কবিতার কোলাজ । রাসেল রাজু
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১২:৫৪ পূর্বাহ্ণ, | ২১২৪ বার পঠিত
লিবিডো
এই সেই লিবিডো তাড়িত বায়ু
দুগ্ধপরম্পরা, কখনো কখনো স্তন
যোনিজাত রস, কখনো পিয়াসা।
মাঠে মাঠে স্বর নেমে যায় খাদে
শ্বাসগ্রস্ত নাসিকায় বাজে গন্ধমদ
রৌদ্রছায়ায় বারোমাস একা গৃহবাস।
সোনামুখী সুই
সুইয়ে পরাবো সুতো কতদিন ধরে ভেবেছি-
চল্লিশের ধুনে আজ দেখি না ত চোখে
নেশা তবু পারিনা কাটাতে!
আয় তবে পাশে, বস
পরিয়ে কি দিবি সুতো?
সাঁজবেলা অন্ধকারে একদা যখন
ছিল অল্প বয়স আমার
চোখের পলকে সুতো পরিয়েছি সুইয়ে
চাঁদের আলোয় কুড়িয়েছি সুই-
আজ আর চোখে জ্যোতি নাই!
দেখ দেখ, লালা দিয়ে সুতোটা ভেজাস!
সোনামুখী সুই চিকণ লাগছে আজ?
হাত কেঁপে ওঠে যখন পরাস সুতো?
ভয় নেই, সব অনভ্যাস!
শরৎ
কোন জলভারে নুয়ে পড়ে মেঘেরা একা
মিহির আঁধারে একা ভগ্নাংশ হেন বিষণ্ণবদন।
ঐন্দ্রজালিক বিষণ্ণতা সব সংখ্যাধিক্য জুড়ে
কদাচিৎ ভাসে, ঝিঁঝিঁরাত ফের
নাসিক্যধ্বনির অনুরাগে ডাকে-
মরাল-হাসেরা যায় দোলে দোলে,
ঝড়ো বাতাসের বিরুদ্ধাভাসে উপড়ে পড়ে
শেষ পাতাদের বিষণ্ণ বাস্তুভিটে;
অনুভবেরা বিষণ্ণবদন ধেয়ে ধেয়ে আসে
শ্বেতকায় সব মেঘের উঁচুতে!
আলমিরা
ভরা বাক্সে আছে রাখা ধন
যেও না ত কাছে তুমি আর
অভিশাপ সম্পত্তি তোমার!
রোদ ওঠে সম্পূরক মনে
বন্ধ্যা মেয়ে খোলা পীঠে ডাকে
কাছে গেলে সরে যায় দূরে।
প্লাবন ঘটাতে চায় কেউ
বৃষ্টি হলে আলমিরা হাসে
সেখানেই প্রবেশ তোমার!
পুরনো কাপড় ফেলে
নতুন কাপড় করি নাকি পরিধান?
সেলাই হৃদয়, আত্মহত্যা জানত সেবার?
আলমিরা ক্ষুধিত হয়নি আর!
বিরহ
কথাচ্ছলে কতদিন ছুড়ে ফেলি দূরে
পুরনো সে স্কার্ফ।
অবহেলা মাঠে দিনান্তে করেছি বপন
কিছু বীজ সতেজ স্মৃতির,
এই রাস্তা খুব একা, আছেন ঈশ্বর
আমাকে দিবেন তিনি যা কিছু স্বপন।
কথাচ্ছলে কতদিন চোখে চোখ আঁকি
ছবি ও কোলাজ জুড়ে কত ফ্রেম বাঁধাই করেছি
অপ্রাপ্ত হালখাতা
নতুন বছর
পুরনো জীবন
অতঃপর বেদনা মধুর রোগে
মৃদু সুরে ঝড়ো হাওয়া রাত
বৃষ্টিপাত
ভারী বৃষ্টিপাত…
ফিনিক্স
কতটা বিভোর রাতে বিগত জন্মের কাক
ডেকে গেছে কতবার জানালাতে এসে,
দেখেনি ত পিছু ফিরে কত কালো তার
নির্ভারতা!