কয়েকটি কবিতা :: মায়া সারিশবিলি । ভাব-তর্জমা :: মঈনুস সুলতান
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ মার্চ ২০১৭, ১১:১৭ অপরাহ্ণ, | ২৪০৩ বার পঠিত
কবি-পরিচিতি : বয়সে তরুণ জর্জিয়ার কবি মায়া সারিশবিলি ‘মাইক্রোস্কোপ’ নামে একটি গ্রন্থের রচয়িতা হিসাবে পরিচিতি পাচ্ছেন আজকাল, যা সাবা লিটারারি অ্যাওয়ার্ড ফর পোয়েট্রি পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছে সম্প্রতি। তিনি কয়েকটি বেতার নাটকেরও প্রণেতা। তাঁর বেশকিছু কবিতা প্রকাশিত হয়েছে গোয়ারনিকা, প্লুম, অ্যাশভিল পোয়েট্রি রিভিউ, ন্যাশভিল রিভিয়্যু ও লস অ্যাঞ্জেলস্ রিভিয়্যু প্রভৃতি জার্নালে। তিনি গতায়ু সোভিয়েত আমলের সাবেক প্রজাতন্ত্র জর্জিয়ার রাজধানী তিবলিসিতে বসবাস করেন।
‘শিশু’ ও ‘কবিতা’ — বলা চলে, এ-দুটি বিষয় কবি মায়া সারিশবিলি-র দিনযাপনকে স্পষ্টত ভরপুর করে রেখেছে। পেডাগোজিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চারটি শিশুসন্তানের জননী এ শব্দের করিগর একটি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষয়িত্রী হিসাবে হালফিল কাজ করছেন। প্রচুর ব্যস্ততা থাকা সত্ত্বেও তিনি কাব্যসম্ভার মুসাবিদা করা থেকে বিরত হন কদাপি। বিশাল একটি একান্নবর্তী পরিবার, পেশাদারী জীবন এবং শিল্পের প্রতি তাঁর ওয়াদার ভেতর হরহামেশা ভারসাম্য রক্ষা করে চলেন তিনি। তুমুল প্রাণশক্তির অধিকারী এ তরুণী তাঁর অশেষ সৃজনশীলতা দিয়ে যুগপৎ গৃহ ও বিদ্যালয়ে শিশুদের দিনযাপনকে আকর্ষণীয় করে রাখছেন অহরহ।
সারাদিন সংসারে নিমজ্জিত থেকেও তিনি নির্ধারিত করে রাখেন সামান্য সময় রজনীর মধ্যযামে — যখন যাপিত দিনের আদনা কোনো বিষয়, অথবা বিরল কোনো আনন্দ তাঁর লেখনীর যত্নে হয়ে ওঠে কবিতার জাদুময় অভিব্যক্তি। কবিতাকে নির্মাণ করেন তিনি নিত্যদিনকার পাগলামোর তালিকা হিসাবে। আর তাতে যুক্ত করেন শব্দছন্দের ক্যারিশমায় নিজস্ব ইমোশনের সারাৎসার।
উপস্থাপিত বায়োর মূল রচয়িতা ইনগ্রিড ডেগরেভে, জর্জিয়ান ভাষা থেকে ইংরেজিতে এই বায়ো অনুবাদ করেছেন জন আয়রন্স।
কয়েকটি কবিতা : মায়া সারিশবিলি ।। জর্জিয়ান ভাষা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ : টিমোথি কেরচার ও নিনে জিওরগাদঝে ।। ভাব-তর্জমা : মঈনুস সুলতান
এভাবে কাজ হয় না কিছু
এভাবে বিষয়টি সম্পন্ন করা সম্ভব নয়,
সম্পূর্ণ বনভূমিকে তুমি যদি ধুলিস্যাৎ করে দাও —
ঘটনাটি হবে বাড়াবাড়ি অতিশয়,
একটি শিকড়ও কেউ খুঁজে পাবে না কোথাও।
পৃথিবী থেকে বিযুক্ত ব্রহ্মাণ্ড হয়ে দাঁড়াবে দুঃস্বপ্ন বিশেষ,
শহরগুলো ভাসতে থাকবে ত্রিশঙ্কু শূন্যতায় —
সমুদ্রের জলধিতে তাদের ছায়া পড়বে অতিকায়,
তথ্যশিকারিরা লেখাপড়ায় করতে পারবে না অভিনিবেশ।
সমুদ্র উবে গিয়ে তৈরি হবে কাচের ঝিকমিকে বালুচর,
ব্রহ্মাণ্ড থেকে নাড়িছেঁড়া হয়ে পৃথিবী যখন তছনছ হবে —
চাঁদের গিরিকন্দরে কী গড়ে উঠবে বাসযোগ্য ঘর?
গ্রহটি ভেসে ভেসে আজ যেন দূরে চলে যেতে থাকে,
তিমিমাছগুলো আটকে পড়ে চরের জলজ পাঁকে —
বিপুলকায় ধারালো খুরের মতো ঘষা খেতে খেতে
পৃথিবী ঘুরতে থাকে নিয়ন্ত্রণহীন,
নিরাপদ বসবাসের অভ্যাসে আমরা যারা অর্বাচীন,
নিদারুণ উৎসাহে বস্ত্রাদি খুলে হই স্রেফ নগ্ন,
শরীর থেকে খুলতে থাকি শিরা-উপশিরা —
আমাদের হৃদয় সবকিছু হারিয়ে হতে থাকে ভগ্ন।
অতিসত্বর সৃষ্টি হয় এমন এক পরিস্থিতির,
সিরামিকে তৈরি শিশুদের শরীরে হুল ফোটাতে
ব্যর্থ হয় মৌমাছির ঝাঁক — তারা গুঞ্জন তোলে অধীর।
এভাবে কাজ হয় না কিছু — এসব ভাবনা আদতে বন্য,
বাচ্চাদের তো গড়া হয়েছে গ্র্যান্ড পিয়ানোর ডালায়
ডিসপ্লে করার জন্য!
দম ফেলতে কষ্ট হওয়ার ধ্বনি
নিঃশ্বাস ফেলতে কষ্ট হচ্ছে নিদারুণ
শুনতে পাও কী আমার দৈহিক সংগ্রামের শব্দ?
রাত গভীর — আমার কামরার হালত এমন অগোছালো করুণ,
সবকিছু নিথর — কেমন যেন স্তব্ধ।
কুমারী কন্যা এক — পরিণত হয়নি সে বয়সের খরতাপে
আচরণে তার তৈরি হয়নি কোনো মুন্সিয়ানা,
কীভাবে মোকাবেলা করবে বলো ঝড়ের কাণ্ডকারখানা!
পর্দাও আড়াল করতে পারে না
তোমার মুখের ওপর হামলে-পড়া অনভিপ্রেত হাসি,
জানালা গলে আসা তীব্র আলোও সহ্য হচ্ছে না
ভ্যাপসা গরম — খাবারের স্বাদও ঠেকছে বাসি।
নিদ্রা বিঘ্নিত হচ্ছে নিওনের ধারালো আলোয়
গ্রীষ্মঋতুতে মিশে যাচ্ছে শীত,
ঝলমলে বিজ্ঞাপনের চৌকশ শব্দে চূর্ণিত হচ্ছে শোণিত।
অক্ষরগুলোও আমাকে আজ করুণা করছে
সারি বেঁধে দাঁড় করিয়েছে বোকার হদ্দ একদল ক্রীতদাস,
বাধ্য করছে তাদের ভোর অব্দি ক্রমাগত চিৎকার করতে
গলায় রজ্জু বাঁধা হয়ে শ্বাসকষ্টে তারা করছে হাঁসফাস।
দুধের সফেদ গ্লাসটি প্যাঁচিয়েছে কালো কাপড়ে
যেসব দ্রব্য অভঙ্গুর — এ-রকম প্রতিটি জিনিসপত্র,
এমনকি ঠিকানা লেখার নোটবুকটিও মোড়া সুতি কাপড়ে
অগোছালোভাবে ছড়ানো সবকিছু যত্রতত্র।
আর সেখানে অক্ষরের অবাস্তব শিষ্টাচারে,
বান্ধবরা হাত নেড়ে জানাচ্ছে বিদায় সম্ভাষণ
দাঁড়িয়ে থাকি নির্বাক — বদ্ধ ঘরের রুদ্ধদ্বারে।
ঝড়ে তৈরি হচ্ছে উন্মাদনা
ঝড় সাজাচ্ছে আজ উন্মাদনার নকশা
তছনছ হচ্ছে তাবৎ নিখিল,
সৃষ্টি করছে ভিন্নতর শৃঙ্খলা
সারির শেষে দাঁড়িয়ে শিশুরা
ছন্দের ভেতরে হাসছে অন্ত্যমিল।
একটি কবিতার সূত্রপাত হয়েছে প্রতিবাদে
যা পূর্ণিমার কিরণে চন্দ্রাহত,
আমার হাসিকে ছুঁড়ে ফেলা হয়েছে উপেক্ষায়
উড্ডীন ডানা হয়েছে বিক্ষত।
বেসামালভাবে এলোমেলো হয়েছে আমার পালক
পারি না ডানাটি আর উঠাতে
তিরোহিত হয়েছে উড়ালের গতিময় ঝলক।
মানুষের দঙ্গল ছুটে এসে পদদলিত করে আমার ওষ্ঠ
ভাবি — আমার যত না-করা পাপ,
ভিড়ে ভারাক্রান্ত হতে হতে পরিস্থিতি হয়ে ওঠে খারাপ।
চোখ তুলে উপরের দিকে তাকাই আমি —
বিন্দু বিন্দু জমে আছে মিনিয়েচার মেগাফোনের মতো
তোমাকে আজ ছুঁতে চাই হে অন্তর্যামী;
তাড়া করি আমি প্রতিটি ত্রিশঙ্কু বিন্দুকে
আর পাঠ করি আমার কবিতা
কিছু ম্লান গাথা জড়ো করে রাখি সিন্দুকে।
বিষয়টি বেজায় বেখাপ্পা —
একটি বিন্দুও তার অস্তিত্ত্ব নিয়ে বেঁচে থাকে না আমার মহলে,
পিচ্ছিল হয়ে-ওঠা মঞ্চ এক
স্মৃতিতে ফিরে আসে বিচিত্র এক ছলে।
অতঃপর ভাবি একটি ঘরের কথা —
রকমারি জিনিসপত্রে ঠাঁই হচ্ছে না এ-রকম,
যেখানে কোনো এক সময় … বুঝিবা সে-মুহূর্ত ছিল প্রার্থিত পরম,
শৈশবে বোকার মতো উঠে দাঁড়িয়েছিলাম একাকী
কাছে ছিল না কোনো ধাত্রী,
জননী আমার সেদিন ছিলেন মৃত্যুপথযাত্রী,
টলোমলো পায়ে উঠে দাঁড়িয়েছিলাম টেবিলের উপর
যাতে কাছ থেকে ঈশ্বর শুনতে পান আমার কন্ঠস্বর।
নতুন দিন
নতুন দিনগুলো বেনোজলের হ্রাসবৃদ্ধির মতো উঠে-নামে
নগরীতে নামছে বিকাল,
দূর থেকে তুমি তাকিয়ে দেখো
পার্কে বাদক এক খিন্ন মনে বাজায় ঝাঁপতাল,
জনপ্রবাহ চলে ডানে ও বামে।
নগরীর ফুলদানিতে পাপড়ি-মিইয়ে-আসা এক ইকেবানা,
ফুটপাতে সারাক্ষণ চলে মানুষের আনাগোনা।
সরুজ ডোবে — আসমানে লেগে থাকে বেলাশেষের অস্তরাগ,
প্রতিবেশীরা সরায় জানালার পর্দা
দুটি মানুষের রেখা কাছাকাছি হয়ে মাখে ভালোবাসার পরাগ।
দূর থেকে আমি স্পষ্টভাবে অবলোকন করি তাকে
যে জীবনের তাবৎকিছু নিয়ে দুশ্চিন্তায় জর্জরিত,
যার ছায়ারূপ দেখা যায় জানালার শিকের ফাঁকে
পরিবারের ছেঁড়াখুড়া সদস্যদের মন রিফু করে দিয়ে
হামেশা যে হয় প্রীত।
জানালা দিয়ে আমি তাকে আবারও করি পর্যবেক্ষণ
যে জানে না গন্তব্য তার কোথায় —
দু-হাতে মুখ ঢেকে বুঝিবা অঝোর কান্নায়
ভেঙে পড়ছে সে এখন।
অই আনন্দের কথা
কামরার দুয়ারে অর্গল ছিল পুরোপুরি বন্ধ
রঙের পালিশ মেখে নোখে —
বসে ছিলাম তার কোলে,
ওখানে ছিল কেবলমাত্র অই আনন্দ
কমলালেবুর বাকল চিপে সে রস ফেলেছিল আমার দু-চোখে।
অন্যমনস্কভাবে সিগ্রেট ধরিয়ে
আমার সাথে সক্রিয় হওয়া সে স্রেফ বন্ধ করে দিলো,
চোখ ঢেকে দেয়া চুলের গুচ্ছ সরিয়ে
আমি তাকাই, শরীর নাড়াচাড়া করতেও কষ্ট হচ্ছিল।
ঘষটিয়ে আমি তার কোল থেকে আসি নেমে
তার জুতোতে ছোঁয়াই আমার গণ্ডদেশ,
সময় বয়ে যায় নিরাময়হীন বিক্ষত প্রেমে
কেউ করে না কোনোকিছুতে অভিনিবেশ,
অতিথিদের কণ্ঠস্বর ভেসে আসে টেবিলের তলায়,
অন্য কামরায় স্ফূরিত শব্দাবলি কী-রকম ভিন্ন শোনায়,
পাশের দমবন্ধ কুঠুরিতে জড়ো হওয়া মেহমানদের উচ্চারণ,
সবাই যেন ভ্যাপসা গরমে অন্য কারো সাথে করছে রমণ।
চোখে লেগে থাকে কমলালেবুর বাকলের শুকা রস
মনে তৈরি হয় না এমন কোনো দ্বিধাদ্বন্ধ,
মুখে আমি বুলাইনি মেকাপের বর্ণিল পরশ
অইদিন কেবলমাত্র ওটাই ছিলো আমার আনন্দ।
অনভিপ্রেত শব্দের অভিঘাত
ঘুমানোর আগে আমার সত্তা থেকে মুছে নেই প্রতিটি বাক্য
যা শুনেছি সারা দিনভর — ডিলিট করি অজস্র শব্দের অভিঘাত,
জ্বরতপ্ত রোগীরা যে-রকম ডিলিরিয়ামের ঘোরে করে প্রাণাতিপাত
থার্মোমিটার ঝাঁকিয়ে নামিয়ে আনতে চায় পারদের পরিসংখ্যান,
আমিও রোধ করতে চাই অনভিপ্রেত শব্দের ভেসে-আসা বান।
মিথ্যাচারের বিপুল উত্তাপে বলকায় পারদ — বিপন্ন হয় বোধ
খাঁটি কণ্ঠস্বরের নীরবতা আমার মাঝে সঞ্চার করে ক্রোধ।
ডিমের খোসা ছাড়ানোর মতো খুলে নেই বেফজুল শব্দের বাকল,
বিস্মৃত হই — বাকচাতুর্যে কামিয়াবি হওয়ার বারোয়ারি ছল।
চেতনার নির্দিষ্ট স্তরে পৌঁছতে হলে চাই মেধার যানবাহন,
ভুলে যাই — অনেকেই তাতে নিতে পারে না যথাসময়ে আসন।
জামা কাপড়ের পার্টি-পরব
দেখো — জামাকাপড়গুলো সব চলে এসেছে পরবে
তোমাদের পরে নিয়ে তলায় —
খুব জাঁক করে বসেছে তারা — ছড়াচ্ছে হরেক রঙ সরবে।
সাদা বলগাউনের সাথে রেলা করছে গেবার্ডিনের ব্লেজার,
কাজুবাদামের দঙ্গল ছুটছে দ্বিগবিদিক
হন্যে হয়ে ছুটছে তারা — দিশেহারা অপার।
চীনেমাটির বর্তনে পড়ে আছে বেশুমার জিহ্বা
উজ্জ্বল রঙে রাঙানো ঠোঁট,
থুতনির নড়াচড়ায় তৈরি হচ্ছে নানা কিসিমের ছন্দ
চিবানোর শক্তপোক্ত দাঁত খুঁজছে আখরোট।
ক্যান্ডি প্যাঁচানোর মোমঘষা কাগজে আমি
মুড়ে দেবো আমার ডুবন্ত অতীত অতিসত্বর,
দিবসের প্রতিফলন শেষে — বিশ্বাস রাখো
নতুন আমোদে ভরে উঠবে তোমার ঘর।
জীবনের বায়োস্কোপ থেকে কেটে নিয়ে একটি দৃশ্যপট
ঢলে-পড়া নারীরাও হবে না বঞ্চিত,
নোনাধরা দেয়াল ফুঁড়ে গজাবে বট
স্রেফ ভুলে যাব — এতকাল যা করেছি সঞ্চিত;
বিষণ্ণতায় যারা ভুগছে তাদের বিরুদ্ধে কী-বা অভিযোগ,
সেসব নারীদের আরেক ধাপ উঁচুতে নিয়ে যাই কীভাবে
যারা তোমার জন্য পুইয়েছে অশেষ দুর্ভোগ?
অঙ্কুরের উৎসব
কামরার প্রতিটি জিনিসের শিকড়ে ধরেছে পচন
স্বাস্থ্যবান নরোম কুঁড়ির মতো
বড় গোল টেবিল থেকে অঙ্কুর হয়ে গজাচ্ছে
ছোট্টমোট্ট আরেকটি টেবিল,
চেয়ারেরও একই হালত — তার থেকে
বেরিয়ে পড়ছে কুটিমুটি আরেকটি চেয়ার।
দুটি বুককেসের একটি ক্ষয়ে ঝুরঝুরে হতে হতে
রীতিমতো অক্কা পাচ্ছে,
ওখান থেকে জন্ম নিচ্ছে ছোট্ট আরেকটি বইয়ের রেক
তাতে আলপিনের মতো ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অসংখ্য বই
মিনিয়েচার শিশুতোষ সব চশমা,
কামরার কোণায় রাখা মেহগিনির বিশাল পিয়ানোর পা থেকে
বেরিয়েছে ছোট্ট টুকটুকে আরেকটি বাচ্চা পিয়ানো,
আহা — কী মজা!
আর আমি — মালিনী এক — এদের লালন করছি
বাগিচায় ফুল ফোটানোর পরম যত্নে।