এ জার্নি ইনটু হেমিস্ফিয়ার্স । মিসবাহ উদ্দিন
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ জুন ২০১৭, ১২:৫৬ পূর্বাহ্ণ, | ২২৪৮ বার পঠিত
বেদনা
এভাবে হয় না।
ঝিনুকে হইলেও হইতে পারে,
বাট শামুকে কখনো না!
সুতরাং, বেদনা বইতে শেখো;
শৈশবের বইয়ের ভেতর
ময়ূরের পেখমের মতো
যতনে চাপায়া রাখো।
আমারেও নিয়ে যাও, ঢেউ
আমারেও নিয়ে যাও, ঢেউ
বহুদূরে পড়ে থাকি
না চিনুক কেউ
সুজলা সুফলা কোনো
রেটোরিক দেশে
আমারেও দিও ফেলে
মুসাফির বেশে
না হয় ভাসায়ে নিও
যতদূর যাও
তোমার শেষের শেষ
যে সায়রে পাও
তবুও আমারে নাও
ও আমার ঢেউ
বহুদূরে নিয়ে যাও
না-চিনুক কেউ
গান
নদীরে ভালোবেসে যে মাঝি
নাও ছেড়ে জড়ায়ে ধরে
প্রতিকূল স্রোত
তারে তুমি শিখায়ো না
ইমারত আর ইঞ্জিনের গান
তোমার সমস্ত জীবনের থেকে
মহামূল্যবান
সে মাঝির মুহুর্তের প্রাণ।
দিও অন্ধকার
তোমারে দিলাম আমি
আঘাতের অধিকার।
বিনিময়ে দিয়ো নদী
গাহনের জল, দিয়ো
বাঁচতে না চাইবার কালে
মরণের ঠোঁট
দিও, আলোহীন রোদ,
শব্দের গভীরে থাকা
শুদ্ধতম অন্ধকার!
তোমার দিকে যাইতে পারতো যে নিজন্মা সওয়াল
ধরো,
একটা হেডফোনের ভেতর
বাজতেছো তুমি
কিন্তু, আমি তোমারে শুনতেছি না
অথচ, আমি জানতেছি যে এইটা তুমি
মহাবিশ্বে এইটা একটা ছোটোখাটো রহস্য
ঠাওরে নিয়েও আমি তো তোমারে শুনতেছি না
অথচ জানতেছি ক্যাম্নে?
কিংবা, ধরো,
আমার শোনা না-শোনার
জানা না-জানার তোয়াক্কা
না কইরাই তোমার বাজতে থাকার কথা
অথচ তুমি যে বাজতেছো এইটা তুমি জানতেছো না
কিন্তু, যাদের হয় তাদের হইতেছে ঠিকই
অনেকটা রিভেঞ্জ পর্নের মতোন তুমি না চাইতেও ছড়াইয়া গেছো
অতীত থাইকা ভবিষ্যতে, কন্টিনেন্ট থাইকা কন্টিনেন্টে
অর্থাৎ, তোমারে তো আর স্থান-কাল-পাত্রে বন্দী করা যাইতেছে না
সুতরাং, সেলিব্রেটও চাইলে করতে পারো
কিন্তু, মুশকিল হইলো এইটা তো আমার হেডফোন না
তো, এইখানে বাজতেছো কেন এইভাবে
যে আমি না শুইনাও জানতেছি
কিংবা এইটা তো আমার হেডফোন
আমার পিটিএসডি আছে জানতা তো তুমি
তো এইখানে আমার এই একান্ত ব্যক্তিগত হেডফোনে তুমি
এইরকম আমারে তোয়াক্কা না কইরা যে বাজতেছো
এইটারে তোমার কোন থিওরি দিয়া তুমি বৈধ কইরা নিবা?
স্পেইস
তুমিও তো স্পেইস,
একটা পলিটিক্যাল স্ফিয়ার।
আলো যদি ঢুকে যেতে চায়
অজ্ঞাতসারে তোমার,
অনুপ্রবেশের মামলা তুমি কার আদালতে দিবে?
বার্তা-বিনিময়
তোমার গায়ে কাঁচা মাছের আশটে গন্ধ
একটা হুলো বেড়াল তোমার চারপাশে ঘুরঘুর করছে
মাছ ও বেড়াল দুইয়েই আমার অস্বস্তি আছে
অথচ, তুমিও ভিজে যেতে পারো এই বোশেখের আচমকা বাদলে
কানে গুঁজে দিতে পারো কোনো সফেদ ফুলের ছানা
বিড়ালেরা ফুল ও জল ভয় পায় জেনেও তুমি
নামছো না যে এই জলের ধারায়
সে-ও তো এক বার্তা
আমার দিকে ছুঁড়ে দেওয়া তোমার হেলাভরা ধ্রুপদী তীর
অথচ আমি যে মাছ ও বেড়ালে আগ্রহ পাই না
মুরগি ও ডিমে বিবমিষা জাগে আমার
ক্রমশ হলুদ হইতে থাকা তোমারে এ বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য একটা
কবুতর পুষতে পারতাম তো আমি
কিন্তু, তোমার ঐ বেড়াল!
আহ, তোমার ঐ মৎস্য হইতে চাওয়ার রুচি!