রাশপ্রিন্ট : নবপ্রসাধনের পূর্বাপর
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ জুন ২০১৫, ১:৩১ পূর্বাহ্ণ, | ১৯৬৩ বার পঠিত
রাশপ্রিন্ট প্রথম পোস্ট জুলাই ২০১২ থেকে একটানা তিন বছর সঞ্চালিত হয়েছে লেখক-পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলের ঔদার্য ও প্রশ্রয় সম্বল করে। এই তিনটি বছরে যা-কিছু ভালো হয়েছে, যেটুকু যৎকিঞ্চিৎ, লেখক-পাঠক-দর্শক ও অন্যান্য অবদায়ক সকলে সেই ভালোটুকুর প্রণেতা। রাশপ্রিন্ট তাদের সকলের কাছে দুই-বাহু-প্রসারিত সম্ভাষণ জানায় এই নবপর্যায়িক যাত্রাপ্রাক্কালে, কৃতজ্ঞতা জানায় পেছনের দিনগুলির সহযোগ স্মরণ করে, যেন সামনের দিনগুলি দ্বিগুণ সুরেলা সম্মেলক গানে ভরে থাকে এই মেলাপ্যান্ডেল সেই আশ্বাস ও বরাভয় চায় সকলের কাছ থেকে।
এমনিতে এই পত্রিকার একটা চারিত্র্য অনুল্লেখ্য হলেও অগোচর নয় নিশ্চয়, একটা ছাপ্পা তো পড়েই যায় পিঠে প্রাকৃতিক নিয়মে সক্কলেরই, এরই মধ্যে রাশপ্রিন্টও নিশ্চয় সেই চারিত্র্য অভিপ্রেত হোক অথবা অনভিপ্রেত অর্জন করেছে। ভালো ও মন্দ মিলায়ে সকলে বেশ অসীম উদারতায় দেখেছেন এর গতিপথরেখা। আগামী দিনগুলিতে এই পথরেখা আরেকটু স্বচ্ছ ও পাক্কা নিশানার হবে আশা করা যায়।
পত্রিকার, রাশপ্রিন্ট পত্রিকাটার, খামতি-ঘাটতি ইত্যাদি সীমাহীন। অঙ্গসজ্জা ও অলঙ্করণ প্রভৃতির সীমিত বন্দোবস্ত, বলা বাহুল্য, অনলাইন পত্রিকার পক্ষে একটা বড়সড় সীমাবদ্ধতা। রাশপ্রিন্ট এই সীমাবদ্ধতা স্বীকার করে নিয়ে মেরামতির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে দেরিতে হলেও এবং অবশেষে নতুন কলেবরে নবপ্রণোদনা ও প্রত্যয় নিয়ে এবারকার যাত্রা। আশা করা নয় কেবল, এখন থেকে লেখক-কবি-শিল্পীদের কাজগুলো অনেক বেশি প্রাযুক্তিক সুবিধা পাবে আগের তুলনায় এবং নন্দনসৌকর্যের দিক থেকে ঢের সুচারু উপস্থাপনের সুযোগ নবপ্রবর্তনায় পাওয়া যাবে এইটুকু নিশ্চিত।
লক্ষ করা যাবে যে নবসজ্জার রাশপ্রিন্ট সূচিভূক্ত করতে চেয়েছে বাংলা ভাষায় লেখালেখির সম্ভাব্য সব-কয়টি এলাকা; যার ফলে এখনকার ব্যবস্থিত সূচিপত্রে/মেন্যুতে ভূক্তিসূচক/বিভাগ সংখ্যায় এবং স্বাতন্ত্র্যে বেড়েছে, সেইসঙ্গে এই বিভাগোন্নয়ন বৈভববাহী হয়েছে বলে আশা করা যাচ্ছে। এখন লেখা প্রাপ্তির সাপেক্ষে এই নতুন পত্তনিকৃত বিভাগসমূহ ক্রমশ ভরে উঠবে এটুকু প্রত্যাশা রাশপ্রিন্ট করছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, লব্ধপ্রতিষ্ঠ ও নতুন লেখকদের সম্মিলনে বরাবরের মতো রাশপ্রিন্ট প্রকাশন ও সম্প্রচারণ অব্যাহত রইবে। এমন নয় যে এখানে কেবল আমন্ত্রিত লেখকদের লেখাই ছাপা হবে; পাশাপাশি সমান যত্নে স্থান পাবে হাতেখড়ি লিখিয়েদের লেখা ও আঁকাজোকা। রাশপ্রিন্ট আদৌ কোনো সেন্টার ফর এক্সিলেন্স হবার বাসনা রাখে না, বরং সবল ও অপেক্ষাকৃত দুর্বলের সৃজনক্রিয়ায় বিকাশের ধারাবাহিকতা সচল রাখতে চায়।
এবং বিশেষভাবেই দ্রষ্টব্য যে এই পত্রিকার মাস্টহেড ও লোগো ডিজাইন সম্পূর্ণত সঞ্চালকের; ব্যানারে ব্যবহৃত আলোকচিত্র সঞ্চালক কর্তৃক গৃহীত এবং সঞ্চালনগত প্রয়োজনে অনিয়মিত বিরতিতে ব্যানার ও অন্যান্য শোভা সুপরিবর্তনীয়। উল্লেখ্য, সঞ্চালন সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য ও প্রয়োজনীয় ঘোষণা প্রভৃতি যথানিয়মিত রাশপ্রিন্টরেখা বিভাগের মাধ্যমে সর্বগোচর রাখা হবে। সবাইকে রাশপ্রিন্ট ভ্রমণের আমন্ত্রণ ও শুভেচ্ছা আদিগন্ত।