শ্বাসকষ্টের ইতিহাস ও অন্যান্য কবিতা । দঈত আননাহাল
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ জুলাই ২০২২, ৮:১৬ পূর্বাহ্ণ, | ৪৬৪ বার পঠিত
ওয়েটিং রুম!
আমার অপেক্ষা ভালো লাগে;
মৃত্যু এবং তোমার…
দীর্ঘ অভ্যস্ততাজনিত’ও হইতে পারে:
তবু আমার অপেক্ষাই ভালো লাগে!
আমি নই সময় অথবা নদীর স্রোত!
বরং নদীকূলে অনড় পাথর; আমাকে
পেরিয়ে গ্যাছে তোমার মতো সময়!
বেঁচে থাকার এই পুরো ঘটনাটুকুর
নাম অপেক্ষা; আর তুমি ধারনার মানে
সাইরেন; সংকেত; চলে যাবার শেষ ট্রেইন!
তবু আমার অপেক্ষাই ভালো লাগে;
তোমার অপেক্ষা! তোমার জন্যে;
আহা! পৃথিবী কি দারুন
নিদারুন ওয়েটিং রুম!
০৯০৪১৪
শ্বাসকষ্ঠের ইতিহাস!
“ধরো, আমি নাই”
দূর থেকে ভেসে আসে…
এই ধরে নেয়ার পর থেকে
খুঁজে পাচ্ছি না আর নিজেকে!
একটা আয়নাতো লাগে
অথবা
একটা নদী; নয়তো বাকিটা
শ্বাসকষ্ঠের ইতিহাস
২৮০২২২
লস্ট এন্ড নেভার ফাউন্ড!
লাগেজের কনভেয়ার বেল্টের দিকে তাকায়া থাকার মত…
তোমার অপেক্ষা
মরণ!
একটা ফেইক জীবন নিয়া ঘুইরা বেড়াচ্ছি;
তোমার লগে দেখা হইতেছে না বইলা
জীবনের একলা বিকালগুলি!
বিকালগুলি;
জীবনের একলা বিকালগুলি
শরীরের ভিতর ঢুইকা যাইতেছে;
আর কিছুক্ষণ পরেই চোখের ভিতর থিকা
চরাচরে ছড়ায়া পরবো বিকালের লাশ;
শরীর নিংরানো অন্ধকার!
২৮০৯১৬
পইড়া যাওয়ার গল্প!
হাওয়া বলেছে, আমার
ছাদে যাওয়া বারন যদি
হাওয়ার প্রেমে
পড়ে
যা
ই
!
২৫০৯১৭
নার্সিসাস!
তুমি তোমারেই চুমু খাও
যদিও আমার ঠোঁটেই ঠোঁট!
ভাতের সম্পর্ক!
একে অন্যেরে তো খাইতে পারবো না;
আসো প্রিয়তমা
আমরা বরং ভাত খাই।
ওরাল বলতে আমরা বুঝবো ভাত খাওয়া; আমরা করবো সুইঙ্গিং পটল আর ঝিঙ্গা দিয়া। তুমি আর আমি হাত দিয়া আর মুখ দিয়া শুধু খাবো ভাত; আর দেখা করবো রেস্তোরায়, একে অন্যের দিকে চায়া থাকবো আর খাবো ভাত আর খাবো ডাল সুরুত কইরা আর বলবো দেখো কি মজা এই ভাত আর ডাইল, তাই না! আমরা ভুলেও একে অন্যেরে দেখবো না; কেবল চাইয়া থাকবো আর বলবো চলো যাইগা যে যার বাসায়।
তুমি আঙুল দিয়া নাড়বা ভাত আর জিহ্বা বাইর কইরা চাইটা দিবা ডাইল আমিও আলুর মাঝখানে আঙুল ঢুকাইয়া বলবো আরেহ দেখো কি নরম আলু! তারপর আবার আমরা চইলা যাব বাসায়। আর ফোনে ফোনে বইলা ফেলবো কেমন মজা হইছে আজকের রান্না।
আমরা হবো ভেজ অথবা নন-ভেজ নেহাত এক রান্নার অনুষ্ঠান। আমরা খাবো না আমাদের, আমরা হব না দুশ্চরিত্র, লম্পট। আমাদের ঈশ্বরের নাম শরীর। চলো ভাত খাই আর বিয়া করি আর পূজা করি। তুমি বন্ধু মম তোমার লগে কেবল আমার ভাতেরই সম্পক্ক। তুমি খালি প্রেম তুমি খালি বিয়া, তোমারে আর আমারে বাইন্ধা ফেলবো আমরা এইসকল দিয়া। আর বাকি সকলই তব ভাতেরই সম্পক্ক।
২৪০৮২০
তোমার সাথে দেখা না হলে!
বনে বাদারে ঘুরতে থাকবো; দেখা হতে থাকবে বিবিধ পশু ও পাখির সাথে; মনে হবে কথা হচ্ছে। আদতে মুকাভিনয়। দেখা হতে থাকবে প্রাণহীন পথ; দাবানলের পোড়া কাঠ; অর্থহীন সাপেদের সাথে; মনে হবে তবু পথ চলছে! দেখা হচ্ছে, কথা বলছি; আদতে তা মুকাভিনয়। এমত দেখা হতে থাকবে এইসব দেখা হওয়াদের সাথে অযথা;
তোমার সাথে দেখা না হলে।
০৩০২১৮
মন-এ ও থাকা যায়
আমি তোমার শহরে; তোমার ঘরে; চুলে-গালে-ঠোঁটে-বিছানা-বালিশে-ওড়না-কার্নিশে-জানালা-গ্রীলে-চোখে-নখপালিশে-সত্য-মিথ্যা-ভুলে
থাকতে চাইলামনাকি! যদি
মন-এ জায়গা নাই;
কি হয় অত আড়ম্বরে!
জীবন ভর্তি খোপ খোপ এ্যাপার্টমেন্ট!
তোমরা অইখানে থাকো বলে
জানবে না বুঝি মন-এ ও থাকা যায়!
সখা হে…
০৭০৩২০
হয়তো এমন হয়!
বিছানায়
কিলবিল করে গড়াগড়ি খাচ্ছে সময়
যেন একটা সাপ; ভীষন অলস
জানালা খুলছে না
অথবা ঘুলঘুলি
কেবল অসভ্যের মত
শরীরে ছড়িয়ে পরছে যেন
আলোর ধারনা; সে
দিন কিবা রাত অথবা;
তেমন কিছুই নয়।
দূরে… শহর তৈরী হওয়ার শব্দ
হর্ণের তলে ধীরে চাপা পরছে বিকাল;
প্রায় পাখির ডাক; বাতাসও থাকার কথা থাকে
বসন্ত; যেন এক সমগ্র অপেক্ষা!
হয়তো। এমন হয় তো!
০৪০৩২০
ভ্রমনেসু
১
ফুলেরা ফোন দেয় না; যাইতে হয় কাছে। হায়!
আমি গো কেমন হাওয়া পইড়া আছি প্রতিধ্বনির ফাঁদে!
২
লোকটা ডুবে গ্যাছে।
পাড়ে তার কেবল জুতা জোড়া
৩
চলো সন্ধ্যা তোমার নামে খুলে ফেলি তবে একটা দোকান;
সেইখানে আমি কেবল বেঁচবো অন্ধকার, শে আসার আগে;
অতঃপর শে এলে আমরা ভোর হবো।
৪
নিরবতা একটা
অনাহারি বাঘ!
৫
দুপুরের রোদে ভদকা মিশিয়ে হেঁটে যাচ্ছে বোহেমিয়ান পথ;
বৃক্ষের অধিক পাশে, তার কে থাকে আর!
৬
মানুষ এক একটা
বেদনার মিউজিয়াম
৭
পত্রে ফুলের
ব্যথা আঁকা
৮
বৃষ্টির ধারাভাষ্যে
ভেসে আসছে তোমার চোখের গল্পগুলি!