দোতারা । মোস্তাক আহমেদ
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ মার্চ ২০১৭, ১০:০২ পূর্বাহ্ণ, | ২২০২ বার পঠিত
সারাদিন থেমে থেমে বৃষ্টি হয়। ভাটির হাওড়ে একসময় সন্ধ্যা নামে। তারপর রাত যত গভীর হয় বৃষ্টির বেগ ততো বাড়তে থাকে। হাওড়ের শান্ত পানি অশান্ত হয়ে ওঠে। জইনুদ্দিনের বাড়িটা কুতুবপুর গ্রামের শেষ প্রান্তে। তারপরেই বিশাল হাওড়। বাড়িটার মূল মালিক অবশ্য তার উস্তাদ বাউল শীতাব আলী। বাউল শীতাব আলীর একমাত্র কন্যা ময়মুনা জইনুদ্দিনের বিবাহিতা স্ত্রী। সেই সূত্রে বাড়িটার মালিক এখন সে। শশুরের ভিটায় থাকলেও জইনুদ্দিন নিজেকে কখনো ঘর জামাই হিসেবে বিবেচনা করেনা। জইনুদ্দিন শুয়ে আছে বিছানায়। তার চোখে ঘুম নেই। বৃষ্টি-বাদলার দিনে হাওড়ের উথাল পাতাল ঢেউ আর বাতাস যখন সহস্র নাগের মত ফুসে ওঠে, তখন জইনুদ্দিন আর ঘুমাতে পারেনা।
রাত কত হবে সে আন্দাজ করতে পারেনা। শোয়া থেকে ওঠে কিছু সময় হাটুভেঙে বসে থাকে জইনুদ্দিন। আস্তে আস্তে বিছানা থেকে নেমে হারিকেন হাতে নেয়। হারিকেনের নিবু নিবু আলো আরেকটু বাড়িয়ে দেয় জইনুদ্দিন। তারপর হাতে রাখা হারিকেন বিছানার দিকে উঁচু করে ধরে রাখে কিছু সময়। ময়মুনা অঘোরে ঘুমাচ্ছে। হারিকেনের ম্লান আলোয় ময়মুনাকে বড় অচেনা লাগে জইনুদ্দিনের। একটা চাপা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে তার বুক থেকে। মাটির বেড়ায় ঝুলে থাকা তার সাধের দোতারাটা হাতে নিয়ে পা টিপে টিপে ঘর থেকে বের হয়ে দাওয়ায় এসে দাঁড়ায় জইনুদ্দিন। বর্ষার দিনে মাটির ঘরের দাওয়াগুলো ভিজে একেবারে স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে থাকে।কোথাও কোথাও আবার কেঁচো মাটি তুলতে থাকে দাওয়া ভেদ করে। জইনুদ্দিন ওইগুলোকে কেঁচোর ঘর বলে। দোতারাটা গলায় ঝুলিয়ে নেয় জইনুদ্দিন। তারপর দাওয়ায় রাখা একটি পিড়িতে বসে দুতারায় পরম মমতায় হাত বুলাতে থাকে সে। আজ জইনুদ্দিন দোতারায় সুর তুলে না।
উদাস দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে আবছা অন্ধকার উঠানের দিকে। শ্রাবণের আকাশে পূর্ণমাসী চাঁদ কে বড় বেশি ফ্যাঁকাসে লাগে জইনুদ্দিনের। একবার ঘাড় বাঁকা করে ঘরের ভিতর তাকায় সে। ঘরের ভিতর অন্ধকার, তাই ময়মুনাকে দেখতে পায়না জইনুদ্দিন। সে ময়মুনার কথা ভাবে। ময়মুনাকে গ্রহণ করে কি সে ভুল করেছে? নাকি তার প্রতি সে অবিচার করছে। জইনুদ্দিনের ভাবনাগুলো অশান্ত হয়ে ওঠে। হাত নিশপিশ করে। কিন্তু দোতারার তারে সে হাত দেয়না।
জইনুদ্দিন দোতারার সংগে বিড়বিড় করে কথা বলতে থাকে, —দোতারারে, ও দোতারা তুই কি আমার দুখ বুঝস? তোর জন্যই তো সংসারে কলঙ্কী সাজলাম। মা ছাড়লাম, ভাই-বান্ধব ছাড়লাম। আর বাপতো কবেই মইরা গেছে। আইচ্ছা ক তো দুতারা তোরে ভালোবাইসা আমি কি পাইলাম? কচু পাইছি, কচু। শোনছস আইজ সকালে ময়মুনা আমারে কি কইলো? ময়মুনা কয় আমি নাকি একটা বাদাইম্যা। হের লাইগা ভাইয়েরা আমারে বাড়ি থাইক্যা খেদাইয়া দিছে। আর কি কইছে জানছ? কইছে তোরে ভাইঙ্গা ফালাইব। ময়মুনার কথায় দুখ পাইছস? দুঃখ করিসনা। ময়মুনা মাইয়া মানুষ, হের উপর আবার পোয়াতি হইছে। মাথার ঠিক নাই। ময়মুনা মানুষটা কিন্তু খারাপ না। বুদ্ধিও আছে, আমার মত বোকা কিসিমের না।
জইনুদ্দিন তার হাতে রাখা দোতারা গালে আলতো করে চেপে ধরে চোখ বন্ধ করে বসে থাকে কিছু সময়। ঠাণ্ডা বাতাসের একটা ঝাপটা লাগে জইনুদ্দিনের সারা শরীরে। জইনুদ্দিন চোখ খুলে। তার চোখ ভিজে ওঠে। কত কথা মনে পড়ে আজ জইনুদ্দিনের। গত বছরের আগের বছর এমনই এক ঘন বর্ষার রাতে তার ভাইয়েরা তাকে ঘাড় ধরে ঘর থেকে বের করে দিয়েছিলো। জইনুদ্দিনের অপরাধ ছিলো সে সারাদিন গান বাজনা আর যাত্রাপালা নিয়ে পড়ে থাকে। দুইদিনের অভুক্ত জইনুদ্দিনকে তার ভাইয়েরা দূর দূর করে তাড়িয়ে দিয়েছিলো। মা শহরবানু নীরবে শুধু চোখের জল ফেলছিলেন সেদিন। মায়ের সামনে গিয়ে জইনুদ্দিন বলেছিলো, —মা, হেরা আমারে তাড়াইয়া দিতাছে। মায়ের কান্না আর থামে না। একসময় চোখ মুছে বলেন, —যেদিকে দুই চোখ যায় চলে যা। তোর মতো বাদাইম্যা কেন থাকব এই বাড়িতে। তুই চলে যা। তারপর সেই রাতে বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে সাধের দোতারাটা হাতে নিয়ে কুতুবপুর গ্রামে তার উস্তাদ বাউল শীতাব আলীর বাড়িতে এসে হাজির হয় জইনুদ্দিন। শীতাব আলী শান্ত কণ্ঠে বলেন, —কিরে বেটা ঘর থাইক্যা বাইর কইরা দিছে? জইনুদ্দিন মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে। শীতাব আলী ময়মুনাকে ডাকেন, —ময়মুনা, ও ময়মুনা। — জ্বী বাজান। —জয়নুদ্দিনরে আমার একটা লুঙ্গি দে, একটা পাঞ্জাবীও দিস। —আইচ্ছা।
—ঘরে খাওন কিছু আছে? থাকলে হেরে কিছু খাইতে দে, মুখটা একেবারে শুকাইয়া রইছে। জইনুদ্দিন উস্তাদজীর লুঙ্গি আর পাঞ্জাবী পরে খেতে বসে। ডালের সাথে শুকনা মরিচ ডলা দিয়ে গপগপ করে ভাত খায়। ময়মুনা গালে হাত দিয়ে বসে বসে জইনুদ্দিনের খাওয়া দেখে। শীতাব আলী জইনুদ্দিনকে ডাক দেন, —জইনুদ্দিন। —জ্বী উস্তাদজী। —এখন কি করবা, কিছু চিন্তা করেছো? —আমি চিন্তা করছি উস্তাদজী এখন থাইক্যা আপনার ঘরেই থাকমু। —তোমারে রাখতে তো আমার কোন আপত্তি নাই জইনুদ্দিন। কিন্তু আমার ঘরে জোয়ান একটা মেয়ে আছে। আর আমার তবিয়তও ঠিক নাই, কখন কি হয়। —আমার যে যাওয়ার আর জায়গা নাই উস্তাদজী। —হুম, আইচ্ছা জইনুদ্দিন তোমারে একটা কথা জিগাই। —জ্বী উস্তাদজী। — তুমি কি আমার ময়মুনারে বিবাহ করতে পারবা? শীতাব আলীর কথা শুনে জইনুদ্দিন বিষম খায়, খুক খুক করে কাশতে থাকে। ময়মুনা পানির মগ বাড়িয়ে দেয়। জইনুদ্দিন পানি খায় আর ময়মুনার দিকে তাকায়। মুয়মুনা লজ্জা পায়। সে মাথা নিচু করে। জইনুদ্দিন ময়মুনার দিকে তাকিয়ে বলে, —উস্তাদজী আমার আপত্তি নাই।
ময়মুনা হাসে। জইনুদ্দিনের খুব কাছে গিয়ে বলে, —নিজের কইলজাটারে এইভাবে কেউ ছুড়ে ফেলে দেয়? ওইটা তো আপনের কইলজা। কইলজা ছাড়া বাচবেন কেমনে? —ময়মুনা, তুমি মানুষটা কিন্তু খারাপ না। —কিন্তু আপনে মানুষটা খারাপ আর বোকা কিছিমের। এইবার ঘুমান, বিয়ান হইতে আর বাকী নাই।
—আলহামদুলিল্লাহ। শীতাব আলী বলেন, —আমি জানি জইনুদ্দিন তুমি গান বাজনা আর যাত্রাপালায় অভিনয় ছাড়া কিছুই পার না। ময়মুনা তোমার কাছে থাকলে একবেলা খাইলে অন্যবেলা উপাস থাকবো। তারপরও আমি তোমার হাতে তারে তুইল্যা দিমু। কারণ, আমি তোমারে অত্যধিক পছন্দ করি আর আমার ময়মুনাও তোমারে পছন্দ করে। সংসারে অভাব অনটন থাকলেও আমি জানি তোমরা সুখেই থাকবা। শীতাব আলী আর কোন কথা বলেন না। ময়মুনা নিঃশব্দে ঘরের দাওয়ায় এসে বাঁশের খুঁটি ধরে দাঁড়ায়। বাইরে অঝর বৃষ্টি। ময়মুনা হাত বাড়ায়। তার হাত ভিজতে থাকে বৃষ্টিজলে।
পরেরদিন খুব ভোরে শীতাব আলী দোতারা হাতে নিয়ে বের হন। বাউল শীতাব আলীর পেশা মালজোড়া গানের আসরে গান গাওয়া। শীতের সময় বায়না থাকে বেশী, বর্ষাকালে কম। শীতাব আলী জোহরের আযানের সময় ফিরে আসেন। শীতাব আলীর এক হাতে দুইটা মুরগী আর অন্যহাতে কয়েকটা কাপড়ের থলে। জইনুদ্দিন ঘরের দাওয়ায় বসা ছিলো। শীতাব আলীর ডাক শুনে ময়মুনা ঘর থেকে বের হয়ে আসে। সে জিজ্ঞেস করে, —বাজান তোমার দোতারা কই, আর হাতে এইসব কি? —দোতারার কথা বাদ দে, এক জায়গায় রাইখা আইছি। এই মুরগী দুইটা জবাই কর। সন্ধ্যার সময় মাদ্রাসার হুজুর কাজী সাবরে নিয়া আইবেন। আইজ সইন্ধ্যার সময় তোমরার বিয়া, আলহামদুলিল্লাহ। —বাজান, সবকিছুতে এত তাড়াহুড়া করো কেন। কি দরকার এতো তাড়াহুড়ার। —শুভ কাজে দেরী করতে নাইরে মা। জইনুদ্দিন তুমি বইয়া রইছো ক্যান। ঘরদোয়ার একটু সাজাও। ব্যাগের মইধ্যে রঙিন কাগজ আছে। আর শোন ময়মুনারে তোমার কিছু দিতে হইবোনা। ফাতিমা মোহরে কাবিন হইব। আমি ফাতিমা মোহরানায় তারে তোমার হাতে তুইল্যা দিমু। ব্যাগের মইধ্যে নয়া পাঞ্জাবী আছে, সময়মত পইরা নিও। —বাজান, ব্যাগের মইধ্যে দেখতাছি একটা বিয়ার শাড়ীও আছে। এত যে সওদা করলা, টেকা পাইলা কই? হাছা কইরা কও দোতারা কি করছো, বন্ধক দিছ না বিক্রি কইরা আইছো। —আছে তো কইলাম। এত কথা কস ক্যান, যা কাজ কর।
আর শোন, আমি একটু আইতাছি। গেরামের দুই চাইরজন গণ্যমান্য মানুষরে দাওয়াত করতে হইব। শীতাব আলী তাড়াহুড়া করে বাড়ী থেকে বের হয়ে যান। অবশেষে, সন্ধ্যার সময় জইনুদ্দিন আর ময়মুনার বিয়ে হয়ে যায়। বাসর রাতে জইনুদ্দিন ময়মুনাকে বলে, —কি হইল এমন মুখ ভার কইরা রইছো কেন, আমার লগে বিবাহ হওনে তুমি বেজার হইছো? —আপনে মানুষটা খুব ভালা। আল্লাহপাকের ইচ্ছা আছিলো তাই আপনের লগে আমার বিবাহ হইছে। আমি খুশি হইছি। আমার মন খারাপ হইছে অন্য কারনে। —আমারে কও তুমি কি কারনে তোমার মন বেজার। —বাজান তার দুতারা বেইচা দিছে। দোতারা বেচনের টেকা দিয়া বিয়ার সদাইপাতি করছে। আমার খুব কষ্ট লাগতেছে। দোতারাটা বাজানের কলিজা আছিলো। মানুষটা এখন বাচবো কেমনে। —কাইন্দনা ময়মুনা আমার দোতারা আছেনা? আমারটা উস্তাদজীরে দিয়া দিমু। ময়মুনা জইনুদ্দিনের বুকে মুখ লুকিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠে। জইনুদ্দিন বুঝতে পারেনা ময়মুনাকে কি শান্তনা দিবে সে। আরো কত কথা মনে পড়ে জইনুদ্দিনের। তার উস্তাদজীর কথা মনে পড়ে মাঝে মাঝে। মানুষটা আর বেশীদিন বাচলো না। দরজায় খুট করে একটা আওয়াজ হয়।
জইনুদ্দিন ঘাড় ঘুরাতেই চোখ পড়ে ময়মুনার দিকে। ময়মুনা কখন এসে দাঁড়িয়েছে সে টের পায়নি। মানুষটার প্রতি ময়মুনার খুব রাগ হয়, —এই বৃষ্টি বাদলার মইধ্যে এত রাইতে একলা একলা বাইরে বইয়া কার লগে কথা কন? —আহ তুমি আবার বিছানা থাইক্যা নামলা কেন। — আমার কথার জবাব দেন। একলা একলা কার লগে কথা কইতেছিলেন? —কার লগে আবার, এই দোতারা ছাড়া আমার কথা শুনার আর কে আছে। দোতারার লগেই কথা কই। —দোতারার লগেই সংসার করতে পারতেন। আমারে বিবাহ করছেন কি জইন্য। ঘরে নতুন মেহমান আসতেছে হেই দিকে খেয়াল আছে? আর শোনেন, কাইল থাইক্যা এই দোতারা যেন আর না দেখি। —এইটা তুমি কি কও ময়মুনা? —হ আমি ঠিকই কইছি। আপনে এত বাদাইম্যা কেন। হাওড়ে গিয়া মাছ ধরতে পারেননা? হালচাষ করতে পারেননা? কামলা খাটতে পারেননা? এইভাবে চাইয়া রইছেন কেন, ঘরে আসেন। ময়মুনা বিছানায় চলে যায়। জইনুদ্দিন অন্ধকার উঠানের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে থাকে। আকাশের চাঁদ টা পুরোপুরি ঢেকে গেছে মেঘের আবরণে। ঠান্ডা বাতাস আর বৃষ্টির ঝাপটায় শীত শীত লাগে জইনুদ্দিনের।
গলায় ঝুলানো দোতারায় হাত বোলাতে থাকে সে। দোতারাটা কে বিষাক্ত সাপের মত লাগে জইনুদ্দিনের। গলা থেকে নামিয়ে অন্ধকার উঠানের মাঝে ছুড়ে ফেলে দেয় তার সাধের দোতারা। জইনুদ্দিনের গলা ধরে আসে। সে বিড়বিড় করে বলতে থাকে, —সবাই তোর লগে আমার বিচ্ছেদ চায়। আইজ আমিও চাই। আইজ থাইক্যা তোর লগে আমার বিচ্ছেদ। তুই আমার পোড়া মনে দারুন বিচ্ছেদের ক্ষত হইয়া থাক। জইনুদ্দিন চোখ মুছে ঘরে ঢুকতে গিয়ে থমকে দাঁড়ায়। দরজায় ময়মুনা দাঁড়িয়ে আছে। ময়মুনা ঠান্ডা গলায় বলে, — এইটা আপনে কি করছেন? যান দোতারাটা নিয়া আসেন। — তুমিই তো কইলা কাইল থাইক্যা ওইটা আর দেখতে চাওনা। তাই ফেলে দিছি। — আমি কি কই কথা কানে যায়না? যান দোতারাটা যেইখানে ফেলছেন ওইখান থাইক্যা কুড়াইয়া নিয়া আসেন। জইনুদ্দিন উঠান থেকে দোতারা কুড়িয়ে নিয়ে আসে। ময়মুনা তার হাত থেকে দোতারা নিজের হাতে নিয়ে ঘরের ভেতর প্রবেশ করে। শুকনা গামছা দিয়ে মুছে দোতারাটা মাটির বেড়ার গায়ে আগের মত যত্ন করে রেখে দেয়।
ময়মুনা হাসে। জইনুদ্দিনের খুব কাছে গিয়ে বলে, —নিজের কইলজাটারে এইভাবে কেউ ছুড়ে ফেলে দেয়? ওইটা তো আপনের কইলজা। কইলজা ছাড়া বাচবেন কেমনে? —ময়মুনা, তুমি মানুষটা কিন্তু খারাপ না। —কিন্তু আপনে মানুষটা খারাপ আর বোকা কিছিমের। এইবার ঘুমান, বিয়ান হইতে আর বাকী নাই। —আইচ্ছা ময়মুনা তুমি যে কইলা দোতারা আমার কইলজা, তাইলে তুমি আমার কি? —আমি জানিনা, আপনেই কন। —তুমিই আমার আসল দোতারা। গলায় ঝুলানো দোতারা। বসতি বুকের মধ্যিখানে। ময়মুনা খিলখিল করে হেসে ওঠে, জইনুদ্দিনের বুকে মাথা রেখে বলে, —আসলেই আপনে একটা খারাপ লোক। খুব খারাপ।