অপরিমেয় । শ্বেতা শতাব্দী এষ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ এপ্রিল ২০২৩, ১১:৫৯ পূর্বাহ্ণ, | ২৯৫ বার পঠিত
জ্বর
একটা দ্বন্দ্বের সাপ
বুকে ছোবল তুলে বসে—
এইসব স্তব্ধতা জানে
প্রতিটি মুখরতার
মৃত্যু ইতিহাস।
সম্পর্কের পাশে মানুষ
একাকী হেঁটে যায়!
সমুদ্রে অশ্রুত ঢেউ
শুভ্র সত্য ভ্রম
অনি:শেষ জিজ্ঞাসা—
তোমার চোখে রাত
ঘুমিয়ে গেলে
বেঁচে থাকে
নিরাশাকরোজ্জ্বল মন
জ্বর ছুঁয়ে বিভোর মনীষা!
স্বভাবতই
বৃষ্টি আসে, জানালার স্ক্রিন থেকে মুছে যায় মৃত্যু;
ভেঙে পড়া সমস্ত দুপুরের মন
মুছে যাওয়া স্মৃতির আয়নাভরা দাগ
বিচ্ছেদ; মৃত্যুরও অধিক অভিশাপে
একাঘর কী ভীষণ উজ্জ্বল অকারণ
বর্ষন থেমে গেলে রিপ্লে হতে থাকে ভেঙে যাওয়া সাঁকোর দূরত্ব;
এইসব কাল্পনিক কথোপকথন!
অপরিমেয়
মরে যাওয়া সম্পর্কের সর্বনাম হয় না—
শব্দের ভীড়ে হারিয়ে যায় শব্দ
হারিয়ে যায় জলরঙা ছবি
আটটা মার্বেল, লাল বেলুন!
জল জমে বরফ হয় না
এই অঞ্চল নাতিশীতোষ্ণ!
ধুলো জমে পাহাড় হয় ঠিকই
পুরনো অলংকারে নকশার ভুল।
অচল আকাঙ্ক্ষারা ফিরে আসে
দূরে চলে যায় মলাট বাঁধানো বই
একটা কলম শুধু লিখে নদী
থমকে থাকা খাঁচার পাখির চোখ!
হৃদয়ঙ্গম
তুমি আসলে তাদেরকেই খোঁজো
যারা এগজিস্ট করে না জীবনে।
বিবিধ রঙের থেকে শুধু সাদার দিকেই
চোখ গেলে দৃষ্টিতে তৈরি হয়
অসহ্য ভ্রম। তখন, সবকিছু
দৃষ্টিশূন্য লাগে। তবু তাকিয়ে থাকাই
হয়তো অদৃষ্ট কাতর মানুষের।
সময় গ্রাস করে পৃথিবীর নানান ধ্রুবক—
কী সামান্য চিন্তায়, কী গাঢ় প্রভাবে!
আশ্বিনের পূর্ণিমা
পূর্ণিমা হলে চাঁদ থাকবে আকাশে
‘প্রকাশে দূর্বলতা বাড়ে’ এমন তত্ত্ব
শুধু মানুষ শিখেছে, আশ্চর্য গণিত!
সবকিছু ক্রমশ বিবর্ণ—ক্রমশ রঙিন
উত্তর জানো অথবা না জানো,
হঠাৎই ভেঙে যায় মহাশূন্যের শব্দ
যা আসলে নৈঃশব্দও হতে পারে।
একটা সন্ধ্যামুহূর্ত পার হয়
চোখের কিনারা ধরে—
অপ্রয়োজনই প্রয়োজন হয়
এতোটা এভাবে! এবং
সারাজীবন শুধু কিছু প্রশ্নই যদি
অর্জন হয়ে থাকে—তখন
পরীক্ষা আর কখনো
শেষ হয় না জীবনের।
তারপর আবারও একটা
পূর্ণিমার রাত চলে যাবে
জ্যোৎস্নার রেশ মুছে মুছে—