বাসনা যাপন । শুভেন্দু দেবানাথ
প্রকাশিত হয়েছে : 05 June 2019, 11:58 am, | ১৪৪৩ বার পঠিত

“हद चाहिये सज़ा में उकूबत के वासते
आख़िर गुनहगार हूं, काफ़िर नहीं हूं मैं”“হদ চাহিয়ে সজা মেঁ উকুবত কে বাসতে
আখির গুনহগার হুঁ, কাফির নহি হুঁ ম্যায়”
(গালিব)
দিনকাল ধুলোমেলা উড়ে চলে ধোঁয়ার আড়ালে। এ যাবৎ সমস্ত বাসনা যাপন একদিন টের পাই মিশে গেছে অক্ষরের দাগে। টের পাই আসলে হয়নি কিছুই। অতঃপর আমি রাস্তার অভিমুখে নর্দমা ধরে হাঁটি। আসলে দেখছি কীট, বাড়ন্ত-জীবন্ত কীট। রাত বাড়ে, নেশাখোরের রাত, বৃদ্ধ, কবি ও মাতাল। সেখানেও পাশাপাশি বার আর মাটির ভাঁড়। সভ্য আর অসভ্যের সহাবস্থানে খুঁজে ফিরি আসলে তফাতটা কোথায়? দেখি, ঝোলায় অক্ষরের বোধ নিয়ে কবিতা পুরুষ ঘেঁটে ঘেঁটে সফেদ শাড়ির ভেতর কী যেন খুঁজে বেড়ান, আর ভেতরের বোধ কীভাবে শুকিয়ে যায় কেউই তার খবরই রাখে না। অবশেষে আমিও মানুষই বোধহয়। কাক আর কোকিলের তফাৎ বুঝতে বুঝতে বেড়ে ওঠা মান আর হুঁশে আজান্তেই ঢুকে পড়ে বৈষম্য।
“आतिश -ऐ -दोज़ख में ये गर्मी कहाँ
सोज़-ऐ -गम है निहानी और है”“আতিশ- এ- দোজখ মেঁ ইয়ে গর্মী কহাঁ
সোজ-এ-গম হ্যায় নিহানি অউর হ্যায়”
(গালিব)
এই তো টেবিলে টেবিলে পেতেছ স্পর্ধা, প্রতিবাদ। অনুপ্রেরণায় জল গলে গলে পড়ে বারুদের ভেতর। নিজেকে শব্দ শ্রমিক বলো হে বিনয়ী, অথচ জানোনা শ্রমিকের চালানো হাতুড়ির ঘায়ে কতটা আগুনের ফুলকি ছোটে। নিজস্ব অনুভব থেকে এতদিন এসবই জেনেছি। এর কোনো কারণ তো নেই, নেই কোনো ব্যকরণ বিধি। এভাবে জেনেছি বলেই বিগত শীতের গায়ে বসন্তে হারানোর ব্যাকুলতায় কাতর হই। আড়ালে আবডালে,ঝাড়ে ও পাতায় ঘাপটি মেরে থাকে যে পোকাটি, শিকারি পাখির অনুসন্ধানি চোখ এড়ায় না। ছোঁ মেরে তুলে আনে ঠোঁটে। এই দৃশ্যেও কোনো কোনো বিরল পাখিকে দেখি এসবের মধ্যে নেই। একাকি কেবল বসে থাকে ডালে। যেনো সবকিছুরই ছবি তুলে নিচ্ছে গোপন ক্যামেরায়। শিখে নিচ্ছে, বুঝে নিচ্ছে সব। স্পর্ধা তাকে বিনয় দিয়েছে, আগুন দিয়েছে শব্দে। অথচ তুমি তো টেবিলে স্পর্ধা পেতেছ, আর আর মোবাইল সেলফিতে ধরা পড়েন ঝাঁকে ঝাঁকে কবিতা ঈশ্বর। আমার এ বেহায়া চোখ ধারণ করে এ দৃশ্য। তারপর দেখি বড়ো বড়ো ব্যাগ ভরে তাজা সজনে নিয়ে চলে যান তারা। আর তখনো হে বিনয়ী শব্দ শ্রমিক টেবিলে তুমি স্পর্ধা পেতে রাখো অনুপ্রেরণায়।