জন আব্রাহামের ‘রকি হ্যান্ডসাম’ । মোঃ অনিকউজ্জামান
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ এপ্রিল ২০১৬, ৭:৪০ পূর্বাহ্ণ, | ৩১৭৬ বার পঠিত
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ২০১০ সালের কোরিয়ান ব্লকবাস্টার মুভি ‘দ্য ম্যান ফ্রম নোহোয়ার’ এর বলিউড রিমেক ‘রকি হ্যান্ডসাম’ যা পরিচালনা করেছে ‘ফোর্স’, ‘লাই ভারি’ ও ‘দৃশ্যম’ খ্যাত ‘নিশিকান্ত কামাত’ এবং মুভির নাম ভূমিকায় অভিনয়ের পাশাপাশি মুভিটি প্রযোজনা করেছে ‘জন আব্রাহাম’। চলুন দেখে নেয়া যাক কি কি আছে ‘রকি হ্যান্ডসাম’ এর ভিতরে…
যারা যারা ‘দ্য ম্যান ফ্রম নোহোয়ার’ ও ‘রকি হ্যান্ডসাম’ এর ট্রেলার দেখেছেন তারা মোটামুটি জানেন যে এ মুভির গল্পতে কি আছে। মুভির গল্প খুব সিম্পল, এক রহস্যময় মানুষের সাথে একটি ছোট্ট মেয়ের ইমোশোনাল সম্পর্ক এবং মেয়েটি কিডন্যাপ হয়ে যাবার পর সেই মেয়েটির খোঁজে সেই রহস্যময় মানুষটির গোটা আন্ডারওয়ার্ল্ড ছারখার করে ফেলার রিভেঞ্জ স্টোরী হচ্ছে ‘রকি হ্যান্ডসাম’। এখন যেহেতু এটি একটি রিমেক মুভি সেহেতু প্রশ্ন আসতেই পারে, ‘রকি হ্যান্ডসাম’ এ ‘দ্য ম্যান ফ্রম নোহোয়ার’ এর কতটুকু রিমেক হয়েছে বা ভাল হয়েছে নাকি খারাপ হয়েছে। আমরা এর আগে বলিউডের দুটি সফল কোরিয়ান রিমেক মুভি দেখেছি ‘আওয়ারাপান’ ও ‘এক ভিলেন’ যার শুধু মাত্র থিমটা মুল মুভি থেকে নেয়া হয়েছিল ও বাকিটা ছিল বলিউডি থিউরী। ‘রকি হ্যান্ডসাম’ এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। এ মুভি সম্পূর্ণ রূপে ‘দ্য ম্যান ফ্রম নোহোয়ার’ এর রিমেক। এমনকি কিছু কিছু দৃশ্য, লোকেশন ও ডায়লগও হুবহু রিমেক করা হয়েছে অরিজিনাল মুভিটি থেকে। তারপরও বাকি দৃশ্যের লোকেশন ও প্রেক্ষাপটে ভিন্নতা ও কিছু গান ও ইমোশন অ্যাড করা হয়েছে যা সচারচর বলিউড মুভিতে থাকে। মোট কথা ‘রকি হ্যান্ডসাম’কে বলা যায় ‘দ্য ম্যান ফ্রম নোহোয়ার’ এর একটি ফেইথফুল রিমেক যেখানে বাহিরের কোন থিম অ্যাড করা হয়নি।
এবার আসা যাক কিছু বিতর্কতে, ‘দ্য ম্যান ফ্রম নোহোয়ার’ মুভিতে নায়কের সাথে তার স্ত্রীর কোন রোমান্টিক মোমেন্ট ছিল না। কোরিয়ানরা ইমোশোনের ধার ধারে না। তাদের রিভেঞ্জ মুভি গুলোতে ধর তক্তা মার পেরেক টাইপের থিম থাকে। সেই ক্ষেত্রে ‘রকি হ্যান্ডসাম’ ব্যতিক্রম। এখানে ‘জন’ ও তার স্ত্রী ‘শ্রুতি হাসান’ এর সাথে একটি রোমান্টিক গান ও কিছু ইমোশোনাল দৃশ্যের দ্বারা অনেক সুন্দর করে একটি ইমোশোনাল প্লট তৈরী করা হয়েছে এই উপমহাদেশের দর্শকদের জন্য এবং বিশেষ করে ইন্ডিয়ান দর্শকেরা যা বেশী পছন্দ করে। অনেকে অভিযোগ জানাতে পারে শ্রুতি হাসান এর চরিত্রটির ব্যপ্তি আরো দীর্ঘায়িত কেন করা হল না ? কারণ এতে মুভির টোটাল রান টাইমে সমস্যা হত। ২ ঘন্টা দীর্ঘ ‘রকি হ্যান্ডসাম’ মুভিটিতে পুরোপুরি ‘দ্য ম্যান ফ্রম নোহোয়ার’ এর সকল এলিমেন্ট দেবার পর এক্সট্রা ‘শ্রুতি হাসান’ কে অ্যাড করা হয়েছে, তাই আমি মনে করি ‘শ্রুতি হাসান’ কে যতটুকু সময় দেয়া হয়েছে তাতেই সে সফল ভাবে দর্শকের মনে ইমোশোনাল জায়গা তৈরীতে সক্ষম হয়েছে (থ্যাঙ্কস টু ‘রেহনুমা’ গানটি)। ‘রকি হ্যান্ডসাম’ মুভির আরো একটি অভিযোগ হচ্ছে দুটি আইটেম সং কেন রাখা হল ? কারণ গোটা মুভিটি চরম মাত্রায় ভায়োলেন্স, ডার্কনেস ও স্যাডনেসে পরিপূর্ণ তাই এমন একটি মুভিতে যদি হালকা বিনোদন না থাকে তবে ইন্ডিয়ান দর্শকের জন্য এমন একটি মুভি হজম করা খুব কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। ঠিক এই কারণে দুটি আইটেম সং এর অবতারনা দর্শকের মাইন্ড ফ্রেশ করার জন্য। তাই বলে গান দুটি কিন্তু অপ্রয়োজনীয় ছিল না, কারণ ‘দ্য ম্যান ফ্রম নোহোয়ার’ এও ক্লাবের দৃশ্য ছিল, নর্তকীদের নাচের দৃশ্য ছিল আর সেই দৃশ্য গুলোই এ মুভিতে আইটেম সং এ বদলে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি এই গান দুটির ফাঁকে ফাঁকে এমন কিছু দৃশ্য রাখা হয়েছে যা মিস করলে আপনি মুভির অনেক বড় মজা থেকে বঞ্চিত হবেন। প্রথম গান ‘তিতলি’র ফাকে ভিলেনের স্মাগলিং ডিল সংক্রান্ত কথোপকথন ও দ্বিতীয় গান ‘রক দ্য পার্টি’র ফাঁকে আছে ‘জন’ এর কিছু হার্ডকোর অ্যাকশন। সুতরাং গান দুটি আপনাকে বিনোদন দেবার পাশাপাশি গল্পের সাথেও জড়িয়ে রাখবে। ‘দ্য ম্যান ফ্রম নোহোয়ার’ এর গল্প মূলত অনেক স্ট্রেট ফরোয়ার্ড ছিল আর ‘রকি হ্যান্ডসাম’ ঐ একই গল্পই একটু নাটকীয়তা, সাসপেন্স ও ড্রামাটিক স্টাইলে উপস্থাপন করেছে।
‘রকি হ্যান্ডসাম’ এর গল্প নিয়ে বলার কিছুই নেই। কেউ যদি বলেন যে এর মত ফালতু গল্প আর কোথাও দেখি না, তবে মূলত ‘দ্য ম্যান ফ্রম নোহোয়ার’ মুভিকেই গালি দেয়া হবে কারণ আগেই বলেছি এটি হুবহু রিমেক। তাই, এই মুভিতে গল্প না খুঁজে মুভিটি এঞ্জয় করাটাই সব থেকে বুদ্ধিমানের কাজ হবে। মূলত ‘রকি হ্যান্ডসাম’ মুভিটি সব শ্রেণীর দর্শকদের জন্য না। এটি মূলত ৩ শ্রেণীর দর্শকদের জন্য। ০১. যারা অতি মাত্রায় ভালোলেন্ট অ্যাকশন পছন্দ করেন। ০২. যারা ‘জন আব্রাহাম’ এর হার্ডকোর ফ্যান এবং ০৩. যারা ‘দ্য ম্যান ফ্রম নোহোয়ার’ দেখেছেন। এই ৩ শ্রেণীর বাহিরে কেউ যদি মুভিটি দেখে এসে মুভিতে অন্যন্য এলিমেন্টের অভাব বোধ করে মুভিটিকে বাজে মুভি বলে আখ্যা দেন, তবে এক্ষেত্রে বলার কিছুই নেই। আপনাকে মাথায় রাখতে হবে এটি গল্প ভিত্তিক নয় বরং অ্যাকশন ভিত্তিক মুভি। এই মুভিতে বলিউডের প্রথম এমন কিছু ভা্যোলেন্স ও দুর্দান্ত অ্যাকশন দেখানো হয়েছে যা এর আগে বলিউডে কেউ কখনো করার সাহসই করেনি, কারণ এই মুভির অ্যাকশন গুলো সব হুবহু ‘দ্য ম্যান ফ্রম নোহোয়ার’ থেকেই নেয়া। আবার কেউ যদি ‘দ্য ম্যান ফ্রম নোহোয়ার’ এর সাথে ‘রকি হ্যান্ডসাম’ এর তুলনা করে একে বাজে রিমেক বলেন, এখানেও আপনাকে মাথায় রাখতে হবে এটি বলিউড মুভি, এখানে চেষ্টার কোন ত্রুটি ছিল না ‘দ্য ম্যান ফ্রম নোহোয়ার’ এর ম্যাজিক রিক্রিয়েট করতে আর এটা অবশ্যই আপনার মাথায় রাখতে হবে যে, কোন রিমেকই অরিজিনালকে ছাড়িয়ে যেতে পারে না। সুতরাং বলিউডের মুভি বলিউডের মত করেই এঞ্জয় করুন এখানে কোরিয়ান ফিলের কথা চিন্তা করাটাই বোকামী। আবার কেউ যদি এক্সট্রা এগিয়ে এসে ‘ফোর্স’ মুভির সাথে এই মুভির তুলনা করা শুরু করেন, তবে সেটা হবে প্রথম মাত্রার বোকামী কারণ, ‘ফোর্স’ আর ‘রকি হ্যান্ডসাম’ এর কন্টেন্ট, এলিমেন্ট ও স্টোরী সম্পুর্ণ আলাদা।
যারা যারা অভিযোগ করেন যে ‘জন’ অভিনয় পারে না, তাদের এই মুভিটি দেখা উচিত। একজন সাইলেন্ট কিলার ও ঠান্ডা মাথার খুনী হিসেবে এই মুভিতে ‘জন’ এর বিকল্প আর কেউ হতে পারে না। মুভির কিছু কিছু দৃশ্যে ‘জন’ এতটাই শান্ত, হ্যান্ডসাম, কুল এবং এক্সট্রিম ভায়োলেন্ট টাইপ এক্সপ্রেশন দিয়েছে আমার মতে তা ‘দ্য ম্যান ফ্রম নোহোয়ার’ এর নায়ক ‘ওন বিন’কেও ছাড়িয়ে গেছে (নো অফেন্স)। ‘জন’ কে এতটা হ্যান্ডসাম, কুল এবং রাফ এন্ড টাফ এর আগে কোন মুভিতেই লাগেনি। আর বিশেষ করে ‘শ্রুতি হাসান’ এর মৃত্যুর দৃশ্যে ‘জন’ যে এক্সপ্রেশন দিয়েছে আমি বলবো তা ‘ওন বিন’ এর এক্সপ্রেশনকেও ছাড়িয়ে গেছে, সত্যিই চোখে পানি এনে দেবার মতছিল ঐ দৃশ্যটি। এ মুভিতে ‘দ্য ম্যান ফ্রম নোহোয়ার’ এর হুবহু অ্যাকশন রিক্রিয়েট করতে ‘জন’ স্পেশ্যাল ভাবে নিজের শরীরকে তৈরী করেছে, এক মাস ছুরি চালানোর ট্রেনিং নিয়েছে যা ছিল অত্যান্ত ভয়ঙ্কর ও ঝুকিপুর্ণ। এছাড়াও ‘জন’ স্বয়ং থাইল্যান্ডে স্পেশ্যাল প্রশিক্ষকের কাছে এক মাস ধরে প্রতিদিন ১৪ ঘন্টা করে ‘তাই চাই’, ‘আকিডো’ ও ‘হাপকিডো’ নামক মার্শাল আর্ট শিখেছে (‘জন’ এর এমনিতেই আগে থেকে মার্শাল আর্টে ব্ল্যাক বেল্ট অর্জন করা আছে)। সব মিলিয়ে ‘জন’ নিজের শরীরকে এমন ভাবে তৈরী করেছে যে, সে এখন বছরের ৩৬৫ দিনই ফিট থাকবে এবং এ মুভিতে তাকে খোলা শরীরে যেভাবে মাসল ও প্যাক সহ দেখা গেছে তা মূলত ‘জন’ এর অরিজিনাল বডি এবং তাকে বাস্তবে সব সময় ঠিক এভাবেই দেখা যায়। এসব তথ্য ‘জন’ তার সাক্ষাতকারে নিজের মুখেই স্বীকার করেছে। বলিউডের কিছু কিছু নায়ক কিছু স্পেশ্যাল নামের জন্য বিখ্যাত, যেমন ‘শাহরুখ খান’ বিখ্যাত ‘রাহুল’ নামে, ‘সালমান খান’ বিখ্যাত ‘প্রেম’ এবং ‘ঋতিক রোশন’ বিখ্যাত ‘রোহিত’ নামের জন্য তেমনি ‘জন আব্রাহাম’ বিখ্যাত ‘কবির’ নামটির কারনে। মনে আছে, ‘জন’কে শেষ ‘ধুম’ মুভিতে ‘কবির’ চরিত্রে দেখা গিয়েছিল আর এবার দেখা গেল ‘রকি হ্যান্ডসাম’ মুভিতে ‘কবির আহলাওয়াত’ চরিত্রে। এই নামটি উচ্চারণ করলেই মনের মাঝে ফুটে ওঠে ‘জন’ এর নির্মম, নৃসংশ ও ক্ষমাহীন এক চেহারা যা আমরা ‘ধুম’ মুভিতে দেখেছি আর এবার দেখলাম ‘রকি হ্যান্ডসাম’ এ।
ভায়োলেন্সে ভরপুর ‘রকি হ্যান্ডসাম’ মুভির মূল প্রাণ হচ্ছে মুভির গান গুলো। ‘তিতলি’ ও ‘রক দ্য পার্টি’ আইটেম সং দুটি শুনতে শ্রুতিমধুর ছিল, বিভিন্ন স্যাড দৃশ্যে ‘রাহাত ফতেহ আলি খান’ এর ‘এ খুদা’ গানটির সংযোজন ছিল মন খারাপ করে দেবার মত আর ‘রেহনুমা’ গানটি ছিল একদম দিল ঠান্ডা করে দেবার জন্য যথেষ্ট। অ্যাকশন দৃশ্য গুলোর ব্যাক গ্রাউন্ড মিউজিক ছিল পুরাই মারদাঙ্গা। ভিলেন চরিত্রে প্রথম বারের মত স্বয়ং মুভির পরিচালক ‘নিশিকান্ত কামাত’ ছিল অনেক ভাল ও ঠান্ডা মাথার স্যাডিস্ট টাইপের ভিলেন। ‘নাটালিয়া কৌর’ মোটামুটি ছিল, তাকে ভাল লেগেছে ‘তিতলি’ আইটেম সং এ। আর গোটা মুভিতে যে সবার মন জয় করেছে, সে হল ছোট্ট মেয়ে ‘দিয়া চালওয়াদ’, যে প্রথম আমাদের চোখে পানি এনে দিয়েছিল ‘কিক’ মুভিতে ‘ঝুমকি’ চরিত্রে অভিনয় করে। ‘দিয়া’র সাথে ‘জন’ এর দৃশ্য গুলো বেশ ইমোশোনাল ছিল। তাদের আবেগী জোড়িটা জমেছে ভাল ঠিক ‘দ্য ম্যান ফ্রম নোহোয়ার’ এর মত। এ ছাড়াও পুলিশ অফিসার চরিত্রে ‘শরদ কেলকার’ ছিল ‘জন’ এর মতই রাফ এন্ড টাফ, যাকে বলে ‘জন’ এর যোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী। তবে এ মুভিতে সব থেকে বিরক্তিকর ছিল ‘নিশিকান্ত কামাত’ এর ভিলেন ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করা এক আবুল এর চরিত্র। গোটা মুভিতে সে বিরক্ত ছাড়া আর কিছুই দেয়নি। ‘জন’ এর হাতে এই আবুলটা মরার পর আসলেই অনেক শান্তি পেয়েছি। আর গোটা মুভিতে একটি বিষয় বেশ দৃষ্টিকটু ছিল, তা হল শেষ অ্যাকশন দৃশ্যে গোলাগুলির সময় ‘জন’ একটি রিভলবার নিয়েই মেশিন গানের মত অনবরত গুলি করতে থাকে কোন রকম ম্যাগাজিন পালটানো ছাড়াই যা মূলত বাংলা সিনেমায় দেখা যায় (পিস্তলের গুলি কখনো শেষ হয় না)। ‘দ্য ম্যান ফ্রম নোহোয়ার’ এ এমনটা ছিল না। এই বিষয়টি পরিচালকের মাথায় রাখা উচিত ছিল। আর গোটা মুভিতে ‘রকি’ নামের কোন তাৎপর্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। ‘হ্যান্ডসাম’ নামের অনেক রেফারেন্স এসেছে কিন্তু ‘রকি’ নামটি শুধু শুধু রাখা, এমনকি মুভির প্রথম টিজারে ‘রকি’ সংক্রান্ত ‘জন’ এর একটি পাওয়ারফুল ডায়লগ ছিল যা মুভিতে কেটে দেয়া হয়েছে, যার ফলে ‘রকি’ নামের গুরুত্ব অনেক কমে গেছে। যাই হোক, সব শেষে মুভি ভাল হোক, খারাপ হোক ভায়োলেন্স ও ‘জন আব্রাহাম’ এর ফ্যানদের জন্য এটি একটি মাস্ট ওয়াচ মুভি। সত্যিই মুভিটি শেষ করে আপনি বলতে বাধ্য হবেন এ কোন নতুন ‘জন’ ? ‘জন আব্রাহাম’ From Nowhere… !!!
Rating: N/A/10 (N/A votes)
Director: Nishikant Kamat
Writer: Ritesh Shah (screenplay)
Stars: John Abraham, Shruti K. Haasan, Kazu Patrick Tang, Nathalia Kaur
Runtime: N/A
Rated: N/A
Genre: Action
Released: 05 Feb 2016
Plot: When a drug mafia abducts an eight-year old, her dearest man sets out on a mission with a view of returning the compliment.