মৃত্যু সংগীত থুয়ে বাকিটা যন্ত্রণা | আব্দুল আজিজ
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ মে ২০২৩, ১০:৫৫ পূর্বাহ্ণ, | ৪৭৪ বার পঠিত
[স্বর্গীয় দূতের সাথে এক মাতাল ( জীবনে সবচেয়ে বেশি মদ খাওয়া দিন) ও প্রতারকের দেখা হয় মধ্যরাতের শুরুতে। কে জি তুমি? সাজেনুর ভাই, সাজেনুর ভাই নাকি গো, তুমি সাজেনুর ভাই লও! বলে দেবদূতের হাতে জীবন্ত সাপ দেখে সে নিজের থলথলে পাছায় টোকা মেরে বিশ্বাস করতে চায় আসলে ঘটনা কি সত্যি?
মাতালের ধারনা সে মারা গেছে এবং তার কাছে কবরে নিয়োগকারী আল্লার বিশেষ দূত মুনকির— নাকিরের মধ্যে একজন এসেছেন প্রশ্ন উত্তরের সেই ভয়াল পর্বের জন্য। সে শহরের অন্ধকার নিস্তব্ধতাকে কবরের জীবন্ত দেয়াল মনে করে।
নেশায় ভদ্রতা, হে ফেরেস্তা আমি তো এক প্রকার মৃত। তুমি কি আমাকে জীবন্ত করে তুলতে পারবে, যেমন নবি ঈসা করতে পারতেন তার উম্মতদের । আহা! যদিও তাতে আল্লাহ সহায় ছিলেন। তারপর তার ফ্যাসফ্যাসে গলা থেমে যায়।
অন্ধকারগুলো আলকাতরার মতো তরল হতে লাগল প্রচণ্ড।
দেহের পচা মাংসে মাছি তার ক্ষুধার্ত কামড় নিয়ে ধেয়ে আসছে, সবই ঘোড়দৌড়ের দর্শকের মতো দেখছে সে।
মাতালের পকেটে কিছু কয়েন ঝমঝম শব্দ তুলে বেজে উঠল, যেন টিনের চালে মেঘ তার নিজের শরীর দুমড়ে মুচড়ে ভেঙে পড়ছে। সেই শব্দের মতো ঝমঝম, কয়েনগুলোর আচরণ।
দেবদূতের হাতের সাপটি একটি দণ্ডের আকার নিল, মাতাল ভ্রু কুঁচকে নিজের শারীরিক গঠনের দিকে তুমুল আবেগ নিয়ে দেখল যে সেই দণ্ডটির আঘাত তার মন ও শরীর নিতে পারবে কিনা।
তার অশ্লীল প্রতারণা তাকে স্ত্রী আর অবৈধ প্রেমের হাত থেকে চরকার ন্যায় ঘুরিয়ে এই সত্যের মুখোমুখি ঠেলে দিতে পারে বলে সেচ্ছায় ভাবেওনি কোনদিন।
মাতালের ভাষায় সে নাকি নষ্ট পোশাক পড়ে আছে, দেবদূত তার কথা শুনে হাসে, আর দণ্ডটি হাত বদল করতে থাকে।
ডাসবিনের উগ্র টক দুর্গন্ধ মনে হয় আজাবের সূচনাকাল। সৃষ্টির মতোই আজাবের রসদ রহস্যের খোরাক। ]
অন্ধকার সবুজ বিলুপ্ত জগৎ তার, সেখানে সব কিছু থমকে আছে অপেক্ষার আশায়। মুছে যাওয়া নগরের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ সেখানে ছুটে গেছে কিন্তু কেউ সেখানে নাই। মানুষের খুলি আর হাড় গোড় ছাড়া তেমন কিছুই প্রাচীন অস্ত্বিত্বের সন্ধান পাওয়া যায়নি। গুপ্তধন— টন কিছুই ছিল না। প্রকাণ্ড আম গাছ বিশিষ্ট বাগান বিঘার বিঘা। অবশেষ একটা পুরাতন ব্রিটিশ কলোনির ছাপমারা তিন তলা বিল্ডিং দেখা গেল। নীল রক্ত লেগে আছে দেয়াল জুড়ে। কিন্তু সেখানেও একটা বিপত্তি একজন মাত্র ডাক্তার যিনি করোনার টিকা দিতে বসে টিকা গ্রহণকারীর জন্মসনদ নিয়ে পড়ে আছেন। এই শহরের মানুষের অপেক্ষায় সে এবং তা দেখছেন তো খুব ধীর গতিতে। ভাবছেন সেটা সংশোধনের জন্য মিউনিসিপ্যালিটির দুয়ারে পাঠানো উচিৎ কিনা। সেখানেও ঝামেলা ভোট আটকে থাকার কারণে, কর্মচারিরা বাহানা পেয়েছে এখন ঝামেলা ভোটের পর আসুন। তারপরে ডিজিটাল পদ্ধতিতে অনলাইনে প্রবেশ করতে হবে সবকিছু। হ্যানোত্যানো দুনিয়ার কাগজ পত্রের স্তুপ জুড়ে দিয়ে, শুনানির জন্য অপেক্ষা। নাম ডাকবে। দাঁড়িয়ে বলতে হবে কেন এই সংশোধন।
বোকাচোদা পুরুষেরা খুবই উৎসাহ নিয়ে চড়াও হয়, ঘাম উৎপাদন করে যেন এইমাত্র তুমুল কায়িক পরিশ্রম শেষে ফিরল। চোখের তারাগুলি উত্তেজনাহীন হয়ে পড়ত, চর্বি আর মাংসের তোলপাড় ঠাণ্ডা হয়ে গেলে ঘুম কি জিনিস বুঝতেই পারছেন। আসুন আমরা একটু ঘুমিয়ে পড়ি বোকাচোদা পুরুষের সাথে একই ছাদের নিচে।
এদিকে এই ভুতুড়ে হাসপাতালের একটি মাত্র নার্সের খোঁজ পাওয়া গেছে যে লোদ মানে খুবই খাটো একজন মহিলা। তার পায়ের অতিরিক্ত মাংস দেখলে ভয় পেয়ে যাবে অনেকেই।
প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের লোকজন শূণ্য শহরের তেমন কোন ইতিহাস না পেয়ে চলে যাচ্ছে। ডাক্তার জন্মসনদ সময় নিয়ে দেখছে।
আর এই হাসপাতালে টিকা নিতে আসা একমাত্র ব্যক্তি পাশের ওয়েটিং রুমে সেই লোদ নার্সের সাথে সংগমে লিপ্ত হচ্ছে। অবশ্য স্বপ্নে এইসব কুকীর্তি অনেকটাই বৈধ।
২.
অনেক বছর আগের ভাগাড় পেরিয়ে সুরঙ্গের মতো একটা রাস্তা, মৃত গরুদের পচা গন্ধ ডিঙিয়ে মানুষেরা যাতায়াত করে। সেখানেই জন্ম গোদানির। কুল দেবতার মতো গোদানি হচ্ছে কুল ভূত। কাঁসারি পাড়ার গল্প। রটিয়ে দেওয়ার মতো অপচেষ্টা থাকলে লিখতে হত না, মুখ ছিল, পা ছিল আর মানুষের ছিল মহান কান এমনিতেই ঘটনাটা হয়ে যেত ডিসেম্বর কিংবা পুষ মাস। তুষের আগুন কিংবা হারিয়ে যাওয়া মুনসুরের চাতাল। চিমনি। বয়লার। তুষের ধোঁয়া। আর লাঞ্চিত নারী ধানকুটা শ্রমিক। তাদেরই একজন কালু মেছেলের বউ, হিরোইনখোর স্বামী আর দুই মেয়েকে থুয়ে পালিয়ে এসেছে চাতালের ধানকুটা মেশিনের ড্রাইভারের সাথে। এসে বিপত্তি পহিলা স্ত্রীর ডরে সেই ড্রাইভার মদনা মুখা নতুন বউকে বাড়িতে না নিয়ে গিয়ে, এনে রাখল চাতালের একটি ঘরে। যার কাজ ফজরের পর থেকে বয়লারে তুষ ফুঁকা। যাক সেই কথা। বাকি থাকল সেই ভূত যার জন্ম ‘গো’ দানা বা গরুর মৃত দেহ থেকে। ভূতের লৈঙ্গিক পরিচিতি পেয়েছে নারী হিসেবে, সেইজন্য সে গোদানা না হয়ে হয়েছে গোদানি।
ভাগাড়ে রেখে আসার পরপরই চামারেরা চামড়া ছিলে নিয়ে যেত, আম বাগানের নির্দিষ্ট একটা স্থানে সেই ভাগাড় রয়েছে সবাই নিয়ম করে সেখানে মরা ফেলত। শকুনের ডানায় জায়গাটা মান বনের মতো দেখালেও শকুনগুলোকে কেউ ঘেটাতো না, এখন একটা শকুন দেখতে পাওয়া বিরল। রে রে রে, ধর ধর ধর। ডানা কাট, ঠোঁট ভাঙ— ঠ্যাং ভাঙ। কানা কর, ন্যাংড়া কর। তারা গো মাংস খুবলে খেতে খেতে ক্লান্ত হয়ে পড়লে ভাগাড় থেকে স্বার্থপরের মতো ভেগে উধাও।
সেখানে বছর বছর ধরে গো মাংস পচানি পচে সেই থেকে অশরীরী ছায়ার জন্ম। তার রুপ গরুর মতো। তার একটি মাত্র রুট কাঁসারিপাড়া। এবং গোদানি সেই রুটে চলাচল করবে। যখন তিন পহার রাত৷ টুইট টুইট করে পাখি ডাকার আগে৷ তখন গোদানির কুদন, হল্লা শুরু। যেন আলতামিরার গুহা থেকে বাইসন জীবন্ত হয়ে ফিরে এসেছে আমাদের কাঁসারিপাড়ায়। এটা মিথের বাপ। বুঢ়ারা বলে গোদানি সবাইকে দেখা দেয়না৷ গোদানি খুরে নাচ লাগিয়ে চলে তার ক্যারদানি অই খুরে। বেট্টি ভূত যে। পা লাছায় বেশি। ঘরের গিথ্যানের মতোন। কান উড়ালে সেই শব্দ শুনতে পাওয়া যায়। গোদানি কখনো ঘোড়ার মতো রুপ নেয়না, অথবা কালোনির মায়ের স্বচক্ষে দেখা পিঠে দুই জ্বিনের রাজ শিশু রাজকীয় পোশাকে বিলের পানির উপর দিয়ে চলাচল ও করেনা, তারা বুকে কোরানের মতো পাঠ্যবই নিয়ে আলোকরশ্মি মেখে ছুটে উধাও হয়ে যায়। অনেকে বলে তাদের গন্তব্য কাঁসারিপাড়ার দোতলা মসজিদ, তারা সেখানে পড়াশোনা করতে আসে। বিদ্যুৎ আসায় নাকি গোদানি অন্ধ হয়ে গেছে। কাঁসারিপাড়ার রুট আপাতত বন্ধ। তার আর জেগে ওঠার সাহস হয়নি। কাঁসা না পেটার নৈঃশব্দে।
৩.
শব্দ রেখে প্রাণগুলি পৃথিবী ছাড়তে অভ্যস্ত হওয়ার ঋতুতে আমার বোধে এল, হ্যাঁ তাদের নিয়ে কিছু লেখা যায় একটি চামড়া দিয়ে বাঁধানো ডায়েরিতে। কিছু যুদ্ধ বিষয়ক, কিছু মৃত পাখিদের ডানার সংখ্যা অথবা কিছু নারীর হৃদয়ে আঘাত প্রাপ্ত ইহলোক ত্যাগের সংগীত।
আরও কিছু বাতাসে ভাসতে থাকে খড়কুটো হয়ে যাদের ওয়ারিশ বলে কেউ ছিলনা কোনদিন, কিন্তু তাদের সুগন্ধি দিয়ে লেপে দেওয়া শরীরে কাঠঠোকরাদের একটি দল প্রতিরাতে এসে ঠোকরে যেত, যাদের খট খট খট গানের সুরে সস্তা ঘরের ময়লা পর্দাগুলি রুচিহীন মুখ নিয়ে গুমোট গরমের হাওয়ায় হাসতে থাকত, যদিও এসবের ভেতর কোন মিথ্যা ভাবনা ছিলনা বা থাকতনা। সবই সত্যের সর্বনিম্ন খাঁটি পায়তারা।
বোকাচোদা পুরুষেরা খুবই উৎসাহ নিয়ে চড়াও হয়, ঘাম উৎপাদন করে যেন এইমাত্র তুমুল কায়িক পরিশ্রম শেষে ফিরল। চোখের তারাগুলি উত্তেজনাহীন হয়ে পড়ত, চর্বি আর মাংসের তোলপাড় ঠাণ্ডা হয়ে গেলে ঘুম কি জিনিস বুঝতেই পারছেন। আসুন আমরা একটু ঘুমিয়ে পড়ি বোকাচোদা পুরুষের সাথে একই ছাদের নিচে।
একটি বিপন্ন পাখির মতো রাহিমা সংসার ইধার সে উধার, আর উধার সে ইধার করে কাটাচ্ছে, বাসস্থানের মাজা ধসে গেছে একটি আন্তর্জাতিক ঝড়ে—। গুদামের তাপমাত্রা সহনশীল পোকার মতো রাহিমা কেটে যাচ্ছে সময়ের ধান। আর ধেড়ে ইঁদুর শিকার করা বেড়ালটি হঠাৎ বাঘ হয়ে যাওয়ায় এ যাত্রায় ইঁদুরগুলি যথেষ্ট মোটাতাজা হয়ে বাঘের মাসির খোঁজে নিজেদের ব্যক্তিগত মিছিল নিয়ে দখল করে ফেলেছে সদরের সবকটি মেইনপয়েন্ট।
তারা স্লোগানে চিৎকার দিয়ে বলে হ্যাঁ গুরু আমরা আছি— আমরা আছি।
সিগন্যালহীন টিভির চ্যানেলে ভনভন করতে থাকা মাছির দংগল থেকে ছিটকে পড়ে সকল ভাবনা, যেন রাহিমার আগত বিপন্ন জীবনটির মতো।
গ্রীষ্মের ঝড়গুলি বন্যা আর জলোচ্ছ্বাস আনলেও এবার সাথে এনেছে মারী।
পেয়াজের নাকউঁচু গন্ধ, লবণের বিকৃত মূল্য, গরুর জাবর কাটার মুখোরোচক আর হজমকারী ফুড তিলিকেই স্বর্গের সেই পাচকের মুঠির খেলে বন্দী হয়ে গেছে। আর এখন তাহলে তাবিজ করে বাঁচিয়ে রাখা গরুর বাছুরের কি হবে?
কথায় আছে— ” বেশি হামলায় ( মানে অহেতুক চিৎকার করে) এমন গাভীর দুধ কম হয় “
আমরা আছি গুরু, হ্যাঁ আমরা আছি
সত্যই গুরু বড্ড বেশি হামলায় এমন গাভীশালে এসে পড়েছি। বাহ— গুরু— বাহ।
৪.
এতো পুরাতন গোরস্থান আমি জীবনেও দেখিনি। এ নিছক দুরারোগ্য কল্পনা।
আমার নিকট আত্মীয়ের প্রথম সন্তানকে কবর দেওয়া নিয়ে জমায়েত।
অস্পষ্ট আম বাগানের ভেতর ফাঁকা জায়গা। কিন্তু শিশুটির কবর খোঁড়ার জায়গাটা বেশ গভীর মনে হল, একটা শুখা পুকুরের মতো। জানাযায় যারা উপস্থিত তারা সবাই আলেম। থোকা থোকা সাদা জুব্বার ফুল গুলো সুর করে কুরআনের আয়াত পড়ে চলেছে। আমার আত্মীয়টি কাফন পড়া শিশুটিকে হাসি মুখে নির্বাসন দিতে আসছে। তার মুখ দেখে সূর্যের হাসি ক্লিনিকের লোগোটির কথা মনে পড়ে গেল, অবশ্য সে সেখান থেকেই বেড়িয়ে এসেছে।
সে প্রথমে মনে করেছিল এই গোরস্থান ওয়ার সেমিট্রির মতো হবে হয়তো, তার গ্রামে নারীদের গোরস্থানে প্রবেশ নিষিদ্ধ। মরণের যন্ত্রণার কাছে পরাজিত হওয়ার পর কেবলই সে নিস্তব্ধ শূন্য জগতে প্রবেশ করতে পারবে। কুমিল্লার ওয়ার সেমিট্রি তার চোখে ভাসতে থাকে। হতে পারে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মৃত মানুষেরা মার্বেল পাথর বাঁধানো কবরের ভেতর নিজের সিট দখল করে যুদ্ধের কবিতা আবৃত্তি করছে। তার বহুবছর পর ভ্যাটিকান সিটি থেকে উড়ে আসে পোপ, হাঁটে নিশ্চুপ ধুয়ে মুছে দিতে আত্মার কালিমা। গুনগুন করে ধরে প্রার্থনার গান, শুধু ঝুলে যাওয়া ঠোঁট জোড়া নড়ে, দূর থেকে মহাশয়কে মনে হয় যীশু অথবা ঈসার মূর্তির মতো সেও কাত হয়ে যাচ্ছে। আর তিনি মুক্তি দেওয়ার ঝোঁক নিয়ে ছড়িয়ে যাচ্ছেন বাইবেল থেকে শিখে থাকা বুলি। হঠাৎ সবকিছু নতুন করে উজ্জ্বল হয়ে উঠতে থাকে।যেন এই মূহুর্তে যুদ্ধে মারা যাওয়া সৈন্যদের প্রতি অনেকেই শ্রদ্ধা জানাতে উঠে পড়ে লেগেছেন। এই সমাধিস্থল আজ তার হলদেটে ভাব দূর করে আরো সাদা হয়ে উঠেছে। আত্মীয়টি বলে ক্যান্টনমেন্টের পরিবেশ সমগ্রে রয়েছে সাপ, পাখি, টিলা, সৈন্য ও ভালুকের কামড়। আর আছে সুইমিংপুলের নীল পানি, সরকারি কড়াকড়ি বিধিনিষেধ নিয়ম অথবা ক্যালেন্ডারের অনুষ্ঠান সব এক এক করে মনে পড়ে যাচ্ছে।
জেরুজালেমের নবির চতুর্থ আসমানে উঠে যাওয়ার বিস্তর কাহিনি, ওয়ার সেমিট্রির সবুজ ঘাস ছুঁয়ে গ্রামের গোরস্থানে প্রবাহিত হয়ে যায় । সাথে চর অনুপনগরের স্বাস্থ্যবান নদীটা খাল হয়ে বছরে দুই ফসল উৎপাদন করছে বলে শুনেছি। নেকড়ের দাঁতের মতো ঘি সাদা পিলার বসেছে, ব্রিজের কংক্রিটের দেহ ধারণের জন্য। সেখানেও মৃত্যু। ওসব ভুলে হাজার হাজার বছর ধরে সংরক্ষিত অক্ষরগুলোর সাক্ষ্য থেকে পাই, সেই নবির এক অনুসারী পরম সত্তার ইশারায় তার অবয়ব পেয়ে গেলেন, যে কিনা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দেশে ঈশ্বরের পুত্র হয়ে গেছেন।যাকে ডেকেছি জেরুজালেমের নবি ঈসা মসীহ বলে। তাওরাতের মেরী, বাইবেলের মেরী, কুরআনের মরিয়ম পুত্র আল্লাহর নির্দেশে আসমানের খিল্লি কপাট খুলে যাওয়ার সাথে সাথে আলোর সিড়ি বেয়ে স্বশরীরে উঠে চলে গেলেন।
আর আমরা পেরেক ও পাথর নিয়ে ছুটতে থাকলাম সেই দিকে। যেদিকে মৃত্যু সংগীত শুরু হতে দেরী নাই।