কয়েকটা ধর্মীয় কবিতা । ইমরুল হাসান
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ জুলাই ২০১৫, ৪:২৯ পূর্বাহ্ণ, | ৩৫৪৯ বার পঠিত
নেকাব
.
নেকাবের মানে হইলো দিত্ব
এর মধ্যেই বাঁধা পইড়া থাকে সমগ্ররূপ, কাহিনির আড়াল
কখনো পতিব্রতা মেয়ে আসে সামনে, দাঁড়াইয়া যে থাকে, সেইটাই নিশ্চিতি
পূর্ণতা দেখা গেলে মনে হইতো অসম্ভব, মনে হইতো এতো পরিচয়ের সবটাই মিথ্যা
স্বপ্নের মায়াবী দিন, তার জাগতিকতা
কোনদিন, যে ছিল, আজ তা-ই মনে আসে; অর্ধ-চাঁদ দেখা গেলো মেঘের ওপারে!
.
শবে বরাতের দিন
.
শবে বরাতের দিন। মাংস আর মসলার দোকানে ভীড়। চাইলের রুটি দিয়া বুটের হালুয়া খাওয়ার পর মনে হইলো, গরুর মাংসের ঝোল দিয়া একটু খাইতে পারলেও খারাপ লাগতো না। এইরকম সামান্য অতৃপ্তির ভিতরই যেনো আটকাইয়া থাকে সমস্ত বাসনা। আমার শবে বরাতের নমাজ, প্রার্থনা!
.
মা দুর্গা!
.
ইচ্ছা হয়, দুপুরের কটকটা রোদে
কালা রাস্তার উপর
চিৎ হয়া শুইয়া থাকি
.
আর আমার বুকের ওপর চাইপা থাকুক
আলতা দেয়া তোমার দুধেল পা
.
মা দুর্গা!
.
মা কালী!
.
তোমার লাল জিহ্বা
কি যে ভয়ংকর চোখ!
তাকাইলে আত্মা শিরশির করে
.
না তাকাইলে মনে হয়
কি জানি দেখলাম না
.
তোমার চুলগুলা ঝড়ের মেঘের মতো
উইড়া আইসা নিয়া যায় আমারে
.
তোমার বুকের ভিতর আগুণের মাঝখানে
কি যে ঠান্ডা!
আমি বইসা থাকি
.
ভক্তরা ঘুরিয়া ঘুরিয়া নৃত্য করে
আর আমি তোমার জয়ধ্বনি করি,
.
জয় মা কালী!
# #