সংশপ্তক ও অন্যান্য কবিতা । জহিরুল মিঠু
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ অক্টোবর ২০১৭, ৯:৫১ পূর্বাহ্ণ, | ২৪২৩ বার পঠিত
বিরহ–মদ
দূরত্ব খুলে দেয় কাছে আসার টান।
তাই মাঝে মাঝে বিরহের বোতল খুলে
ঢক ঢক করে রাগ-অনুরাগ পান করি।
সেগুলোই এক সময় প্রেম হয়, ঝরে,
আর;
তোমরা তাকে বৃষ্টি বলো!
ফিনিক্স
মনে হয় ডানা মাখি
দেই উজাড় উড়াল,
না পাবার ক্ষোভে
কতটা বেসামাল!
ঝরে যায় লহমায়
প্রাচীন তত্ব—বোধ,
মুছে ফেলি প্রিয়,
বিরহ, ঈর্ষা, শোধ!
সংশপ্তক
দুঃসাহসে পাল্লা দিয়ে মাঝি
বিপ্রতীপ বাতাস ছুঁবে আজি
জানে না তো কী র্স্পধা তার
‘স্রোতের কাছেই বুঝি হার!’
রাতকানা এক মনকে আমি রোজ
ধারের আলোর গল্প বলে যাই
শুনতে শুনতে মনটা বলে, ‘ভাই,
পেটে খিদে কখন হবে ভোজ! ‘
প্রমত্ততা
ভেতরটা পুরোপুরি দেউলিয়া হয়ে গেছে,
এ বুকে কত না জুম চাষ হতো,
মিছিলের মতো স্নেহ শষ্যে ভরে থাকত সিনা, উপুড় হয়ে জল ছিটাতো মেঘ-কামান!
কত বিশ্বযুদ্ধ থামিয়ে ছিলাম—এক লহমায়,
অন্ধকারে বেঁচেও আলো দিয়েছি—আঁচল ভরে,
আজ ঠুনকো ব্যর্থতাই উসকে দিল আগুন
এখন আর কেউ সওদার তোয়াজ করে না !
ইচ্ছে ঘুড়ি
দু আঙুলের সুতোয় পুতুল নাচাও,
ডানে-বামে—সর্বত্র সে নাচতে থাকে
বিভিন্ন মুদ্রায় ।
অলস দুপুর, অবুঝ ভোর
কিংবা প্রণয় ডাংগুলী শেষে,
তেপান্তরের মতো অখণ্ড অবসরে ;
পুতুলটাকে স্বপ্ন দেখাও।
সে দু আঙুল গলে, দিগন্তে লীন হয়ে যায়।
ছেঁড়া ছেঁড়া স্বপ্নগুলো অঙ্গে প্যাঁচাতে থাকে।
সমুদ্র সমান কষ্টে কত্থক
কিংবা আদি রসে মত্ত থাকা পুতুলটাকে
তুমি ইচ্ছে ঘুড়ি বানাতে পার না!
অতীত
যতদূরেই থাকো
সূর্যের উত্তাপের মতো
মুহুর্মুহু ফিরে আসো
বারবার
আমার চৈতন্যে
নিঃশ্বাসের ভেতর দিয়ে ঢুকে
হৃৎপিণ্ডের গতি বাড়িয়ে দাও কয়েক গুণ !