দু’টি ভেঙ্গে যাওয়া হৃদয়ের কাছে আসার গল্প… । মোঃ অনিকউজ্জামান
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ জানুয়ারি ২০১৬, ৪:০৫ পূর্বাহ্ণ, | ৩৪৫৫ বার পঠিত
এ পৃথিবীতে তারাই সব থেকে ভাগ্যবান যারা নিজের ভালবাসার মানুষকে বিয়ে করতে পারে, আর যারা পারে না তারা কি সারা জীবন তাদের ভাঙ্গা হৃদয় নিয়ে একা একা গূমরে মরবে ? এই কি বিধাতার খেলা ? প্রতিটি মানুষের জীবনেই প্রেম আসে। কেউ বিয়ের আগে প্রেমে পড়ে আর কেউ বিয়ের পরে। কিন্তু বিয়ের আগে হোক বা পরে হোক, এই পৃথিবীতে তারাই সব থেকে সুখি হতে পারে যারা নিজেদের স্বামী ও স্ত্রীকে ভালবাসতে পারে। কারণ বিয়ে একটি পবিত্র বন্ধন। এই বন্ধন খুব সহজেই তৈরী করা যায় কিন্তু সারা জীবন এই বন্ধনে আবদ্ধ থেকে একে অপরকে সুখি রাখা এটাই মানুষের জীবনের সব থেকে কঠিন দ্বায়িত্ব।
অনেকেই আছেন কলকাতা বাংলা মুভির কথা শুনে নাক শিটকান। তাদের মতে কলকাতা বাংলা মুভি ইন্ড্রাস্ট্রিজের একমাত্র আর্ট ফিল্ম বাদে মূল ধারা কমার্শিয়াল মুভি গুলো আবর্জনা ছাড়া কিছুই না, কারণ সেগুলো তামিল তেলেগু মুভি থেকে হুবুহু কপি করে বানানো হয়। আর বিশেষ করে ‘দেব’ এর নাম শুনলে তো সেই সব দর্শকেরা পারলে তেড়ে আসেন মারতে। তাদের মতে ‘দেব’ আবার কোন অভিনেতা হল নাকি ? এর থেকে তো একটা ছাগল অনেক ভাল অভিনয় করতে পারে। ইত্যাদী ইত্যাদী। এটা ঠিক যে কলকাতা বাংলা টলিউড টিকে আছে তামিল তেলেগু রিমেকের উপর ভর করে। গত কয়েক বছরে যত গুলো কমার্শিয়াল মুভি এসেছে (‘দেব’, ‘জিত’, ‘সোহম’, ‘অঙ্কুশ’, ‘হিরন’ এর) তাদের মধ্যে একমাত্র ‘জামাই ৪২০’ ছিল অরিজিনাল গল্পের তবে তাতে তামিল মসলার ফ্লেবার ছিল চোখে পড়ার মত। তবে গত কয়েক বছরে এই সব তামিল তেলেগু একঘেয়ে ফর্মুলা কমেডী মুভির রিমেকের কারণে টলিউড দর্শকেরা মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে এই সব বড় বড় বাজেটের কমার্শিয়াল মুভি থেকে এবং নজর দিয়েছে কম বাজেটের আর্ট ফিল্ম ও ভিন্ন ধারার অরিজিনাল গল্পের মুভি গুলোর দিকে। আসলে সমস্যা হচ্ছে যখন কোন পরিচালক তামিল তেলেগু মুভির রিমেক বানাতে চান তখন তিনি সব সময় বেছে নেন কিছু টিপিক্যাল অ্যাকশন কমেডীর সংমিশ্রনে তৈরী এক ধরণের খিচুড়ী টাইপের মুভি গুলোকে কারণ তামিল তেলেগু ইন্ড্রাস্ট্রিজের প্রায় ৮০% মুভিই এই ধাঁচের, যেখানে নায়ক আকাশ থেকে উড়ে এসে মাটিতে পা ফেলবে, মাটি ভেঙ্গে দুই ভাগ হয়ে যাবে, ২০/২৫টা গাড়ি উড়বে আকাশে, তুফান-টর্নেডো-সাইক্লোন-সুনামী-ক্যাটরিনা-নার্গিস-জরিনা-মর্জিনা সব শুরু হবে এক সাথে এইতো। তবে এমন না যে তামিল তেলেগু পরিচালকেরা লাভ স্টোরী বানায় না। তারা লাভ স্টোরী বানায় এবং এমন সব গল্প তারা যে কোথা থেকে আমদানী করে যা দেখলে অবাক, বিস্ময় ও কষ্টে পুরাই দেহ থেকে কলিজা বের হয়ে আসতে চায়। তামিল তেলেগু লাভ স্টোরীর সাথে একমাত্র তুলনা করা যায় কোরিয়ান লাভ স্টোরী গুলোর সাথে। এমন গল্প নিয়ে মুভি বানানোর সাহস ও ক্ষমতা এখনো বলিউডেরও হয়ে ওঠেনি। এই বলিউড টলিউড শুধু তামিল তেলেগু মুভি থেকে রিমেক করেই সব ক্রেডিট নিয়ে নেয়, কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে কোন বলিউড ও টলিউডের পরিচালকেরা কখনো এই ভিন্ন ধারার তামিল তেলেগু লাভ স্টোরীর রিমেক বানায় না, কারণ এগুলো এতটাই আউট অফ দ্য ওয়ার্ল্ড যে কোন পরিচালক সাহস করতে পারে এই গল্প নিয়ে কাজ করতে। তাই বলে একদমই যে এগুলো নিয়ে কাজ হয়নি তা নয়। আমরা ‘সালমান খান’ এর ‘তেরে নাম’ ও ‘আমির খান’ এর ‘গজনী’ দেখেছি আর অবাক হয়ে ভেবেছি এমনও লাভ স্টোরী হয় ? তবে মূল কথা হচ্ছে মুভি দুটিতে ‘সালমান’ ও ‘আমির’ থাকাতে মুভি দুটো হিট করেছে না হলে বলিউডের ফোর্থ ক্লাস মার্কা দর্শকেরা এই মুভি গুলোর দিকে ঘুরেও তাকাতো না। কারণ তারা মুভির হিরো দেখে মুভি দেখে। এর থেকে তামিল তেলেগু দর্শকেরা অনেক গুণে রুচি সম্মত কারণ সেখানে সব ধরণের সাহসী গল্প নিয়ে কাজ হয় এবং সেই সব মুভি হিটও হয়।
যেহেতু কলকাতা বাংলা টলিউড মুভি নির্ভর করছে তামিল রিমেকের উপর তাই এখানকার পরিচালকেরাও সব সময় বেছে নেয় তামিল তেলেগুর টিপিক্যাল কমেডী অ্যাকশন খিচুড়ী গল্প গুলোকে। তবে গত কয়েক বছরের সকল রিমেক মুভি গুলোর মধ্যে তামিল তেলেগুর কিছু ব্যতিক্রম ধর্মী লাভ স্টোরী নিয়েও এক্সপেরিমেন্ট করা হয়েছে এবং ফলাফল পাওয়া গেছে প্রত্যাশার থেকেও অনেক বেশী। আর এই ট্রেন্ডটি চালু করেন বিখ্যাত ‘রাজ চক্রবর্তী’। তিনি প্রথম টলিউডকে উপহার দেন সম্পুর্ণ নতুন মুখ নিয়ে ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’। এক করুণ সত্যি ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত এক তামিল/তেলেগু মুভি থেকে রিমেক এই মুভিটি আগুন লাগিয়ে দেয় তরুনদের হৃদয়ে। তারপর ‘রাজ’ আবার নিয়ে আসে ‘সোহম’ ও ‘পায়েল’ এর ‘প্রেম আমার’। এ মুভিটি যেন ছিল তরুন সমাজেরই এক বাস্তব প্রতিচ্ছবি। এ মুভির শেষ দৃশ্যে ‘সোহম’ এর অভিনয় ছিল একেবারে চোখে পানি এনে দেবার মত। তারপর ‘সোহম’কে নিয়ে আরেক বিখ্যাত পরিচালক ‘রাজীব বিশ্বাস’ তৈরী করেন ‘অমানুষ’ যা ‘সোহম’কে এনে দেয় এক অন্য রকমের পরিচিতি। তারপর ‘রাজ চক্রবর্তী’ আবারও এক্সপেরিমেন্ট করেন ‘দেব’ ও ‘জিত’কে প্রথম বারের মত এক সাথে পর্দায় এনে টলিউডের প্রথম রোড মুভি লাভ স্টোরী ‘দুই পৃথিবী’ বানিয়ে। বক্স অফিস কেঁপে ওঠে এই ভিন্ন ধর্মী মুভির তাপে। তারপর ‘রাজ’ আবার ‘দেব’কে সাথে করে নিয়ে আসেন ‘লে ছক্কা’ এবং এই ব্যতিক্রমী মুভিটিও দারুন হিট করে। তারপর এক দীর্ধ বিরতীর পর আবার দর্শকদের কাঁদাতে ‘রাজ চক্রবর্তী’ নিয়ে আসেন ‘সোহম’, ‘মিমি’, ‘আবীর’ ও ‘পায়েল’ কে এক ফ্রেমে করে ‘বোঝেনা সে বোঝেনা’, ফলাফল আবার বক্স অফিস ঝড়। এই মুভি গুলো ছাড়া আর যত তামিল/তেলেগু রিমেক হয়েছে তার প্রায় সব গুলোই হয়েছে টিপিক্যাল মসলা জাতীয় গল্প নিয়ে। আর এখন যখন দর্শেকেরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে এই সব মসলা জাতীয় মুভি থেকে ঠিক তখনই ‘অভিশপ্ত নাইটি’ ও ‘গল্প হলেও সত্যি’ খ্যাত ‘বিরসা দাসগুপ্ত’ আবার রিস্ক নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করেন বিখ্যাত ব্যতিক্রমী লাভ স্টোরীর ‘তামিল’ মুভি ‘রাজা রানী’র গল্প নিয়ে এবং অনেক যত্ন সহকারে তৈরী করেন ‘দেব’, ‘শ্রাবন্তী’, ‘সোহম’ ও ‘মিমি’কে নিয়ে ‘শুধু তোমারই জন্য’। ফলাফল ২০১৫ সালের টলিউড বক্স অফিস মন্দায় বছরের সব থেকে আয় করা মুভি হচ্ছে ‘শুধু তোমারই জন্য’ তাও শুধু মাত্র ২ সপ্তাহের ইনকামে।
এ মুভির গল্প আবর্তীত হয়েছে এক দম্পতিকে নিয়ে, যাদের সদ্য বিয়ে হয়েছে কিন্তু তারা কেউ কারো সাথে সুখি নয়। দুজন দুজনকে হাজার রকমে জ্বালাতন করে নিজেদের বিবাহিত জীবনটা যখন তারা দুর্বিষহ করে তোলে, ঠিক তখনই তারা বুঝতে পারে তারা একে অন্যে তাদের অতীতের অনেক বড় একটি কষ্ট ও প্রিয়জনকে হারানোর যন্ত্রনা বুকে নিয়ে বেঁচে আছে। এখন তারা কি করবে ? তারা কি আলাদা হয়ে যাবে নাকি নিজেদের অতীত ভুলে একে অপরকে আকড়ে ধরে নিজেদের জীবনকে আবার নতুন করে শুরু করবে ? তারা যখন তাদের সিদ্ধান্ত নিয়েই নেয় ঠিক তখনই গল্পের শেষে এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা তাদের দুজনের জীবনকে আবার প্রশ্নের সম্মুক্ষীন করে তোলে। এমনই এক হৃদয় ছোঁয়া ভালবাসার গল্প নিয়ে তৈরী ‘শুধু তোমারই জন্য’। এ গল্প যেন প্রতিটি বিবাহিত দম্পতিদের যারা নিজেদের ভালবাসার মানুষকে হারানোর যন্ত্রনা বুকে চাপা দিয়ে বেঁচে আছে, এ গল্প সেই সকল মানুষদেরকে পুনরায় বাঁচতে শেখানোর গল্প, অতীতকে ভুলে নিজের জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার গল্প। পরিচালক ‘বিরসা দাসগুপ্ত’ অনেক যত্ন নিয়ে মুভিটি বানিয়েছেন। মুভিটির প্রতিটি দৃশ্য, ফ্রেম, মিউজিক, গান, অভিনয় সব কিছুতেই ছিল যত্নের ছাপ স্পষ্ট। মুভির লোকেশন গুলো ছিল একদম মনকাড়া আর গান গুলো ছিল এক অর্থে চমৎকার। ছিল না কোন বিরক্তিকর আইটেম সং, ছিল না মুভির মাঝে হঠাৎ হঠাৎ করে নায়ক নায়িকার বনে বাদাড়ে নৃত্য। যা গান ছিল তার চিত্রায়ন গুলো ছিল নায়ক নায়িকারই দৈনন্দিন ভালবাসার গল্প। আর ‘অরিজিৎ শিং’ এর গাওয়া গান ও ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক সব মিলিয়ে দর্শককে মুগ্ধ করার রাখার মত একটি কাজ এটি। তবে সব থেকে কঠিন যে কাজটি হচ্ছে তা হল পরিচালক ‘বিরসা দাসগুপ্ত’ এ মুভির অভিনেতা অভিনেত্রীদের থেকে তাদের সেরা কাজটি বের করে এনেছেন। ‘শ্রাবন্তী’, ‘সোহম’ ও ‘মিমি’ এদের অভিনয় নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই কিন্তু যাকে নিয়ে সকলেই নাক শিটকানো সেই ‘দেব’ কে এ মুভিতে দেখে কেউ কল্পনাও করতে পারবে না যে ‘দেব’ কখনো ‘পাগলু’ ও ‘খোকাবাবু’ ছিল। ‘দেব’ এর এতটা শান্ত-শিষ্ট, পরিণত ও আবেগঘন অভিনয় এর আগের কোন মুভিতেই পাওয়া যায়নি। বলা হয়ে থাকে ‘চাঁদের পাহাড়’ এর পর গত ৭ বছরের মধ্যে ‘শুধু তোমারই জন্য’ হচ্ছে ‘দেব’ এর সর্ব শ্রেষ্ঠ কাজ। ‘দেব’ ‘চাঁদের পাহাড়’ করার পর তার অভিনয় অনেকাংশেই বদলে গেছে। ‘চাঁদের পাহাড়’, ‘বুনোহাস’, ‘শুধু তোমারই জন্য’ এবং সমপ্রতি ‘আরশীনগর’ মুভি গুলোতে যে ‘দেব’কে পাওয়া গেছে তার অভিনয় নিয়ে কোন প্রশ্ন তোলা মানে সেই মুভির পরিচালককেই অপমান করা। আসলে কোন অভিনেতা অভিনেত্রীই কখনো খারাপ অভিনয় করেনা যদি না তাদের দিয়ে খারাপ অভিনয় করানো হয়। ‘দেব’ এর আগে যে সকল মসলা জাতীয় তামিল রিমেক গুলো করেছে সেগুলোর স্ক্রিপ্টই এমন ছিল যার কারণে তাকে এমন ছ্যাবলামো টাইপ অভিনয় করতে হয়েছে ও পরিচালকেরাও তাকে দিয়ে সেভাবেই অভিনয় করিয়েছে কিন্তু যখনই সে ‘কমলেশ্বর মুখার্জী’, ‘অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী’, ‘বিরসা দাসগুপ্ত’ ও ‘অপর্না সেন’ এর হাতে পড়েছে তখনই এইসকল গুণী পরিচালকেরা তার আসল অভিনয় প্রতীভাকে বের করে পর্দায় নিয়ে এসেছে। ঐ চারটি মুভি দেখার পর কেউ যদি ‘দেব’কে ছাগলের সাথে তুলনা করে তবে সেই ব্যক্তি নিজে ছাগল ছাড়া আর কিছুই নয়। এখন ‘দেব’ সামনে কাজ করছে ‘কৌশিক গাঙ্গুলী’র ‘ধুমকেতু’ মুভিতে এবং সেই সাথে তার কথা আছে ‘শ্রীজিত মুখার্জীর’ সাথে কাজ করার।
অনেকেই আছেন যারা তামিল ‘রাজা রানী’ মুভিটি দেখেছেন এবং আমি নিঃসন্দেহে বলতে পারি তারা ‘শুধু তোমারই জন্য’ দেখে হাজারটি ভুল বের করবেন ও তাদের অভিযোগ জানাবেন। তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, ভাই থামেন। কোন রিমেক কখনই অরিজিনালকে ছাড়িয়ে যেতে পারে না, হাতে গোনা বিরল কিছু কাজ ছাড়া। সুতরাং ‘রাজা রানী’কে সাইডে রেখে ‘শুধু তোমারই জন্য’কে আলাদা ভাবে আলাদা নজরে দেখুন এবং দুটি মুভির কোন রূপ তুলনা ছাড়া মুভিটির ভাল কাজের যোগ্য প্রশংসা করুন বা তখন কোন ভুল থাকলে ভুল ধরুন। আমি ‘রাজা রানী’ দেখি নাই তাই ‘শুধু তোমারই জন্য’ আমার কাছে এত ভাল লেগেছে এবং আমি গ্যারান্টী দিয়ে বলতে পারি কেউ যদি ‘রাজা রানী’র আগে এই মুভিটি দেখে তবে তার কাছে এ মুভিটি ১০০% ভাল লাগতেই বাধ্য। আর তামিল রিমেকের নামে যারা নাক শিটকাচ্ছেন তাদেরকে বলছি, তাহলে বলিউডের রিমেক গুলো দেখা বাদ দিন এবং তখন এসে বড় বড় কথা বলুন। রিমেক হয় না এমন একটা ইন্ড্রাস্ট্রি পারলে খুঁজে বের করে দেখান। সব খানেই কম বেশী রিমেক হবেই এবং সবাই তাদের নিজ নিজ সাধ্য ও টেকনোলজী দ্বারা রিমেক করে। টলিউডের টেকনোলজী কম তবুও তারা অনেক বিখ্যাত বিখ্যাত তামিল তেলেগু মুভির রিমেক নিজেদের মত করে তৈরী করে অনেক ভাল করেছে যা দেখে আমরা অনেক বিনোদিত হয়েছি। অন্তত বাংলাদেশের ঢালিউডের রিমেকের নামে অখাদ্য ও খিচুড়ী তারা তৈরী করে না। সব ইন্ড্রাস্ট্রিজেই গল্পের সংকট আছে, ঢালিউড আর টলিউডে একটু বেশীই আছে তবুও টলিউড এখনো তাদের আর্ট ফিল্ম ও ভিন্ন ধারার মুভি গুলো নিয়ে গর্ব করে বেঁচে আছে। সেই তুলনায় ঢালিউড কি করছে ? একই ধরণের তামিল খিচুড়ী বার বার নির্মাণ করছে, দর্শক হল বিমুখ হচ্ছে, হল ব্যবসা কমে যাচ্ছে। তাই কেউ যদি রিমেকের নামে নাক শিটকান তাহলে নিজ দেশের কথা আগে চিন্তা করুন। যেখানে আমাদের দেশে রিমেকের নামে অখাদ্য তৈরী হয় সেখানে বিদেশী রিমেকগুলোকে আবর্জনা বলে বর্জন করা এক ধরণের কাপুরুষতা ছাড়া আর কিছুই নয়। তাই সব দেশী সব ভাষার মুভি দেখুন এবং সকল মুভির প্রতি শ্রদ্ধাবোধ রেখে তার যোগ্য প্রশংসা করা শিখুন তা রিমেক হোক বা অরিজিনাল, দেশী হোক বা বিদেশী। এটাই একজন প্রকৃত মুভিলাভারের বৈশিষ্ট্য হওয়া উচিত… !!!