকে
আবার দ্রুতগামী পতনের হক
রফরফ’ এর হস্ত রেখায়
হয়তো আছে সব !
পুনর্বার নিজের ভেতরে
প্রবেশে উত্তর খুঁজি !!
যখন জানতে চায় কেহ
কেমন আছি !
আমি থাকি না , থাকি।
মেনে নাও যদি,
ঠাঁই থাকি!
আমি থাকিনা
আবার থাকি।
যখন জানতে চায় কেহ
কেমন থাকি ………
আমি থাকিনা
আবার থাকি!
সোলায়মানের আংটি জ্বলে উঠে
মিনারের ফাঁকে সন্ধ্যা আলো,
সেখানে আমার কবরে শস্যক্ষেত।
বহু বছরের কেশর জড়ানো
কিছু গাছদের অপেক্ষা শুয়ে আছে…
ভাঙা স্থাপনা… আমার নাম
বলে দে আমাকে…
আমি চলে যাবার সময়
হৃদয় ভেঙে যে পাখি
চলে যায় …সে কে ?
আমার নাম ভুলে যায় সময়…
আমার জামা ঝুলতে থাকে
একটি সজ্জিত বাগানে।
.
প্রতি সন্ধ্যায় সূর্যের বিদায়;
রাতে সমুদ্র তলদেশের
মিষ্টি রূপকথা…
সেখানে আমার শেষ যাত্রা শুরু হয়।
.
উল্টে থাকা জাহাজের হৃদয় ‘ এ
আমি সোজা দাঁড়িয়ে থাকি।
অনন্তের হাতে
সোলায়মানের আংটি
জ্বলে উঠে … যেখানে …
সেখানে আমার শেষ যাত্রা শেষ হয়।
সানজিদা
সানজিদা তুমি সঞ্জীবনী তাহুরা…
সবুজ কাপড় দরবেশের শৈশব বেলা…
.
খেলা করে শিশুবেলা… অবেলায়
তোমার চিবুকে…
.
তোমার পায়ে মহাবিশ্বের
কিছু আলোশিল্প আঁকা ,
আমার শেষ ঠিকানার
মানচিত্র ছিল তাতে।
.
ও চুলের বেণী
উদযাপনী ভাষণের
লাল অংশ…
নীরবতায় তোমার প্রশ্নগুলো
আমি জানি…
বাতাস আমাকে তা’ বলেছিল!
.
নীলাভ শাড়ি নন্দিনী
তোমায় ঘিরে একটি
চিত্রকল্পের নাম।
যার শেষাংশ
সোনালী পর্দায় ঘেরা
.
সেখানে আমি… তুমি…
ও তুমি আমি !
.
আমাদের এক হয়ে যাবার
সাক্ষী একটি ঈগলের ডানা
ও দু ‘পুরুত আমসত্ত্ব…
.
তোমার মধ্যে লুকিয়ে থাকা
আমাকে ডেকো…
.
ডেকো নবীজির গানে
কোনো এক সন্ধ্যায়
সাধুবাজার পথিকের মেলায় ।
মিত্র
আঁকড়ে বন্ধুর বুক
অবদমনের লহু
শিরা থেকে বেয়ে
ধ্বনিত ধ্বনির ক্রঁদন হয়ে রয়…
.
কবরের ক্লন্তি
অবসাদের ধারা,
ধার ধরেনা বন্ধনের !
.
নন্দী কর্মকারের
হাতের যশ কার হাতে ?
ডাক তারে!
সুখের তারে তারে বুনুন ধরি ,
দেহ গড়ি মিত্র তোর !
.
আমাকে সমাধির মাটি রূপে গড়!
আঁকড়ে থাকি বন্ধুর বুক!
ও সুখ আর পাবো কোথা?
স্পর্শ-স্মৃতি
আট চন্দ্রবিন্দু অতিবাহিত হয়ে
এ’হাঁসফাঁসের বয়স
দীর্ঘ হয়ে চলে…
.
ভেবে কেঁপে উঠে বহু;
অর্ধচন্দ্র বরাত !
আঙুলের ফাঁকে স্পর্শ-স্মৃতি
কলেমা জপে !
.
আজ মুখ গুঁজতে
খুঁজতে হয় একটি হৃদয়…
সমুদ্র —সমুদয় !
উৎসর্গ —রহিমা আফরোজ মুন্নি
শেষ—প্রস্থান ঘটুক কাবা উদ্যানে
মসজিদে বিস্তর উত্সব;
তারে দেখিনা,
তবু তার হয়ে থাকি!
লহু চিড়ে কালো ধ্বান্ত
উড়ে যায়!
মওলা আলীরে ক ‘ই!
অপার হয়ে বসে রই।
এ’সাধনা ছাড়া কখনো
চিত্তে বসন্ত হবেনা !
.
এ’ফুলের আয়ুষ্কাল
এবং মৃত্যুর মাঝখানে
তফাত রবে না !
আর একবার
এ’ মন্ত্র শ্রবনে
আজ ভোরে ,
ক্ষমা হয়ে এসো…
.
আয়াত পাঠে ;
দিও চুম্বন হাতে।
ধন্য হবো ধ্যানে
শেষ-প্রস্থান ঘটুক
কাবা উদ্যানে…
আমি যেন ভুলে যাই নিজেকে
ফেলে যাই আপন’ কে…