দ্য ব্যাটম্যান লিগ্যাসী / অনিক-উজ্জামান বাপ্পি
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ মে ২০১৪, ৩:১০ পূর্বাহ্ণ, | ৭০৪৬ বার পঠিত
“দ্য ব্যাটম্যান লিগ্যাসী”… (১৯৮৯-২০১৬) পর্ব ০১
DC কমিক্সের যত চরিত্র আছে, তার মাঝে সব থেকে ডার্ক চরিত্র হচ্ছে “ব্যাটম্যান”। এখনকার সময় “ব্যাটম্যান” নাম শুনলেই আমাদের মাথায় প্রথম যে দুটি নাম উঁকি দেয়, তা হল “ক্রিস্টোফার নোলান” এবং “ক্রিসচিয়ান বেল”। কেন উঁকি দেয়, সেটাও আমরা খুব ভাল করেই জানি এবং এ নিয়ে এর আগে অনেক আলোচনা হয়েছে তাই এই বিষয়টা আপাতত সাইডে রাখি।
যারা “ব্যাটম্যান” বলতে শুধু “দ্য ডার্ক নাইট” সিরিজটাই চেনেন, তাদের অবগতির জন্য বলছি, অতীতে এই চরিত্র নিয়ে কম মুভি হয়নি। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল, কমিক্স জগতে যত চরিত্র আছে, তার মাঝে এই “ব্যাটম্যান” হল এমনি এক চরিত্র যাকে নিয়ে মুভি বানাতে গিয়ে নির্মাতারা সব থেকে বেশী চিন্তায় পড়ে ও এই চরিত্রে রুপদানকারী অভিনেতা থাকে সব থেকে বেশী ভয়ে। কেন এই প্রশ্নের উত্তরটা একটু পরে দিচ্ছি, আপাতত চলুন একটু ইতিহাস থেকে ঘুরে আসি…
“Batman” (1989)
“ব্যাটম্যান”কে সর্ব প্রথম রুপালী পর্দায় নিয়ে আসে স্বনামধন্য পরিচালক “টিম বার্টন” (“বিটলজুস”, “প্লানেট অফ দি এপস”, “অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড”, “ডার্ক শ্যাডোস”)। “বিটলজুস” মুভির সাফল্যের পর প্রোডাকশন কম্পানী “ওয়ার্নার ব্রাদারস” “ব্যাটম্যান” মুভি তৈরীর দায়িত্ব দেয় “টিম বার্টন”এর উপর। “সুপারম্যান” মুভির মত “ব্যাটম্যান” চরিত্র করার জন্য “মেল গিবসন”, “কেভিন কস্টনার”, “চার্লি শেন”, “পিয়ার্স ব্রসনান”, “টম সেলেক” এবং “বিল মুরে” এদের মত তখনকার সময়ের হলিউডের প্রথম সারির অভিনেতাদের কথা চিন্তা করা হয়। “বার্টন”কে প্রেশার দেয়া হয় কোন তুঁখোড় অ্যাকশন হিরোকে কাস্ট করার জন্য। কিন্তু শেষে প্রোডিউসার “জন পিটারস” এর পছন্দে “মাইকেল কেটন” (“কারস”, “টয় স্টোরী 3”, “দি আদার গাইজ”, “রোবোকপ”, “নিড ফর স্পিড”, “বার্ডম্যান”) কে ফাইনাল করা হয় “ব্যাটম্যান” চরিত্রে। “মাইকেল কেটন” মূলত ছিল একজন কমেডী অভিনেতা, তাই অনেকেই মেনে নিতে পারে না যে “ব্যাটম্যান” এর মত সিরিয়াস একটা চরিত্র সে ঠিকভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারবে। অবশেষে, প্রোডিউসারের সাথে অনেক তর্কা-তর্কির পর এবং ইতমধ্যে “বিটলজুস”এ “কেটন”কে নিয়ে কাজ করার ফলে “টিম বার্টন” “মাইকেল”কে মেনে নেয় “ব্যাটম্যান” হিসেবে। “আলফ্রেড” চরিত্রে অভিনয় করে “মাইকেল গঘ”। এ মুভিতে সর্বপ্রথম “জোকার” রুপে অনবদ্য অভিনয় করে “জ্যাক নিকলসন” (“ওয়ান ফ্লিউ ওভার দ্য কুক্কুস নেস্ট”, “দ্য শাইনিং”, “এ ফিউ গুড মেন”, “দ্য ডিপার্টেড”)। এ চরিত্রের জন্য প্রথমে কন্সিডার করা হয়েছিল “টিম কারি”, “উইলিয়াম ড্যাফো”, “ডেভিড বোয়ি”, “জন লিথগো” এবং “জেমস উড” কে। “বার্টন” চেয়েছিল “ব্র্যাড ডোওরিফ” কে কিন্তু স্টুডিও মানা করে দেয়। “রবিন উইলিয়াম” অনেক চেষ্টা করেছিল রোলটি পাবার জন্য। কিন্তু অনেক আগে থেকেই প্রডিউসার “মাইকেল উসলান”, “বব কেইন”, “জন পিটারস” দের পছন্দ ছিল “জ্যাক”। এ রোলটি করার জন্য “জ্যাক” চড়া পারিশ্রমিক দাবি করে এবং তাকে সেই অনুযায়ী 6 মিলিয়ন দিয়ে সন্তুষ্ট করা হয়। খুবই কম বাজেট 35 মিলিয়ন এ তৈরী “ব্যাটম্যান” রিলিজের পর সব হিসাব নিকাস বদলে দেয়। ওপেনিং দিনে 29.4 মিলিয়ন আয় করে মাত্র ১ সপ্তায় পূর্বের “ঘোস্টবাস্টার 2” এর ওপেনিং রেকর্ড ভেঙ্গে ১০ দিনে প্রথম 100 মিলিয়ন আয় করা মুভি হিসেবে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করে। “ইন্ডিয়ানা জোন্স এন্ড দ্য লাস্ট ক্রুসেড” এর সাথে পাল্লা দিয়ে “ব্যাটম্যান” ডমেস্টিক (উত্তর আমেরিকা) বক্স অফিসে 251 মিলিয়ন এবং গোটা বিশ্বে 411 মিলিয়ন আয় করে যা “দ্য ডার্ক নাইট” (২০০৮) এর আগে DC কমিক্সের উপর নির্মিত মুভিগুলোর মধ্যে সর্বাধিক আয়ের রেকর্ড ছিল। “ব্যাটম্যান” সমালোচকদের কাছ থেকে পজিটিভ রিভিউ পায় এবং “Best Art Direction” এর জন্য “অস্কার” পুরষ্কার অর্জন করে।
“ব্যাটম্যান” তৈরীর পর “টিম বার্টন”এর যে মিশ্র অনুভূতির সৃষ্টি হয় তাতে তার কোন ইচ্ছাই ছিল না এর সিক্যুয়াল নির্মানের। পরবর্তিতে তার মন মত স্ক্রিপ্ট তৈরীর পর তিনি সম্মত হন ২য় পর্ব নির্মানের জন্য। আগের পর্বের মত এ পর্বেও “ব্যাটম্যান” ও “আলফ্রেড” চরিত্রে “মাইকেল কেটন” ও “মাইকেল গঘ” অভিনয় করে। এ পর্বে ভিলেন রুপে আবির্ভূত হয় “পেঙ্গুইন” যে চরিত্রে অসাধারাণ অভিনয় করে “ড্যানি ডেভিটো” (“ওয়ান ফ্লিউ ওভার দ্য কুক্কুস নেস্ট”, “দ্য লোরাক্স”)। শুধু “পেঙ্গুইন”ই নয়, এ পর্বে রুপ ও রহস্যের জাদু নিয়ে হাজির হয় “ক্যাট উম্যান”। এ চরিত্রের জন্য প্রথমে “ডেমি মুর” এবং “নিকোল কিডম্যান” কে অফার করা হয়, কিন্তু তারা দুজনেই অসম্মতি জানায়, ফলে রোলটি চলে যায় “মিশেল ফেফার” (“স্টারডাস্ট”, “হেয়ারস্প্রে”, “ডার্ক শ্যাডোজ”, “দ্য ফ্যামিলি”) এর কাছে। তাকে এই রোলটির জন্য 3 মিলিয়ন ও বক্স অফিস পারসেন্টেজ দেয়া হয়। যদিও হলিউডের অনেক প্রথম সারির অভিনেত্রীরা চেষ্টার কমতি রাখেনি এই রোল পাবার জন্য। “মিশেল ফেফার”কে কিক বক্সিং শিখতে হয় এ চরিত্রটি করার জন্য। 80 মিলিয়ন বাজেটের “ব্যাটম্যান রিটার্ন্স” ডমেস্টিক বক্স অফিসে আয় করে 162 মিলিয়ন এবং সারা বিশ্বে মাত্র 266 মিলিয়ন। যদিও মুভিটি বক্স অফিসে সফল কিন্তু প্রোডাকশন “ওয়ার্নার ব্রাদার্স” মোটেও সন্তুষ্ট হতে পারেনি কারণ এটি তার পূর্বের পর্বের মত আশানুরুপ আয় করতে পারেনি। যাই হোক, “ব্যাটম্যান রিটার্ন্স” সমালোচকদের কাছ থেকে পজিটিভ রিভিউ লাভ করে এবং “Best Visual Effects” ও “Best Makeup” এর জন্য “অস্কার” নমিনেশন পায় আর সেই সাথে “Best Makeup” ক্যাটাগরিতে “Saturn Award” অর্জন করে।
যদিও “ব্যাটম্যান রিটার্ন্স” ব্যবসায়িক দিক থেকে সফল ছিল, কিন্তু “ওয়ার্নার ব্রাদার্স” এত অল্প আয় হবার ফলে সন্তুষ্ট হতে পারেনি। তারা ভেবেছিল, “ব্যাটম্যান রিটার্ন্স” আশানুরুপ ব্যবসা করতে পারেনি এর অতিরিক্ত ভায়োলেন্স ও ডার্ক ব্যাকগ্রাউন্ড ইফেক্ট এর কারণে। তাই তারা এবার পরিচালনার পদ থেকে “টিম বার্টন”কে সরিয়ে দেয়। “বার্টন” পরিচালকের খাতা থেকে নাম কাটা যাবায়, এই মুভিতে প্রযোজকের খাতায় নাম লেখায়। নতুন পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পায় “জোল স্কুমাকার” (“ফোন বুথ”, “দ্য ফ্যান্টম অফ অপেরা”, “দ্য নাম্বার 23”, “টুয়েল্ভ”, “ট্রেসপাস”, “হাউস অফ কার্ডস”)। “জোল” “টিম বার্টন”এর ডার্ক থিম ও ভায়োলেন্স কে সম্পূর্ণ বাদ দিয়ে মূলত ১৯৪০/১৯৫০ এর কমিক বই থেকে অনুপ্রাণীত হয়ে এই মুভিটি মেইনস্ট্রিম ও ফ্যামিলি মুভি হিসেবে তৈরী করে। কিন্তু পূর্ববর্তী দুই “ব্যাটম্যান” মুভির হিরো “মাইকেল কেটন” এর কাছে এই নতুন ডিরেকশন ভাল লাগেনি, সে আরো ইন্টারেস্টিং রোল প্রত্যাশা করেছিলো। অবশেষে, সে 15 মিলিয়নের লোভনীয় অফার ফিরিয়ে দিয়ে “ব্যাটম্যান” রোল হতে সরে আসে। “মাইকেল” সরে আসাতে প্রোডাকশন হাউস নতুন “ব্যাটম্যান” কে হবে এ নিয়ে বেশ বিপদেই পড়ে। এ সময় সম্ভাব্য “ব্যাটম্যান” লিস্টে ছিল, “ড্যানিয়েল ডে লুইস”, “রালফ ফিয়েন্স”, “উইলিয়াম বল্ডউইন” এবং “জনি ডেপ”। “ইথান হক” কে যখন এই রোলটা অফার করা হয়, তখন সে এটা ফিরিয়ে দেয় এই ভয়ে যে সে ঠিক মত এই রোল ফুটিয়ে তুলতে পারবে না। অবশ্য সে তার এই সিদ্ধান্তের জন্য পরবর্তীতে দুঃখ প্রকাশ করে। অবশেষে, নতুন “ব্যাটম্যান” হিসেবে নির্বাচিত হয় “ভ্যাল কিলমার” (“টপ গান”, “টুম্বস্টোন”, “হিট”, “দ্য গোস্ট এন্ড দ্য ডার্কনেস”, “দ্য সেইন্ট”, “আলেকজান্ডার”, “ডেজা ভু”)। “টুম্বস্টোন” মুভি দেখে পরিচালক “জোল” তার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করে। তাকে যখন “ব্যাটম্যান” রোল অফার করা হয় তখন সে চোখ বন্ধ করে বিনা স্ক্রিপ্ট পড়ে ও পরিচালক কে তা না শুনেই হ্যাঁ বলে দেয়। “ব্যাটম্যান রিটার্ন্স”এ “ক্যাট উম্যান” এর রোল ফিরিয়ে দেয়া “নিকোল কিডম্যান”কে নেয়া হয় এ পর্বে “ব্যাটম্যান” এর হিরোইন হিসেবে। বিখ্যাত “রবিন” চরিত্রটি সর্ব প্রথম পর্দায় নিয়ে আসার কথা ছিল “ব্যাটম্যান রিটার্ন্স” মুভিতে, কিন্তু পরবর্তীতে সেই পরিকল্পনা বাদ দিয়ে দেয়া হয়। এ পর্বেই সর্ব প্রথম “রবিন” চরিত্রের আবির্ভাব আর এই চরিত্রটি “লিউনার্দো ডি ক্যাপ্রিও” কে হারিয়ে জিতে নেয় “ক্রিস ও ডনেল” (“সেন্ট অফ এ উম্যান”, “ভার্টিকাল লিমিট”, “টু এন্ড এ হাফ ম্যান”, “গ্রেস অ্যানাটমি”, “দ্য কোম্পানি”, “ম্যাক্স পেইন”, “এনসিআইএস”)। বরাবরের মত “আলফ্রেড” চরিত্রে থাকে “মাইকেল গঘ”। এ পর্বে ভিলেন হিসেবে দেখানো হয় “টু ফেস” এবং “দ্য রিডলার” কে। “টু ফেস” চরিত্রে পরিচালক “জোল” এর প্রথম পছন্দ হিসেবে অভিনয় করে “টমি লি জোন্স”। “জোন্স”এর এই চরিত্রটি গ্রহণ করার একমাত্র কারণ “টু ফেস” হচ্ছে তার ছেলের ফেবারিট ক্যারেক্টার। “দ্য রিডলার” চরিত্রটি করার জন্য “রবিন উইলিয়াম” খুব আগ্রহী ছিল। এমনকি “মাইকেল জ্যাকসন”ও এই রোলের সাথে সংযুক্ত ছিল, কিন্তু পরে সে মানা করে দেয়। অবশেষে, এ চরিত্রে অভিনয় করে “জিম ক্যারি”। 100 মিলিয়ন বাজেটের “ব্যাটম্যান ফরেভার” ডমেস্টিক বক্স অফিসে 184 মিলিয়ন এবং সারা বিশ্বে 336 মিলিয়ন আয় করে বিশাল ব্যবসায়িক সাফল্য লাভ করে। ১৯৯৫ সালে “টয় স্টোরী” এর পর এটিই ছিল সর্বাধিক আয় করা মুভি। সমালোচকদের কাছ থেকে মিশ্র রিভিউ পেলেও “ব্যাটম্যান ফরেভার” ৬৮ তম অস্কারে “Best Cinematography”, “Best Sound” এবং “Best Sound Editing” এই তিন ক্যাটাগরিতে নমিনেশন লাভ করে।
“ব্যাটম্যান ফরেভার” এর সাফল্যের পর “ওয়ার্নার ব্রাদার্স” ৪র্থ “ব্যাটম্যান” মুভি নির্মাণ শুরু করে। “জোল স্কুমাকার” পুনরায় দায়িত্ব পায় পরিচালনার। পূর্ববর্তী “ব্যাটম্যান” “ভ্যাল কিলমার” সিদ্ধান্ত নেয় যে সে আর এ পর্বে ফিরে আসবে না। মূলত, “ব্যাটম্যান ফরেভার” এর সেটে তার সাথে পরিচালক “জোল”এর কিছু মতবিরোধ দেখা দেয়, ফলে “জোল” এবং “ভ্যাল” দুজনেই একে অন্যের সাথে কাজ করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। আবার একই সময়, “ভ্যাল” তার “দ্য সেইন্ট” মুভির কাজে ব্যস্ত থাকায় “ব্যাটম্যান এন্ড রবিন” এর জন্য শিডিউল মেলে না। পরবর্তীতে “জোল” নতুন “ব্যাটম্যান” হিসেবে নির্বাচিত করে “জর্জ ক্লুনি”কে। মুভির নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে এ পর্বে “রবিন” থাকছে। “ব্যাটম্যান ফরেভার” এর “রবিন” “ক্রিস ও ডনেল” এ পর্বেও তার চরিত্রটি ধরে রাখে আর বরাবরের মত “আলফ্রেড” চরিত্রে “মাইকেল গঘ” তো আছেই। এ মুভিতে ভিলেন হিসেবে দেখা যায় তিন জনকে। “মিস্টার ফ্রিজ”, “পইজন আইভি” এবং “বেন”। “মিস্টার ফ্রিজ” চরিত্রে প্রথমে “প্যাট্রিক স্টুয়ার্ট” কে নেবার কথা থাকলেও পরে পরিচালক “জোল”এর পছন্দে “আর্নল্ড সোয়ার্জনেগার” কে ফাইনাল করা হয়। “জোল” এর মতে “মিস্টার ফ্রিজ” চরিত্রটা এমন হওয়া উচিত যে সে খুব বিশাল ও শক্তিশালী হবে, আর এদিক থেকে “আর্নল্ড” হচ্ছে বেস্ট চয়েস। এই রোলটি করার জন্য “আর্নল্ড”কে 25 মিলিয়ন দেয়া হয়। এ মুভিতে সে যে মেক-আপ ইউজ করে ও ড্রেস পরে সেগুলো দ্বারা তাকে প্রস্তুত করতে প্রতিদিন ৬ ঘন্টা সময় ব্যয় হয়। “পইজন আইভি” রোলটার জন্য প্রথমে “ডেমি মুর”এর কথা ভাবা হলেও, পরে রোলটি চলে যায় “উমা থারমান” এর হাতে। এ মুভিতে “ব্যাটম্যান” এর হিরোইন হিসেবে “ব্যাটগার্ল” নামক আরেকটি কমিক চরিত্রের আবির্ভাব ঘটে। “ব্যাটগার্ল” রোলে অভিনয় করে “অ্যালিসিয়া সিল্ভারস্টোন” এবং “বেন” চরিত্রে অভিনয় করে আমেরিকান প্রফেশোনাল রেসলার ও স্ট্যান্টম্যান “রবার্ট সোয়েন্সন”। সর্বাধিক 125 মিলিয়ন বাজেটে তৈরি “ব্যাটম্যান এন্ড রবিন” ডমেস্টিক বক্স অফিসে আয় করে মাত্র 107 মিলিয়ন এবং সারা বিশ্বে 238 মিলিয়ন যা সিরিজের সর্ব নিম্ন আয়। এ মুভি সমালোচকদের নিকট হতে বিপুল পরিমাণে নেগেটিভ রিভিউ লাভ করে এবং এ মুভি, পরিচালক ও প্রত্যেক প্রধান অভিনেতা অভিনেত্রী Razzie Awards এর নমিনেশন লাভ করে। এ মুভিকে ধরা হয় One of the worst rated superhero film of all time.
To Be Continued…