টিপু একদিন হঠাৎ করে টাপ্পাইয়া হয়ে গেল । মোহছেনা ঝর্ণা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ মার্চ ২০১৭, ১০:৪৬ অপরাহ্ণ, | ১৯২৫ বার পঠিত
সেদিন কি বার ছিল মনে নেই। তবে সময়টা ছিল শরৎ কালের এক বিকাল। শরতের বিকালে উজ্জ্বল নীল আকাশে নানা রঙের ঘুড়ি উড়ত। আমাদের বাসার ছাদের কার্ণিশের সাথে লাগোয়া নারকেল গাছ আর কাঁঠাল গাছের পাতার ফাঁকে প্রায় বিকালেই আমি আর ফারজানা পেয়ে যেতাম নানা রঙের ঘুড়ি।
সে ঘুড়ি আমরা ইরফান ভাইকে দিয়ে দিতাম। তার বদলে ইরফান মাঝে মাঝে আমাদের হাতে নাটাই দিত।নাটাইয়ের সুতা গুলায় প্রায় দিন ইরফান ভাই মাঞ্জা দিত। ভাতের মাড় সুতার মধ্যে লাগিয়ে কটকটে রোদের মধ্যে শুকিয়ে মাঞ্জা দিলে নাকি অন্যের ঘুড়ি দ্রুত ভোকাট্টা করা যায়। ভোকাট্টায় আমার কোনো শখ ছিল না। নাটাই থেকে সুতা ছাড়ার বিষয়টার দিকে ছিল আমার ঝোঁক। ইরফান ভাই প্রতি বিকালে ছাদে ঘুড়ি উড়াত। ঘুড়ি উড়ানোর সময় আমি আর ফারজানা ছাদে ইরফান ভাইয়ের সঙ্গে দাঁড়িয়ে দেখতাম এক একটা ঘুড়ি কিভাবে টাল মাতাল হয়ে ছুটে যাচ্ছে তো যাচ্ছে কেবল দিগন্তের দিকে।আমাদের সঙ্গে থাকত পাশের ক্যাটক্যাটে হলুদ রঙের বিল্ডিং এর বাড়িওয়ালার ছেলে টিপু। টিপুর বাবা ছিল হোমিও প্যাথিক ডাক্তার।তাই টিপুকে ডাক্তার সাহেবের ছেলে নামেও চিনত অনেকে। টিপু খুব লাজুক টাইপের ছিল। টিপু ভালো ঘুড়ি উড়াতে পারত।প্রতিদিনই ও কারো না কারো ঘুড়ি ভোকাট্টা করে দিত।
মাঝে মাঝে আমাদেরও একটু ঘুড়ি উড়ানোর শখ হতো। ইরফান ভাই সব সময় আমাদেরকে নাটাই দিতে চাইত না ঘুড়ি ভোকাট্টা হয়ে যাওয়ার ভয়ে। কিন্তু টিপু আমাদেরকে হতাশ করত না। আমাদের আনাড়ি হাতের নাটাই ঘুরানোতে কখনো কখনো ঘুড়ি ভোকাট্টা হয়ে গেলে ইরফান ভাই খুব রেগে যেত। প্রায় সময় হাত উঁচিয়ে থাপ্পড়ের ভঙ্গি করে তেড়ে আসত আমাদের দিকে। আমি আর ফারজানা কখনো কখনো হাত থেকে নাটাই ফেলে দৌড় দিতাম। এভাবে দৌড় দিতে গিয়ে ফারজানা একদিন সিঁড়িতে হোচট খেয়ে পড়ে ঠোঁটের উপর একটা আস্ত আলু ঝুলিয়ে হেঁটেছিল অনেকদিন। এরপর থেকে ঘুড়ি ভোকাট্টা হলেও আমরা আর দৌড় দিতাম না । ঢোক গিলে দাঁড়িয়ে থাকতাম কখন ইরফান ভাই এসে থাপ্পরের ভঙ্গি করে চোখ দিয়ে আমাদের ভস্ম করে দিবে এই অপেক্ষায়।কখনো কখনো টিপুর প্রতিও রাগের বহিঃপ্রকাশ গোপন করতে পারত না ইরফান ভাই। টিপু অবশ্য এসবে কিছু মনে করত না ,বরং দাঁত কেলিয়ে হাসত।
তো সেদিন বিকাল বেলা হঠাৎ করে দেখি ছাদের সিঁড়ি ঘরের পাশে একটা ব্ল্যাক বেঙ্গল বসে আছে। আমাদেরকে দেখেই ম্যা ম্যা করে উঠল। ইরফান ভাইয়ের খুশির তো আর শেষ নাই। ছাগল এটারে দৌড়াতে দৌড়াতে ছাদে নিয়ে গেল। বেচারা ছাগল কিছুক্ষণ দৌড়ানোর পর দেখল ছাদের রেলিং এর উপর দিয়ে কাঁঠাল গাছের দুইটা ডাল ঝুলে আছে, বেচারা বোধহয় খুবই ক্ষুধার্ত ছিল দৌড় দিয়ে গেল কাঁঠাল গাছের পাতা খেতে।ইরফান আমাদের উপর কোনো আস্থা নাই, বলে টিপুটার যে কি হয়েছে তিন চারদিন ধরে কোনো দেখা নাই,ও থাকলে এখন খুব ভালো কাজ হইত।
ইরফান ভাই ঘুড়িটা আমার হাতে দিয়ে বলল, এটা ধরে রাখ, দেখিস আবার ঘুড়ি ছিঁড়ে ফেলিস না । আমি, আর ফারজানা আমরা দু’জনেই ভাবছিলাম আমাদের মাথায় কি কোনো গন্ডগোল দেখা দিয়েছে কিনা, তা নাহলে শুধু শুধু একটা ঘুড়ি আমরা কেন ছিঁড়ে ফেলব?
ইরফান ভাইয়ের ধারণা আমি আর ফারজানা খুবই বোকা। ফারজানা ইরফান ভাইয়ের ছোট বোন। আমরা একই ক্লাসে পড়তাম। এক বিল্ডিং এ থাকার কারণে এবং প্রায় সমবয়সী হওয়ার কারণে আমরা পরস্পর পরস্পরের বন্ধু ছিলাম। ইরফান ভাই আর টিপু ছেলে হওয়া সত্ত্বেও আমাদের সাথে কুতকুত খেলত, বৌ-চি খেলত। আবার আমি আর ফারজানা যখন ফাইভ ফাইভ ফাইভ কিংবা বেনসন এর সিগারেটের প্যাকেট দিয়ে পুতুল খেলা খেলতাম ,তারপর ফারজানার ছেলে পুতুলের সাথে আমার মেয়ে পুতুলের বিয়ে দিতাম, সেই বিয়ে উপলক্ষে হালকা কিছু খাবার দাবার হিসেবে চকলেট, চুইংগাম তেঁতুলের আচার খেতাম ইরফান ভাইও আমাদের খেলার সংগী হতো। কখনো কখনো ইরফান ভাইয়ের সাথে সেসব খেলায় টিপুও যোগ দিত। ও নাচতে খুব পছন্দ করত।ওর স্বাভাবিক হাঁটাচলাও ছিল নাচের মুদ্রার মতো আঁকাবাঁকা ।
ইরফান ভাই আমাদের দুই ক্লাস সিনিয়র ছিল। টিপু বয়সে ইরফান ভাইয়ের বড় হলেও সম্পর্কটা বন্ধুর মতোই ছিল। তবে পড়ালেখায় টিপু খুবই দুর্বল ছিল। তাই নামকা ওয়াস্তে একটা স্কুলে ভর্তি হয়েছিল। ও প্রায় সময়ই স্কুলে যেত না। স্কুলে যেতে নাকি ওর ভালো লাগত না। বেশির ভাগ সময় ও ওদের বিল্ডিং এর ছাদে থাকত। আমরা আমাদের ছাদে উঠলেই ও চলে আসত আমাদের ছাদে।ওর সঙ্গে খেলাধূলার চেয়ে আমি আর ফারজানা আজাইরা সব বিষয় নিয়ে গল্প করতাম। ও মাঝে মাঝে আমাদেরকে বলত, ওর নাকি খুব মেয়ে হওয়ার শখ হয়। ওর বাবা বলেছে ওর যখন এতই শখ হচ্ছে, তাহলে ওকে একদিন মেয়ে বানিয়ে দিবে। আমি আর ফারজানা তো ওর কথার আগা মাথা কিছু বুঝতাম না, কিন্তু ইরফান ভাই খেউ খেউ করে উঠে বলত, আর কোনো শখ করতে পারলি না, মেয়ে হওয়াটা একটা শখের বিষয় হলো। এই দু’টারে(আমাদেরকে দেখিয়ে বলল) দেখিস না , কোনো একটা কাজ ঠিকমতো করতে পারে না , আর তুই মেয়ে হয়ে গেলে আমি কিভাবে পাঠান বাড়ির মাঠে ফুটবল খেলতে যাব একা একা? বেয়াক্কেল কোথাকার!
তো যেদিন সত্যি সত্যি টিপু হঠাৎ করে, টাপ্পাইয়া হয়ে গেল সেদিন আমরা ব্যস্ত ছিলাম কালো ছাগলটা নিয়ে। কার না কার ছাগল আমাদের ছাদের এসে বসে আছে, মালিক হয়তো এতক্ষণে ছাগল খূঁজতে গিয়ে নিজেই পাগল হয়ে গেছে। ছাগল নিয়ে ব্যস্ত থাকায় সেদিন আর আমরা ঘুড়ি উড়ালাম না । হঠাৎ করে শুনি দূর থেকে কার যেন কান্না ভেসে আসছে। কে কাঁদছে, কে কাঁদছে… এই ভাবনা কিছুক্ষণের জন্য মাথায় এলেও ছাগল কে কাঁঠাল পাতা খাওয়ানোয় ব্যস্ত থাকায় আমরা আর কান্না করা মানুষটিকে খূঁজতে বেশি আগ্রহ দেখালাম না । যার ইচ্ছে হয় সে কাঁদবে, আমাদের এত পেরেশানির কি আছে। আমরা নিজেরা এমনিতেই ছাগলকে কাঁঠাল পাতা খাওয়ানো নিয়ে যথেষ্ট পেরেশানির মধ্যে ছিলাম। কারণ প্রথমে কিছুক্ষণ ছাগল আগ্রহ করে কাঁঠাল পাতা খেলেও পরে আর খেতে চাচ্ছিল না। এদিকে ইরফান ভাই আবার ছাগলের দুধ দোয়ানোর জন্য বাসা থেকে সরিষার তেলের বোতল আর একটা ছোট্ট ষ্টীলের বাটি নিয়ে এসেছে।
আমি আর ফারজানা বললাম, ছাগল কি এখনই দুধ দিবে? ইরফান ভাই বলল, এজন্যই তো কাঁঠাল পাতা খাওয়াচ্ছি। বেশি করে খেলে বেশি দুধ দিবে। ছাগলের দুধে অনেক শক্তি। একটু বেশি দুধ দোয়াতে পারলে টিপুর জন্য একটু রেখে দিব।
আমি আর ফারজানা বলি, আমরা না খেয়ে টিপুকে দিয়ে দিব? ইরফান ভাই বলে,দেখিস না ওর গায়ে কোনো শক্তি নেই, হাঁটে কেমন হেলেদুলে, ফুটবল খেলে না, দৌড় ঝাঁপ করতে চায় না, খালি ছাদে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে নাচে। ওর শক্তি নাই তো তাই ও মাঠে গিয়ে ফুটবল খেলার সাহস পায় না। ওর শক্তি দরকার। আর ও আমাদের বন্ধু না, ওর তো মাথায়ও কিঞ্চিত গন্ডগোল আছে, কথা বললে বুঝিস না, কি সব উল্টা পালটা কথা বলে।
আমরা টিপুর শক্তি বাড়ানোর জন্য বেচারা ব্ল্যাক ব্যাংগলের উপড় অনেক জোর করে দুধ দোয়ানোর চেষ্টা করি। ব্ল্যাক বেঙ্গল বোধহয় সদ্য মা হয়েছিল। কারণ আমরা প্রায় এক কাপের মতো দুধ দুয়ে ফেলেছিলাম। কিন্তু থেমে থেমে ভেসে আসা কার যেন আহাজারিতে একটু অন্যমনস্ক হতে গিয়ে দেখি ব্ল্যাক ব্যাঙ্গল দৌড়ে পালাতে গিয়ে আমাদের দুধ সহ দুধের বাটিটা ছাদের ফ্লোরে ফেলে দিল।
তারপর ছাদ থেকে সন্ধ্যার দিকে বাসায় যাওয়ার সময় দেখি বিল্ডিং এর তিনজন খালাম্মা সবার জন্য উন্মুক্ত বারান্দায় দাঁড়িয়ে গল্প করছে। বাসায় ঢুকতে গিয়ে থেমে যাই। কারণ খালাম্মাদের গল্প আমি শুনতে পাই।গল্পের বিষয়বস্তু হচ্ছে টিপু। আমার কানে আসে ওদের গল্পের সারাংশ। একজন বলে, ওমা কি আজব কথা, তাই বলে, একটা ছেলে মেয়ে হয়ে যাবে? এটা কেমনে সম্ভব?
অন্য একজন বলে, ও নাকি ওর বাবাকে বলেছে ওর মেয়ে হওয়ার খুব শখ। তারপর থেকেই ওর বাবা ওকে মেয়ে বানানোর চিকিৎসা করছিল। ওর বাবা ডাক্তার তো ।ডাক্তাররা চাইলে কত কিছু করতে পারে! আরেকজন বলছে,ওর নাম নাকি এখন থেকে টাপ্পাইয়া, দুনিয়া বড় কঠিন রে বোন, খোদার মনে কি আছে তা কি আর মানুষ বুঝতে পারে! খোদা চাইলে ছেলেরে মেয়ে বানাইতে পারে, মেয়েরে ছেলে বানাইতে পারে, সবই খোদার ইচ্ছা।
অন্য দু’জন দীর্ঘশ্বাস ফেলে সহমত প্রকাশ করে বলে, ঠিকই বলছেন আপা, আল্লাহ যা করে ভালোর জন্য করে। মাগরিবের আযানের ধ্বনিতে গল্পের আসর ভেঙ্গে যায়। যেতে যেতে তখনো কথা থেকে যায়। একজন ফিসফিস করে বলে, আচ্ছা আপা, একটা জিনিস বলেন তো, এই যে ছেলেটা মেয়ে হয়ে গেল ওর ইয়েটাও কি মেয়েদের মতো হয়ে গেছে। অন্যরা করুণ সুরে ব্যথিত গলায় বলে, জানি না আপা, জানি না ।
এরপর থেকে টিপু মেয়েদের মতো সালোয়ার কামিজ পরত।ওড়না পড়ার দরকার ছিল না, তারপরও ও গলায় একটা ওড়না ঝুলিয়ে হাঁটত। আর একটু বড় হতেই দেখি ওর মুখে দাড়ি গোঁফ গজাচ্ছিল। শারীরিক পরিবর্তনের এই প্রক্রিয়ায় প্রথম প্রথম ও আমাদের সামনে না আসলেও পরে শেভ করে আসত।
টাপ্পাইয়াকে নিয়ে সবাই হাসাহাসি করত। কেউ কেউ কেমন অশালীন কথাও বলত। তখন ও মাঝে মাঝে খুব বিরক্ত হয়ে বলত, দাঁড়া বাবাকে বলে আবার আমি ছেলে হয়ে যাব। মেয়ে জীবনের চেয়ে আমার ছেলে জীবন অনেক ভালো ছিল। টাপ্পাইয়া আবার টিপু হওয়ার বাসনায় বেশি খুশি হয় ইরফান ভাই। কারণ টিপু টাপ্পাইয়া হয়ে যাওয়ার পর থেকে ইরফান ভাই খুব একা হয়ে পড়েছিল বিল্ডিং এ সমবয়সী আর কোনো ছেলে না থাকায়। ওর ঘুড়ি সমানে ভোকাট্টা হয়ে যেত। টাপ্পাইয়াও আগের মতো প্রতিদিন আর আমাদের ছাদে আসত না । বলতো , মেয়ে হয়ে গেছি তো , তাই মাকে বলে বাসা থেকে বের হতে হয়।
আমরা অপেক্ষা করতে থাকলাম কখন যে টাপ্পাইয়া আবার টিপু হয়ে যাবে! ওর বাবার ওষুধ কাজ করতে এত সময় লাগছে কেন? কখনো কখনো আমাদের ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটলে আমরা টিপুর, টাপ্পাইয়া হয়ে যাওয়ার শখটাকে প্রকাশ্যেই ভর্ৎসনা করতাম।
একদিন দুপুররের দিকে স্কুল থেকে টিফিন পিরিয়ডে বাসায় এসে শুনি টাপ্পাইয়ার বাবা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে আছে। অবস্থা বেশি খারাপ। এ কথা শুনে টাপ্পাইয়ার বাবার চেয়েও আমরা টাপ্পাইয়ার জন্য বেশি চিন্তিত হয়ে পড়লাম। কারণ টাপ্পাইয়ার বাবার কিছু হয়ে গেলে টাপ্পাইয়ার চিকিৎসা তো নির্ঘাত বন্ধ হয়ে যাবে। আমি, ফারজানা, ইরফান ভাই আমরা টাপ্পাইয়ার বাবার জন্য আল্লাহর কাছে হাত তুলে কত দোয়া করলাম যেন তিনি বেঁচে থাকেন। কিন্তু না, তিনদিন হাসপাতালে থাকার পর চারদিনের দিন টাপ্পাইয়ার বাবা মারা গেল।আর সেই সঙ্গে টাপ্পাইয়ার আবার আগের জীবন ফিরে পাবার, অর্থাৎ টিপু হবার সম্ভাবনাও মারা গেল। কারণ টিপুকে তিনি কি ওষুধ খাইয়ে মেয়ে বানিয়ে ফেলেছিলেন তা তিনি ছাড়া বাসার কেউ জানে না।এ সম্পর্কে তিনি কোথাও কিছু লিখেও রাখেন নি। টাপ্পাইয়া বাবার জন্য অনেক কেঁদেছে, কাঁদতে কাঁদতে বাড়ির সীমানার সামনে দাঁড়িয়ে বলেছে, ওবুক আঁর আব্বু হডে চলি যারগই, আঁরে হনে ওষুধ দিবু, ও আব্বুরে…।
টিপুর কান্নায় আমরাও সিক্ত হয়েছিলাম। আর মনে মনে কত আফসোস করেছিলাম ! আহারে ওর বাবা যদি ওষুধটার কথা কোথাও লিখে রেখে যেত!
কয়েকদিন হা হুতাশ করে বিষন্ন মনে আমরা টিপুর ,টাপ্পাইয়া পরিবর্তনটাকে স্বাভাবিক বলেই মেনে নিয়েছিলাম। এরপর থেকে টিপুকে আমরা আর টিপু ডাকতাম না । টাপ্পাইয়া ডাকতাম।“এই টাপ্পাইয়া” বলে ডাকলে ও সাড়া দিত। আশ্চর্য এক সময় আমরা ভুলেই গেছি ও কখনো টিপু ছিল।