হতে পারে জাদুটোনা ধূলি, ছাই রাশি রাশি । রাতুল রাহা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১২:০৭ পূর্বাহ্ণ, | ২৫৮০ বার পঠিত
মধ্যাহ্নে সন্ধ্যার উদয়
সময়ে বার্তা পাঠালাম, তবু কেন অভিমান করো, ও হাওয়া
হলুদ ফুলের মত মরসুম ভরা সোনা রঙে
কতো যে মাধুর্য, মোহ, ভাবনার সাযুজ্য তোমার ওই মুখে
তামাটে তোমার মুখ, বিস্তীর্ণ চিন্তার বিভা প্রকাশিত
এখানে ফড়িঙ ওড়ে, তুলোবীজ ওড়ে । পাতা ঝরবার শব্দে
লিখলাম—’আকাশে বেদনাগুলো মেঘ হয়ে ভাসে’
মধ্যাহ্ন গান বেজে ওঠে আর তোমাদের ওই পাড়াগাঁয়ে
সাপের খোলস ছেড়ে বের হওয়া গ্রাম্যকিশোরী যায় স্নানে
—দূরের হুইসেল শুনে, সচকিত হয়
কিভাবে হাতের রেখা ম্লান হয়, সে প্রসঙ্গে কিছুকাল ভাবি
আর গুমোট বাতাস চিঁড়ে বৈধব্য রাগ শোনা গেলে
চোখ খুলে দেখি, ঘনীভূত হতে হতে মধ্যাহ্নে সন্ধ্যার উদয়
বসন্ত সমাগত
আরেকটি গান গাও, ও কোকিল; সকালের পাশে, শুকনো মাটির হাসি
রাবারের বন কতো দূরে?
সেথায় লুকোনো আছে সন্ত সুরের আর সন্ধ্যার রাগ । ও বাউল, গাও
রচিত নদীর বাঁকে জেলেদের জালভরা গান
দূরত্ব মেপে নাও, এখন ঋতুর সংকেত দেখা গেলে; ওপারে ক্রুদ্ধ হাসি
নিমেষেই লুপ্ত হতে পারে, হতে পারে জাদুটোনা ধূলি, ছাই রাশি রাশি
নাম পরিচয়
যতদূরে চোখ যায় দেখছি আকাশ
আর মাঠ
এ সবুজ তৃণভূমে একটি বালিকা
বসে আছে, অশ্বত্থ গাছের ছায়ায়
কী তার নাম?
কেন সে মৌন হয়ে একা বসে আছে?
এই কথা আমি ভাবলাম
আর
লক্ষ্য করলাম, আমিও তো তার মতো
একা বসে আছি, অশ্বত্থ গাছের ছায়ায়
আমাকে ডাকার মত কোনো নাম
এই প্রান্তরে, সত্যিই কেউ তো জানে না