একাত্তরের একরাত । দীপন জুবায়ের
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ জুন ২০১৭, ২:২২ পূর্বাহ্ণ, | ১৩৫৪ বার পঠিত
চৌবাড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রমজান আলী সেহ্রী শেষে ফজরের নামাজের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আজ ৪ঠা রমজান। সারারাত একফোটা ঘুম হয়নি তার। ভীষন অস্থির অস্থির লাগছে। মাথার ভেতর দু:শ্চিন্তার ঝড়। দেশের অবস্থা ভালো না। এলাকায় পাকবাহিনী ঢুকে পড়েছে। শতশত মানুষ নিজের বাস্তুভিটা ছেড়ে গেছে। রমজান আলীকে এলাকা ছাড়তে বলছে প্রতিবেশী পরিচিতজন, প্রায় প্রতিদিন। কিন্তু তিনি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ নিজের বাড়ি ছেড়ে কোথাও যাবেন না। তিনি নিজের জীবনের থেকে তার স্কুলকে বেশী ভালোবাসেন। এখন দেশের এই চরম অস্থির সময়ের ভেতরও তিনি একদিনের জন্য স্কুল বন্ধ রাখেননি। দিন দিন ছাত্র-ছাত্রী কমে যাচ্ছে। তা যাক। তিনি চলে গেলে স্কুল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে। সেটা তিনি হতে দেবেন না। আল্লহ যদি কপালে খারাপ কিছু রাখেন, তিনি রুখতে পারবেন না।
গতরাতে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে অন্যরাতের মত তিনি ঘুমাতে গেলেন। তন্দ্রার মত এসে গিয়েছিলো। ঘুম ভাঙল স্ত্রীর ডাকে। তিনি ধড়মড় করে বিছানায় উঠে বসলেন। ফ্যালফ্যাল কর একমুহুর্ত স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে থাকলেন। বুকের ভেতর ধড়াস-ধড়াস করছে। এলাকার যে অবস্থা ২৪ ঘন্টা ত্রাসের মধ্যে থাকতে হয়, তাছাড়া বয়স হয়েছে। একটু স্বাভাবিক হয়ে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, “কি ব্যাপার?” তার স্ত্রী জোহরা বেগমের চোখে-মুখে ত্রাসের ছাপ স্পষ্ট। সে কাঁপা কাঁপা ভীত গলায় বলল, “দরজায় যেন কারা কড়া নাড়ছে। একবার-দুবার না, কিছুক্ষণ পর পর ।” কথা শেষ করে সে হঠাৎ করে কেঁদে ফেলল। তার এখন খোকার কথা মনে পড়ছে। একটাই মাত্র সন্তান, খোকা তার গর্বের ধন। এই চৌবাড়ীয়া গ্রাম থেকে একমাত্র তার খোকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে।
রমজান আলী বললেন, “তুমি শান্ত হও। আল্লাকে ডাক। আমি দেখি ঘটনা কি।”
জোহরা বেগম এবার শব্দ করে কেঁদে উঠলো, “না, তুমি যেও না। আমার ভীষন ভয় লাগছে।”
রমজান আলী কঠিন গলায় বললেন, “আমি আমার জীবনে কোন মানুষের ক্ষতি করিনি। আমি কোন মানুষকে ভয় পাই না। আল্লা যদি নিয়তিতে খারাপ কিছু রাখে, তুমি আমি হাজার চেষ্টা করেও রুখতে পারবা না। তুমি এই ঘরে চুপচাপ বসে থাকো। আমি দেখছি কি ব্যাপার” গায়ে একটা জামা চাপিয়ে তিনি সদর দরজার দিকে এগিয়ে গেলেন। দরজা খুলতে গিয়ে তিনি একমুহুর্ত থমকে দাড়ালেন। তারপর একটু উচু গলায় জিগ্যেস করলেন, “বাইরে কে?”
দরজার ওপাশ থেকে উত্তর এলো, “স্যার আমরা। আলতাফ আর খোকন। স্যার দরজাটা একটু খোলেন। ভীষন বিপদে আছি স্যার।”
রমজান আলীর মনে এখন আর কোন সংশয় রইলো না। তিনি দরজা খুলে দিলেন। ছেলে-দুটো হুড়মুড় করে ঘরে ঢুকে পড়লো। এরা দুজনই একসময় তার ছাত্র ছিল। কিন্তু লেখাপড়া বেশীদূর চালিয়ে নিতে পারেনি। কিন্তু এ কি অবস্থা হয়েছে এদের চেহারার! তিনি শুনেছেন এরা মুক্তিবাহিনীতে যোগ দিয়েছে।
তিনি শুনলেন, “তোদের চেহারার এ অবস্থা কেন?”
আলতাফ বলল, “স্যার, দক্ষিণ পাড়ায় পাকবাহিনী ক্যাম্প করছে। আজ রাতে আমাদের টিম নিয়ে গিয়েছিলাম ক্যাম্প ধ্বংস করতে। কিন্তু শেষ মুহুর্তে ওরা ব্যাপারটা জেনে ফেলে। সবাইকে মেরে ফেলেছে। শুধু আমরা দুজন নদী সাঁতরে বেঁচে পালিয়ে আসতে পেরেছি। স্যার এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না বেঁচে আছি। দুদিন কিছু খাওয়া হয় নি। এখন আর কথা বলার শক্তিত্ত নেই।
শুধু রাতটা একটু থাকব স্যার। কাল ভোরের আলো ফোটার আগেই চলে যাব।”
রমজান আলীর ভীষন মায়া হলো ওদের জন্যে। ছেলেগুলো দেশের জন্যে কি দুর্বিষহ যন্ত্রনা সহ্য করছে। এই ছেলেগুলো যুদ্ধ শুরুর আগে সারাদিন ভবঘুরের মত ঘুরে ঘুরে বেড়াত। তখন কে জানত এদের ভেতর এতটা দেশপ্রেম আছে? বুকে এতটা সাহস আছে? হঠাৎ তার চোখ দুটো কি ভিজে উঠল? তিনি চট করে উঠে দাড়িয়ে বললেন, বাইরে টিউবওয়েল আছে। তোরা গোছলটা সেরে নিতে পারিস। আমি দেখি ঘরে কি আছে। তোদের খাবারের ব্যবস্থা করি।”
তিনি শোবার ঘরে এসে দেখলেন, তার স্ত্রী স্তানুর মত বসে আছে খাটের উপর। চোখ-মুখে সেই ভীতভাব । রমজান আলী একটু হেসে পরিবেশ হালকা করলেন। স্ত্রীকে বললেন, “কোন ভয় নাই। আমাদের গ্রামের আলতাফ আর খোকন। এখন তুমি দ্রুত রান্নাঘরে যাও তো। ছেলেদুটো দু-দিন না খেয়ে আছে। দেখ কিছু খাওয়ার জোগাড় করা যায় কিনা।”
স্বামীর কথা শুনে জোহরা বেগম খাট থেকে নামল। এতক্ষণ তার বুকের ভেতর পাথর চাপা দেওয়া ছিল। ঘর বেরিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ করে স্বামীর দিকে ফিরে বলল, “আজ বড্ড খোকার কথা মনে হচ্ছে। তুমি কি কাল একবার খোকার খবর নিতে পার?” রমজান আলীর বুকের ভেতরটা ফাঁকা ফাঁকা লাগছে। ছয় মাসের মত খোকাকে দেখেননি। তিনি বললেন, “হু, ঠিক আছে। কাল সকালেই খোকাকে একটা চিঠি দেব। তুমি এখন কিছু রান্না কর। ছেলেগুলোর পেটে বাঘের ক্ষুধা।”
জোহরা বেগম রান্নাঘরে ঢুকে আলো জ্বালল। এখন কি কিছু পাওয়া যাবে? তাদের ঘরে তো বাড়তি খাবার থাকে না। প্রতিদিনেরটা দিনে আনা হয়। অনেক খোজা-খুজি করেও দুটো মানুষকে খেতে দেবার মত কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না। তার নিজের উপর রাগ লাগছে। ঘরে শুধু চাল আছে, আর খুব অল্প পরিমাণ ডাল। এতরাতে বাইরেও যাওয়া যাবে না। এখন একটাই উপায় চাল-ডাল চড়িয়ে দেওয়া।
একটু বেশী করে চাল নিয়ে ডালের সাথে চড়িয়ে দিল জোহরা বেগম। কিন্তু যে বস্তু তৈরী হবে, সেটা কি মুখে তুলতে পারবে ছেলেদুটো? হঠাৎ তার ভীষন লজ্জা করতে লাগলো। চুলার জ্বলন্ত আগুনের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে তার আবার খোকার কথা মনে পড়ল। খোকা এখন কি করছে? ঘুমাচ্ছে না লেখাপড়া করছে? রাতে খেয়েছে তো? কতদিন তার হাতের রান্না খায়নি খোকা? তার আর রান্না করতে একটুও ইচ্ছে করে না।
রমজান আলী বসার ঘরে ঢুকে দেখলো ওরা দুজন গোসল সেরে হাত-পা ছড়িয়ে বসে আছে। তাকে দেখে নড়েচড়ে বসল। তিনি গলা পরিষ্কার করে বললেন, “তোরা আর একটু অপেক্ষা কর। বড় লজ্জার ভেতর পড়ে গেলাম। ঘরে শুধু চাল-ডাল ছাড়া আর কিছুই নাই। এখন শুধু মুখে খেতে হবে তোদের। কাল সকালে বাজার করে আনতে হবে। দুপুরে আরাম করে খেয়ে তারপর যাস তোরা।” খোকন বলল, “স্যার শুধু গরম ভাত হলেই হবে। লবন দিয়ে খাব। যুদ্ধে যাওয়ার আগে জানতাম না স্যার , শুধু ভাত লবন দিয়ে এত আরাম করে খাওয়া যায়। এখন তো কপালে সেটুকুই জোটে না স্যার।” রমজান আলী চট করে অন্যদিকে চোখ ফিরিয়ে নিলেন। তার চোখ আবার ভিজে উঠছে। বড় মায়া লাগছে ওদের জন্য। সেই সাথে খোকার কথা মনে পড়ছে। কাল সকালে অবশ্যই ভালো কিছু বাজার করতে হবে। খোকাকে একটা চিঠিও দিতে হবে। তিনি রান্নাঘরের দিকে রওনা দিলেন। রান্না কতদুর কে জানে? রান্নাঘরে ঢুকে তিনি দেখলেন তার স্ত্রী আগুনের দিকে তাকিয়ে চুপচাপ বসে আছে। “রান্না হতে আর কতক্ষণ?”
স্বামীর কথায় জোহরা বেগম যেন একটা ঘোরের ভেতর থেকে বেরিয়ে এলো। একলাফে চুলার কাছে হাড়ির ঢাকনা খুলে দেখল খিচুড়ি নীচ থেকে ধরে গেছে। ইস্, একি করলো সে? হালকা পোড়া গন্ধ আসছে। দ্্রুত চুলা থেকে হাড়ি নামিয়ে দুটা পাত্রে খাবারগুলো ভাগ করে দিলো। খাবার নিয়ে সে নিজেই গেল ছেলেদুটোর সামনে। ছেলেদুটোকে দেখে তার প্রথম যে কথা মনে পড়লো সেটা হচ্ছে এরা তো তার খোকার বয়সি। তার বড্ড লজ্জা করছে। আহারে অনাহারি ছেলেদুটোকে ভালো কিছু খেতে দেওয়া গেল না। ঘরে আছে শুধুমাত্র চিড়া ভেজানো আর কলা। তাদের সেহ্রির খাবার। আচ্ছা কলাদুটো কি এদের দেওয়া যায় না? জোহরা বেগম একলাফে রান্নাঘরে চলে গেল। হাতে কলা নিয়ে যখন সে বসার ঘরে ঢুকল তখন আধপোড়া খিচুড়ি প্রায় শেষ। ছেলেরা গোগ্রাসে খাবার খাচ্ছে। ইশ্, আর একটু খিচুড়ি করলে ভালো হতো। ওদের বোধহয় পেট ভরেনি। জোহরা বেগমের আফসোস হয়। কিন্তু তার কিছু করার ছিল না। একমুঠো ডাল দিয়ে আর কতটুকুই বা খিচুড়ি হয়। সে কলাদুটো তাদের দুজনের হাতে তুলে দিল। বিনাবাক্য ব্যয়ে ওরা খেয়ে ফেলল। এই মধ্যরাতে ওদের জন্যে এই রান্নাবান্না করে খাওয়াতে তার একটুও খারাপ লাগছে না। ওদেরকে দেখে বারবার খোকার কথা মনে পড়ছে। আচ্ছা, খোকাকি এদের মত কোন গভীর রাতে আসতে পারে না? সে খোকাকে বাইরে কোথাও বেরুতে দেবে না। ছোটবেলা যেমন সারাক্ষণ আঁচলের তলায় করে রাখত, এখনও সেভাবে রাখবে। খোকার বাবাকে জোর দিয়ে বলতে হবে।
“বাবা তোমরা এখন একটু ঘুমিয়ে নাও। তোমাদের তো কিছুই খাওয়াতে পারলাম না।” জোহরা বেগম একটু যেন লজ্জিত হল। তাদের সেহ্রী করার জন্যও কোন খাবার নাই বাড়ীতে। কোনরকম পানি দিয়ে সেহ্রী সারতে হবে। কিছুক্ষণ পর সে এসে দেখল ছেলেদুটো কি আরাম করে ঘুমাচ্ছে। যেন কতদিন ঘুমাইনি। ওদের ঘুমন্ত মুখদুটো নিষ্পাপ দেখাচ্ছে। এরা বন্দুক হাতে মানুষ খুন করে কিভাবে আল্লাই জানে।
ঘরের দরজা চাপিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল সে। আজ আর ঘুম হবে না । একবারে সেহ্রী করে নামাজ শেষে একটু চোখ বন্ধ করতে হবে। এই মধ্যরাতে বারবার খোকার কথা মনে পড়ছে কেন? খোকার কোন বিপদ হলো না তো ? হঠাৎ করে তার চোখ জ্বালা করে উঠলো।
তারা সময়মত সেহ্রী শেষ করলো। একমুঠো ভিজা চিড়া আর পানি। এবার আজানের জন্য অপেক্ষা। নিয়তি বড়ই নির্মম । ঠিক যখন ওজু করে নামাজে দাড়িয়েছেন রমজানী আলী, তখন বাড়ীর বাইরে হুড়মুড় পায়ের আওয়াজ শুনতে পেলেন তিনি। একটু পরেই দরজায় লাথির শব্দ, অকথ্য ভাষায় গালাগালি। উর্দু বাংলা মেশানো কথা শুনে বুঝতে বাকী থাকলো না কারা এসেছে। পাশের ঘর থেকে আলতাফ আর খোকন পাগলের মত ছুটে এসে নামাজরত রমজান আলীর পা জড়িয়ে ধরল। চাচা, আমাদের বাঁচান। ওরা এসে গ্যাছে আমাদের মেরে ফেলবে।
রমজান আলী নামাজ শেষ করতে পারলেন না । জোহরা বেগম হাউমাউ করে কান্না জুড়ে দিয়েছে। হঠাৎ করে রমজান আলীর সমস্ত শরীর ঠান্ডা হয়ে গেল। তিনি সত্যিকার বিপদ টের পেয়েছেন । তিনি ধরা পড়ে গেছেন। ভীষন বিপদ। তিনি পাথরের মত দাড়িয়ে রইলেই। মাথা কাজ করছে না। এখন কি করা উচিত বুঝতে পারছেন না। তিনি সবাইকে বুকের ভেতর জড়িয়ে ধরে দাড়িয়ে রইলেন চুপচাপ।
এভাবে যেন অনন্তকাল কেটে গেল। একসময় ঘরের দরজা হুড়মুড় করে ভেঙে গেল। ঘরের ভেতর ঢুকে পড়ল অস্ত্র হাতে চার পাকসেনা। তাদের সাথে হাসিমুখে গফ্ফার সরদার, এই গ্রামের শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান। রমজান আলীর আর বুঝতে অসুবিধা হলো না কার মদদে এসব হচ্ছে। জোহরা বেগম ভয়ে কাঁদতে ভুলে গেছে। ঘরের এককোনে গুটিসুটি মেরে বসে আছে। সে শুধু শুনতে পেল পরপর তিনটি গুলির শব্দ। তারপর মাত্র একটাই গালি- শূয়ারকা বাচ্চা। তিনটি মানুষের তাজা রক্তে ঘরের মেঝে ভেসে যাচ্ছে। “স্যার চলেন, কাজ শেষ”। গফ্ফার সরদার বলল। তারপর কি মনে আবার ঘুরে দাড়ালো। জোহরা বেগমের দিকে তাকাল।
“স্যার ল্যাড়কি তো বেঁচে আছে। তার একটা ব্যবস্থা করা লাগে”? গফ্ফারের চোখে একটা বিভৎস হাসি খেলে গেল।
দুজন পাক জোয়ান জোহরা বেগমকে হিড়হিড় করে টেনে বের করে নিয়ে যাচ্ছে ঘর থেকে। তখনও রমজান আলী মরেনি। ব্যাথায় কাৎরাচ্ছে। শেষবারের মত স্বামীর কাছে যাওয়া হলো না তার। স্বামীর দিকে ফিরে হাত-পা ছুড়ে বিলাপ করাই সার হলো। তার মুখে শুধু একটাই কথা- আমার খোকা, আমার খোকা……… তাকে টেনে-হিচড়ে বাড়ীর বাইরে নিয়ে যাওয়া হলো।
“স্যার এখনও এখনও একটা কাজ বাকী আছে। যদি অনুমতি দ্যান তো কাজ শেষ করি”। গফ্ফার যেন ভীষন আনন্দ পাচ্ছে। সে নিজের হাতে ঘরে আগুন ধরিয়ে দিল। একড্রাম কেরোসিন তার কাছেই ছিল। মুহুর্তের মধ্যে দাউদাউ আগুন ছড়িয়ে পড়ল ঘরের চারদিকে।
ঘরের ভেতর যখন রমজান আলীর মৃতদেহ আগুনে দগ্ধ হচ্ছে, ঠিক সেই মুহুর্তে ঘরের বাইরে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে গেল জোহরা বেগম। জ্ঞান হারাবার মুহুর্তে তার চোখের সামনে যেন একবারের জন্যে খোকার মুখটা ভেসে উঠলো।