দুইটি কবিতা । আকাশলীনা
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ জুন ২০১৯, ১২:৪৩ পূর্বাহ্ণ, | ২০১২ বার পঠিত
ইউসুফ ফাল্গুন ‘প্রতিটি ঋতু অবিনশ্বর হোক আমাদের
এখনো মুছিনি ঠোঁট, মুছিনি রক্তাক্ত ফাল্গুন! অলস আঙুলে সরাচ্ছি চুম্বনের ষড়যন্ত্র !
পুরনো বছর ,তারিখে চাপা থাকে গান্ধর্ব..
আমিও এক বিস্ময় থেকে অন্য বিস্ময়ে,
প্রেম-অপ্রেমে, ফুঁড়ে উঠি হৃৎপিন্ড ভাসিয়ে..
সেসব কথারা এখনও শাসিত হয় শরীরে,
বিজ্ঞাপনী সুখ দেখতে সুখের হলেও
চাঁদ ফেটে বেরিয়ে আসে ক্ষত…
মেঘেদের গায়ে গান লিখি, চিঠি লিখি ,
ওরা পানসি হয়ে বয়ে চলে নদীতে..
এরকম তো কতোই না কথা ছিলো,তারপর তারা পাশাপাশি অ-কথন রয়ে গেছে নিঃশব্দে।
আমাদের চশমার কাচে অন্ধকার জমতে জমতে,
সমাপ্তি ঘোষণা করেছে অসামাপ্ত স্বপ্নদেখা।
সত্যি বলছি,কোনো হিংসা নয়,নয় আক্রমণ
এসব শুনে দেখে,গর্ভের মৃত শিশুটিও পথ খালি করে দাঁড়াচ্ছে কিছু সময়..
আমি ছোট্ট শব দেহের জখম পোঁছে দেবো,আমাদের গ্রামের পাড়ায় পাড়ায়..
সে নিশ্চিন্তে ঘুমাবে আমার বাগানে শিকড়ের গভীরে মাথা রেখে।
ফুল ফুটবে গাছে ,গাছ হাসবে ,
শুধু সব অভিমান মুছে দিয়ে,না বলা ভুল বয়ে নিয়ে যাবে চিঠি লেখা ছোট্ট সেই পানসি
দাগ
ধুলোয় দাগ রেখে গেলো মেয়ের
ফোঁটাফোঁটা কান্না,
দিগন্তরেখা ধূসর ও অস্হির।
সীমাহীন সমুদ্র তুমি বলো কোথাই রাখি এ
দাউদাউ অভিমান ! আকাশকে আশ্রয় করে চোখ, বুকে ভেঙে পড়ে ঘুর্নন চাকা , উচ্চারণে গভীর জ্বর!
নিঃসঙ্গের সাথে নীরব মিশে হাওয়া পালিয়ে
যায় বিকলাঙ্গ ডানার পাশ দিয়ে।
দেওয়ালে দেওয়ালে টাঙানো শর্ত,
আমাদের দেহে মেলে রাখা শতজন্ম ক্ষরা,
জল নেই, নেই জল…
দুপুর থেকে ভোর, ভোরদুপুর রুখা হাওয়া,
গেলো সব।
সুখ, ঘর, ফুলচিহ্ন পথ আর
শরীরে আশ্রিত নীলাভিমান …