লঞ্চের আকাশ ও অন্যান্য কবিতা । সাদ রহমান
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ অক্টোবর ২০১৫, ৪:৪৭ অপরাহ্ণ, | ৩৫৬৩ বার পঠিত
আমাদের ঘরে । সাধারণ বাড়ি ।
ছোটমোট একটা বাসা হইলেই তো চলে
কি বলো—সাধারণ কোন এক বাড়ির মতোই
সেখানে রাইতের পরে আসতে থাকা দিন
দুপুর হইতে হইতে বিকাল, ক্যামন?
আস্তে কইরা আকাশ হইবো সন্ধ্যা
ও রতি, ধরো যে—
তারপরেই জোছনা আসলো সিটিতে
বারান্দা উড়াল দিলো
ও রতি, শুনো যে—
আবার পেঁচা ডাকলো
আবার ঘুম হইলো না মোটে।
লঞ্চের আকাশে
লঞ্চের আকাশেও দেখি মেঘ জমতেছে
ও রতি—মনে হইতেছে ক্ষণে
ফেনাইতেছে জল
সহসাই কাপুরুষ কাইন্দা ফেলতেছে
কাইন্দাই ফেলতেছে শেষমেষ
এই কষ্ট আমি কোথা রাখি ওগো?
এই সুখ নিয়া আমি কোন রোদের কাছে যাই?
সমস্ত নগর ভিজে গেছে দেখো—আজিকার দিনে
ওইখানে এক সন্ধ্যার পরিবেশ, তোমারে ধরছে
তুমি নাই—ও রতি
একটা মনেরে কেনো তুমি আরাম দিলা না?
বিড়াল লইয়া
বিড়াল বিষয়ে তুমি কি-সব বলো না বলো
হৃদয়ে খারাপ লাগে
কেনো বলো ওইসব?
কিসের জন্য তুমি, বলো যে—
সুন্দর বিড়ালটিরে দেখতে
মিটিপায়ে আগাইতে থাকা সেই বিড়াল
নেহায়েত কষ্ট লাগে
বলি যে—
গুরুতর ব্যাপারটা কি তুমি বোঝো নাকি?
হৃদয়ে খারাপ লাগাটা?
বস্তুত সে একজন বিড়াল
তাহা, আমি কি বিড়াল হইতে অধম?
যেমন, আমি তো মিটিপায়ে আগাইতে পারি না
রাতেরে ধইরা রাখি
আমাদের মাঝখানে আরোপিত নদী
আকাশে যাইবার পথে বিলম্বিত চিল
তাহারাও কথা কয়
বিবিধ সময়ের লগে লগে থৈ থৈ করে জল
কতো কথা কহে চিল
কহে যে— আমি আর না মরি
না মরি— রুহানির হাতটি ধইরা রাখি
ইতস্তত তারে ডাকি— চুলের গন্ধ লই
বিষ্টি বিষ্টি ভাবের কবিতা
এই যে একটা বিষ্টি-বিষ্টি ভাব দাঁড়াইছে ওয়েদারে
কিরকম মিতভাষী টাইপের
যেনো অল্প কথা বলতেছে
বিষ্টি তোমারে সহজেই কইরা তুলতেছে
বিষ্টিবতি
ও রতি
মনে হইতেছে
তোমার কার্লি চুলের ফাঁকে সমিরণ
তুমি হইতেছো পাখি
তুমি হইতেছো জল
সম্পূর্ণ ভিজে গেছো
ফলে হাসতেছো
এইবিধ কতো আচরণ
ঢলাঢলির পরে হাঁটতে হাঁটতে অনেকগুলা পথ পারি দিয়া
আমি আর তুমি গেলাম
ওইখানে ধরো গাছ আছে
পাতার ভেতর দিয়া
আকাশ দেখা যাইতেছে
উনিশ বছর বয়সে
দুনিয়ার কারুকাজ দিনে দিনে যৌবনের রূপ লালন করিতেছে
ভেদাভেদ গড়ি উঠতেছে সমানে
নারী ও তাহার পুরুষে নির্দ্বিধায়
আঠারো বছর বয়স হইছে যাদের
তাহারাই বুঝতেছে
সাধ জাগতেছে না আকাশে বাতাসে কবিতায় কিম্বা হাওরে ও বনাঞ্চলে, মিহি পূর্ণিমায়
মনে চাইতেছে সস্তা নদীর মতো হুদাই
চিৎকার করি আবার চিৎকার করি
কাছে ডাকি, নিবিড় হইতে থাকি আন্ধারে
সন্তর্পণে চুমা খাই
কতো কাজ পড়ি আছে আমাদের
হন্তদন্ত সম্পাদন করি
ও মহিলা, আপনার নিপল
আমি বোঝাইতে চাইতেছি একরকম গোশতভরা মহিলার শরীর—
চিপানো লাগানো গেঞ্জি
সাদাকালো রেইনবো শার্ট রইছে অথবা
আপনি গায়ে লইলেন
ফ্রক জাতীয়মানের কোন পরিধান
ওড়না-টোড়না-হীন (হা-করা)
নিপল কি ভাসতেছে আপনার? চাইতেছে এদিক সেদিক?
বলেন দেখি—
ওইখানে, নীরবে গুটিকার মতো
ক্ষাণিকটা উঁচা হইয়া মাউন্টের চূড়ায়
মহিলা পুলিশ অপেক্ষা আপনি তাইলে ক্যামনে উত্তম হন? শুনি চাই!
তাগোর নিপল গুটাইলো ব্রা-তলে— আপনিও তাই।
ও মহিলা! গোশতভরা শরীর লইয়া
আপনি ক্যানো ভাসান নাই নিপল?
আপনার নিপল—
যা হইতে পারে কালো
অথবা খয়ার কালার
কথাবাত্রা নাই
মাঝরাত্তিরে তুমি চুপ রহো ক্যানো কও। নিড়িবিলির মতন যেনো— আকাশের বিমানের মতন। নিশ্চুপ হইলে পরে জীবনের মাঝ দিয়া কতো বইতে থাকে নদী। ও রতি—
এইবারে চলো ব্যথা ভইরা ঘুমাই। ইতস্তত আমি তোমার নাভিতে হাত লাগাই।
বাকিটাও হইতে পারে। তুমি দেখি চুপচাপ ভিলেজের দুপুরের বাতাস হইয়াছো। যেনো ভুইলাছো আকুম-বাকুম-রব। সমস্ত নীরব মেঘের চিপায় তোমার ওষ্ঠ ঝুইলাছে। বিষ্টি পড়তেছে ব্যাকুল। ও রতি—
সেলফোন কানে লইয়া তুমি মাতিয়াছো আমার হাতে। এই হাত তোমারে ভাঙ্গিয়া লয়। কতো কথা কয়।
বিজন শব্দ হইতে থাকে। তুমি কই জানি গিয়া শরমিন্দা করো। কতোখানি দূরে রহো। হাসির আওয়াজ বিলম্বে উড়ি যায়। লক্ষী পাখির মতোই ভাসতে ভাসতে ইথারে বারি দিয়া ওইখানে কুহু কুহু করে। ও রতি—
কাছে লও দেখি। কতো রাত হইছে না জানি! বাতি কি নিভাইয়া দিবা? আমি ঠিক তোমার নয়নে তাকাইয়াছি।
আমি ও মহিলাটি
নাইমা আসতে গিয়া বিষ্টিতে আমি
সুন্দর বাতাস ছুঁইবার কালে ঐখানে
নাগরিকা বইসা আছেন চেয়ারে
—গোলাপি কালার
হাসি দিয়া ওঠেন যেনো
বিরতিনী গালের মধ্যে সুবাস
আর কিছু কথামালা ঝইরা পড়ে মাঝে
নাগরিকা মহিলাটি আর আমি তারে
কতো কাছে চাই!
আমি ও মহিলাটি বিষ্টিতে চলি নাই
ইতস্তত আমি বেহুদাই প্রেমে পড়তেছি
আন্দ্রেয়া। দ্বিতীয়বার চলো
সেক্স করতে করতে অতঃপর হঠাৎ দেখি যে
হাঁটি হাঁটি করে কোনখানে চলি গেছে আমাদের চাঁদ
অসংখ্য আকাশের মাঝ দিয়া নীরবেই
হয়তো রেলগাড়ির মতো আমাদের চাঁদ মেঘের জংশনে গিয়া থামিছে
আন্দ্রেয়া, আমাদের চাঁদ কোনখানে গেছে?
চাঁদের জংশন থিকও কতোদূরে গেলো কতো লক্ষ দূরে?
আবার চলা যাইতে পারে বিছানায়
উইন্ডো মুক্ত রাখো তুমি
দ্বিতীয়বার সেক্স করলে তো আমি ক্ষতি পাই না আন্দ্রেয়া
আমাদের চাঁদ আসতে গেলে আবার
আমরা উঠে যাইবো
ওইখানে গিয়া রাত পোহাইবার অনেক আগে
আমাদের চাঁদ আসতে আসতে এক মায়াবতী রেলগাড়ির মতন
আমরা কাঁদি উঠবো আনন্দে উচ্ছলায়
আন্দ্রেয়া, আমাদের চাঁদ চলি আসবে নিশ্চিত
তুমি নদী হও
আমরা তাহলে দ্বিতীয়বার সেক্স করি