পাণ্ডুলিপি থেকে | ইলিয়াস কমল
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১১:৫৯ অপরাহ্ণ, | ১৪৩৭ বার পঠিত
সাপ
এইতো ভুলে যাচ্ছ পাখির স্বভাব
যার যার পাখনায় নিজস্ব রং নিয়ে,
—তাড়িত দুপুর স্বপ্ন দেখায়
তবুও তার ডানায় বেঁধে দিই শত সুর;
শ্মশানের সব সুর মিলে হয় ঐকিক নিয়ম।
ঘোড়সওয়ারের স্বপ্ন
রাতের বাগানে দুলে ওঠা ভ্রম নিয়তিতাড়িত আলখাল্লা পরে
সেই অভিলাষ লিখে রেখে মৃৎপাত্রের বুকে আগুন উৎসব শুরু হয়
জান কি, আমাকে পেয়েছে ঘোড়া রোগ— নিষ্ক্রান্ত হওয়ার আশা বহুদিনের
দিন-রাতের হিসেবে যদি গরমিল না থাকে
তবে কালপুরুষকে সাক্ষী রেখে লিখব ইতিহাস
ঘোড়সওয়ারের স্বপ্ন নিয়ে দেখো উঠেছে রুপালি চাঁদ!
অযান্ত্রিক অক্ষরের প্রতিলিপি
চকলেটের সৌন্দর্য নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম মাঠে
চারপাশে ছড়িয়ে পোষা কাকাতুয়ার বাড়ি—
একদিন ভোরবেলা নাব্যতার গল্প পকেট ভর্তি করে
বহুদূর হেঁটে গিয়েছি বন্ধুর কবর খুঁজব বলে
আমাকে ক্লান্ত করে যে পথ হেঁটে গেছে কালীমন্দির
আমি তার বন্দনা করি
ঘুমিয়ে যাওয়ার আগে বন্দনা করি জেগে থাকা ডাহুক বনের
ভুলিনি আমিও পাখি, আছে এক জোড়া ডানা
০২.
এত ভিড় নিয়ে কীভাবে দাঁড়ায় সতেজ বৃক্ষ?
তার কি জ্বলে না অন্ধকার?
এই পুরা আকাশে জ্বলে নক্ষত্র পোড়া ট্রেন
খোলা বাজারে তাই তুমি আকাক্সক্ষার নাটাই সুতা
নানা মাত্রায় ছড়াও ভিন্ন সুর
আলো নিভে গেলে মুগ্ধতা এসে বলে ‘ছুটি’ নাই
সে উড়োজাহাজ আর উড়ে না পৃথিবীতে
এই ভুল জমা শহরে নগর বাউলের রাতে
একদিন সত্যি সত্যি আকাশ ভেদ করে নির্জলা রোদ ভেসে উঠবে
কবে সেই কাক্সিক্ষত ছুটি? কবে জ্বলে উঠবে ঘোড়া মৃত্যুর উসুল?
ছুটতে ছুটতে তাই মৃত্যু পর্যন্ত একটা ঘোড়াই তো হয়েছে মানুষ
মানুষই তো হয়েছে ঘোড়া
গভীর রাত এলে মৃত্যুর মতো জীবনে এই সত্য জেনে যায় কেউ
কেউ বা অতিক্রম করে সত্যেরও অপার বিস্ময়!
ঘর ভুলে পাখি ও পশু প্রলাপের নিয়ম মানে না কেউ
চলি নিজের মতো! নিজেকে নিংড়ে নিয়ে অন্যের পাথর পাহাড়ে
শব্দ আর ছবির ভুবন গড়ি— দেখি এক নিশ্চুপ সমুদ্র অপেক্ষার
কালো তীর মেলে ধরে পৃষ্ঠার সৌন্দর্যের মতো ডাকে;
তুমিই তো সেই ভুবনেশ্বর, ঘুমাও না একবার যত পার