এবং একটি সিরিজের অপমৃত্যু । মোঃ অনিকউজ্জামান
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ আগস্ট ২০১৫, ৬:৪০ পূর্বাহ্ণ, | ২৬৩৭ বার পঠিত
Fantastic Four (2015) এবং একটি সিরিজের অপমৃত্যু…!!!
আমেরিকান বাচ্চা-কাচ্চারা খুব লাকি কারণ তারা ‘মার্ভেল’, ‘ডিসি’ এসব কমিক পড়ে পড়ে বড় হয়েছে। আমরা যারা বাংলাদেশে বসবাস করি, এখন ইন্টারনেটের বদৌলতে সেই সব কমিক এখন আমরা হাতের মুঠোয় পেতে পারি, কিন্তু এখন কি আমাদের কমিক পড়ার বয়স আছে ? এখন আমাদের মুভি দেখার বয়স। কিন্তু যখন আমরা ছোট ছিলাম সেই সময় কমিকের বদলে আমরা ডিশের চ্যানেলে এই সব কমিকের কার্টুন দেখে দইয়ের স্বাধ দুধে মিটিয়েছি। ‘স্পাইডারম্যান’, ‘ব্যাটম্যান’, ‘সুপারম্যান’, ‘এক্স-মেন’, ‘হাল্ক’, এবং ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর’ ছিল সেই সময়ের সব থেকে জনপ্রিয় কার্টুন। আমার কাছে সব থেকে ফেবারিট ছিল ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর’। এই কার্টুন গুলোর কারণে আমার শৈশবটা অনেক মধুর কেটেছে। পরবর্তিতে আস্তে আস্তে বড় হয়েছি, কার্টুন দেখাও ভুলে গেছি কিন্তু এই ‘মার্ভেল’ ও ‘ডিসি’ আমাদের পিছু ছাড়েনি।
২০০৫ সালে রিলিজ পেল ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর’ মুভি। আমাদের মত কমিক ও কার্টুন প্রেমী মানুষেরা যখন আমাদের পছন্দের চরিত্রগুলোকে লাইভ অ্যাকশন রুপে বড় পর্দায় দেখলাম, তখন আমাদের খুশির কোন সীমা ছিল না। তখন কোন নায়ককে চিনতাম না। জাস্ট মুভিটা দেখে খুব মজা পেয়েছিলাম। আস্তে আস্তে মুভি দেখার সংখ্যা যতই বাড়তে লাগলো ততই অভিনেতা অভিনেত্রীদের সাথে পরিচিত হলাম। ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর’ আবার যত বার দেখলাম ততবারই মুগ্ধ হলাম। ‘রিড রিচার্ড’ চরিত্রে ভাব গম্ভীর ও বিজ্ঞানী চেহারার ‘লোন গ্রুফুড’, ‘সু স্টোর্ম’ চরিত্রে হৃদয় কাপানো ও ভয়ংকর সুন্দর ‘জেসিকা এলবা’, ‘জনি স্টোর্ম’ চরিত্রে হাসি-খুশি ও মন মাতানো ‘ক্রিস ইভান্স’ ও ‘বেন গ্রিম’ চরিত্রে বিশাল দেহী ও টাক মাথার ‘মাইকেল চিকলিস’ এবং যার কথা না বললেই নয় ‘ডক্টর ভিক্টর ভন ডুম’ চরিত্রে বলিষ্ঠ, শান্ত-শীতল ও ভয়ংকর অভিনেতা ‘জুলিয়ান ম্যাকমাহন’ ছিল এক কথায় অপ্রতিদ্বন্দ্বী। আমার কার্টুন ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর’ এর বাস্তব লাইভ অ্যাকশন চরিত্র ছিল এগুলো। আমি লাইফে প্রথম বারের মত ভিলেনের প্রেমে পড়েছিলাম এই ‘জুলিয়ান ম্যাকমাহন’ এর ‘ভিক্টর ভন ডুম’ চরিত্রটি দেখে। এর পর তো ‘জোকার’, ‘জিম মরিয়ার্টি’, ‘খান নুনিয়ান সিং’ সহ আরো কত পছন্দের ভিলেন আসলো গেল। কিন্তু শুরুটা হয়েছিল এই ‘ভিক্টর ভন ডুম’ থেকেই। অসাধারণ এই মুভিটিতে অনেক দক্ষতার সাথে এই ৪ জনের ক্যারেক্টার ডেভেলপমেন্ট দেখানো হয়েছিল, ছিল ‘জনি’ ও ‘বেন’ এর মাঝে হিউমারের যথেষ্ঠ ছড়াছড়ি, ছিল ‘বেন’ এর ইমোশোনাল টাচ এবং ‘রিড’ ও ‘সু’ এর অসাধারণ ক্যামিস্ট্রি আর সাথে ‘ভিক্টর ভন ডুম’ এর ধংসলীলা তো আছেই। ১০০ মিলিয়ন বাজেটের এই মুভিটি ডমেস্টিক বক্স অফিসে (উত্তর আমেরিকায়) ১৫৪ মিলিয়ন ও সারা বিশ্বে ৩৩০ মিলিয়ন আয় করে ব্যাপক সাফল্য লাভ করে।এত দিনে ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর’ এর সকল অভিনেতাদের চিনে গেছি ও অলরেডি ‘জেসিকা এলবা’র প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছি। ঠিক তখনই হৃদয়ে ঝড় তুলতে আবার হাজির ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর’ সাথে এক গাদা ভিলেন সহ। এ মুভির কাহিনী নেয়া হয়েছিল বিখ্যাত কমিক সিরিজ ‘গ্যালাক্টাস ট্রিলজী’ থেকে সেই সাথে মুভিতে ‘গ্যালাক্টাস’ এর সাথে সাথে মুল ভিলেন/হিরো হিসেবে আবির্ভাব ঘটানো হয় জনপ্রিয় চরিত্র ‘সিলভার সার্ফার’ এর আর সাথে পুর্বের ‘ভিক্টর ভন ডুম’ তো আছেই। চোখ ধাঁধানো স্পেশ্যাল ইফেক্ট ও মন কাঁড়া অ্যাকশন সমৃদ্ধ এই মুভিটি ছাড়িয়ে গিয়েছিল পুর্বের পর্বকেও। ১৩০ মিলিয়ন বাজেটের এই মুভিটি ডমেস্টিক বক্স অফিসে (উত্তর আমেরিকায়) আয় করে ১৩১ মিলিয়ন ও সারা বিশ্বে আয় করে ২৮৯ মিলিয়ন। মুভির শেষে ‘ভিক্টর ভন ডুম’ চরিত্রের কোন মৃত্যু ছাড়াই সমাপ্তী ও পোস্ট ক্রেডিট সিনে ‘সিলভার সার্ফার’ এর আবার জেগে ওঠা খুব সফল ভাবে ইঙ্গিত দিয়েছিল পরবর্তী সিক্যুয়ালের যার জন্য আমরা ভক্তরা অপেক্ষা করেছিলাম অধীর আগ্রহে, কিন্তু আমাদের সকল আশা ভরসায় পেট্রোল ঢেলে ২০০৯ সালের আগস্টে ‘ফক্স’ ঘোষনা দেয় ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর’ রিবুটের যার পরিণতি এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি।অনেক দিন ধরেই শুনছিলাম এই রিবুটের কথা, মনের মাঝে একটু আশাও উঁকি দিচ্ছিলো পছন্দের এই সিরিজের সাথে নতুন আঙ্গিকে নতুন চরিত্রের সবাবেশে পরিচিত হবার জন্য। কিন্তু ‘ফক্স’ যখন এ মুভির অভিনেতা অভিনেত্রীদের নাম, ছবি ও মুভির ট্রেলার প্রকাশ করলো তখনি আমার সকল আশা ভরসা ধুলোয় মিশে গেল। ‘মাইলস টেলার’ কে চিনেছি আমি ‘হুইপল্যাশ’ এর মাধ্যমে, দেখেছি তার ‘ডাইভারজেন্ট সিরিজ-ইনসারজেন্ট’। নিঃসন্দেহে সে একজন ভাল অভিনেতা কিন্তু তাকে কোন সিরিয়াস সুপার হিরো লিডিং চরিত্রে দেখবো এটা অন্তত আশা করা যায় না, কারণ তার চেহারায় শিশু সুলভ ভাবটা এখনো রয়ে গেছে আর অরিজিন ‘রিড রিচার্ড’ অভিনেতা ‘লোন গ্রুফুড’ এর সাথে তুলনা করলে ‘মাইলস টেলার’ এর এখনো জন্মই হয়নি এই চরিত্রটা করার জন্য। ‘জেসিকা এলবা’ ! কিভাবে ভুলি তাকে ? ‘কেট মারা’কে কোন যুক্তিতে এমন মোহনীয় এক নারীর ভুমিকায় নেয়া হল আমার একদম মাথায় কাজ করে না। কোথায় ‘জেসিকা এলবা’ আর কোথায় ‘কেট মারা’ ? আম আর আমড়া কি এক হল ? অরিজিন ‘ফ্যান্টাস্টিস ফোর’ মুভির ‘বেন গ্রিম’ চরিত্রটি ছিল বিশাল স্বাস্থ্যের টাক মাথার ‘মাইকেল চিকলিস’ এর। তার জায়গায় ‘ফক্স’ কোন যুক্তিতে ‘থিং’ চরিত্রে হ্যাংলা পাতলা ‘জেমি বেল’ কে কাস্ট করলো ? আমি তার এর আগে ‘জাম্পার’ দেখেছি। সে খুব ভাল অভিনয় করেছে এক পাগলাটে সুপারহিরো চরিত্রে, কিন্তু ‘থিং’ ? এটা কোন মতেই লজিক্যাল না। আর শেষ বিপর্যয়টা ‘ফক্স’ ঘটিয়েছে ‘জনি স্টোর্ম’ চরিত্রে। ‘ফক্স’ এর কি চুলকায় যে তারা এক্সপেরিমেন্ট করতে গিয়ে সাদা চামড়ার ‘ক্রিস ইভান্স’ এর ‘জনি স্টোর্ম’ চরিত্রে কালো, মুখ বাকা চেহারার ‘মাইকেল বি জর্ডান’ কে কাস্ট করলো ? আমি ‘জর্ডান’ এর আপকামিং ‘রকি’ স্পিন অফ মুভি ‘ক্রিড’ এর ট্রেলার দেখলাম। একজন বক্সারের ভুমিকায় সে জাস্ট ফাটিয়ে দিয়েছে, কিন্তু একজন সুপারহিরো ? আরে ভাই, কথায় আছে না, বন্যেরা বনে সুন্দর আর ‘জনি স্টোর্ম’ সাদা চামড়ায়। ‘মাইলস টেলার’, ‘কেট মারা’ ও ‘জেমি বেল’ কে আমি মেনে নিতে রাজি আছি, কিন্তু ‘মাইকেল বি জর্ডান’ কে কিছুতেই না। সবাই আমাকে বর্নবাদী বলে বলুক, আমি বলবো যাকে যে চরিত্রে মানায়, তাকে সেভাবেই নেয়া উচিত। কোথায় ‘ক্রিস ইভান্স’ এর হাসি খুশি দুষ্টু ‘জনি স্টোর্ম’ আর কোথায়… যত্ত সব মুখ খারাপ করতে ইচ্ছা করছে। তবে, ‘ভিক্টর ভন ডুম’ হিসেবে ‘টবি কেবেল’ খুব একটা খারাপ ছিল না। তার ‘প্রিন্স অফ পার্সিয়া’ কেখার পর থেকে তাকে আমার ভাল লাগে। কিন্তু সব মিলিয়ে এই ৫টি চরিত্র অরিজিন চরিত্রের থেকে অনেক কম বয়স্ক ও বাচ্চাদের একটা দল হয়ে গেছে, যাদের বিজ্ঞানী ও সুপারহিরো হিসেবে একদমই মানায় না। আসলে এই মুভির নাম হয়া উচিত ছিল ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর জুনিয়র’ ! এই মুভি দিয়ে নাকি আবার ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর’ ও ‘ব্রায়ান সিঙ্গার’ এর ‘এক্স-মেন’ ইউনিভার্সের ক্রসওভার ঘটানোর কথা চিন্তা করা হয়েছিল। কি হাস্যকর থিউরী। সত্যিই ব্যাপক বিনোদন পেলাম। তবে সেই আশার এখন গুড়ে বালি…
আমি মনে প্রাণে আশা করেছিলাম এই মুভিটি যেন ফ্লপ যায়। ‘ফক্স’ যেন একটা উচিত শিক্ষা পায় উল্টা-পাল্টা কাস্টিং করে আমাদের মত ভক্ত দের হৃদয় ভাঙ্গার জন্য। অবশেষে, আমার আশাই পুর্ণ হল। মুভির ডিজাস্টার বক্স অফিস রিপোর্ট দেখে এখন মুভির অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক সবাই একে অন্যের দিকে কাদা ছোঁড়াছুড়ি করছে। নেট ঘাটলে এখন অনেক কারণ বের হচ্ছে, কেন ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর’ ফ্লপ গেল। পরিচালক ‘জশ ট্র্যাঙ্ক’ মুভি রিলিজের এক দিন পর মুভির এই ফলাফল দেখে তার টুইটার অ্যাকাউন্টে দুঃখ করে লিখেছিলেন যে “A year ago I had a fantastic version of this. And it would’ve received great reviews. You’ll probably never see it. That’s reality though.” এই লেখাটি অবশ্য তিনি কিছুক্ষণ পরে ডিলিট করে দেন, কিন্তু অঘটন যা ঘটার তা অলরেডী ঘটে গেছে। সারা বিশ্ব জেনে গেছে তার এই টুইটারের কথা। ‘ফক্স’ এর সাথে ‘ট্র্যাঙ্ক’ এর শুরু থেকেই বিরোধ ছিল, ‘ফক্স’ সব সময় ‘ট্র্যাঙ্ক’ এর থেকে মুভির কনট্রল কেড়ে নিয়েছে ও ‘ফক্স’ ‘ট্র্যাঙ্ক’ এর অরিজিনাল কাট এ সন্তুষ্ট না হয়ায় তারা ‘ট্র্যাঙ্ক’কে বাদ দিয়ে পুনরায় রিশট নিয়ে মুভির কাজ শেষ করে। মুভির প্রচারনার থেকেও ‘ট্যাঙ্ক’ নিজেকে সরিয়ে রেখেছিল। মুভির ট্রেলারে যে অ্যাকশন সিন গুলো দেখানো হয়েছে তার অধিকাংশই নাকি মুভিতে মিসিং ছিল বিশেষ করে ‘থিং’ এর আকাশ থেকে ট্যাংকের উপর লাফিয়ে পড়ার আকর্ষনীয় সিনটি। তাদেরকে ড্রেসও পরানো হয়েছে হাস্যকর স্টাইলের, তাদেরকে সুপারহিরো কম বরং গ্যারেজের মেকানিক বলে বেশী মনে হয়েছে স্পেশ্যালী ‘মাইলস টেলার’কে। আর আমার মজা লেগেছে এ মুভিতে ‘থিং’ কে পুরোই উলংগ করে উপস্থাপন করায়। পরিচালকরা কি ভেবেছিল ? ‘জ্যাক স্নাইডার’ যেমন তার ‘ম্যান অফ স্টিল’ এ ‘সুপারম্যান’ এর আন্ডারওয়ার গায়েব করে দিয়ে যে সফলতা পেয়েছে, সেটাই ফলো করতে গিয়ে ‘জশ ট্র্যাঙ্ক’ ‘থিং’ এর পুরো প্যান্টই গায়েব করে দিল ? মাই গড ! ‘থিং’ এর কি ‘দ্য থিং’ নাই ? কই ট্রেলারে তো কিছুই দেখলাম না। ‘জশ ট্র্যাঙ্ক’ ‘থিং’ এর প্যান্টের সাথে সাথে পুরো ‘দ্য থিং’ টাই গায়েব করে দিল। সাহস আছে বলতে হবে। আর আমার পছন্দের ভিলেন ‘ভিক্টর ভন ডুম’ এর তো পুরাই বলাৎকার করা হয়েছে এ মুভিতে। ‘ডুম’ এর যে মুখোশ তাকে পরানো হয়েছে, তাকে দেখে ‘স্টার ওয়ার্স’ এর কোন বাতিল ভাঙ্গাচোরা রোবট বলে মনে হচ্ছিল। এই মুভিতে সায়েন্সেরও যাচ্ছে তাই ব্যবহার দেখানো হয়েছে যার অধিকাংশই কোন লজিকের মধ্যে পড়ে না। এই মুভি ফ্লপ যাবে নাতো কি ‘অ্যাভাটার’ এর রেকর্ড ভাংবে ? আরে এইটা তো আগের দুইটা পর্বের ধারে কাছেও যেতে পারেনি। ১২০ মিলিয়ন বাজেটের এই মুভি ডমেস্টিক বক্স অফিসে (উত্তর আমেরিকায়) এখন পর্যন্ত আয় করেছে মাত্র ৩৩ মিলিয়ন ও সারা বিশ্বে ৭২ মিলিয়ন। সেই সাথে সমালোচকেরা ও দর্শকেরা একদম ধুয়ে দিয়েছে এই মুভিকে। এই মুভির ‘IMDb’ রেটিং ৩.৯ এবং ‘পঁচা টমেটো থেকে পেয়েছে মাত্র ৮% রেটিং, যাকে বলে একদম সত্যিকারের পঁচা টমেটোর মাইর।আমি এখনো এই মুভি দেখিনি। অপেক্ষা করে আছি ব্লু-রে প্রিন্টের জন্য। আমি অবশ্যই এই মুভি দেখতে চাই, এই মুভির ব্যর্থতা সেলিব্রেট করার জন্য। এই মুভি রিলিজের আগেই এর সিক্যুয়ালের রিলিজ ডেট ঠিক করা হয়েছিল ৯ জুন ২০১৭। ‘ফক্স’ নাকি এখনো তাদের এই সিক্যুয়াল নিয়ে আশাবাদী। যেখানে ‘ডিসি’ তাদের ‘গ্রিন ল্যান্টার্ন’ এর ভরাডুবির পর এর সিক্যুয়ালের কাজ বাতিল করে গোটা সিরিজ আবার রিবুট করছে এবং ‘সনি’ তাদের ‘দ্য অ্যামেজিং স্পাইডারম্যান’ এর ব্যর্থতার পর এর সিক্যুয়ালের কাজ বাতিল করে ‘মার্ভেল’ এর সাথে যৌথ প্রযোজনা করে ‘স্পাইডারম্যান’ রিবুট করছে সেখানে ‘ফক্স’ কিভাবে এই লস প্রজেক্ট এগিয়ে নিয়ে যাবার চিন্তা ভাবনা করে ? একে বোকামী বলবো নাকি একগুয়েমী বলবো নাকি বাহাদুরী বলবো ? তবে যাই হোক, যদি ‘ফক্স’ তাদের সিদ্ধান্ত না বদলায় ও ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর’ যদি ‘মার্ভেল’ এর কাছে হস্তান্তর না করে তবে অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রইলাম ৯ জুন ২০১৭ তে আরো একটি ডিজাস্টার ও আমার অন্যতম প্রিয় সিরিজের অপমৃত্যু দেখার জন্য… !!!
আমেরিকান বাচ্চা-কাচ্চারা খুব লাকি কারণ তারা ‘মার্ভেল’, ‘ডিসি’ এসব কমিক পড়ে পড়ে বড় হয়েছে। আমরা যারা বাংলাদেশে বসবাস করি, এখন ইন্টারনেটের বদৌলতে সেই সব কমিক এখন আমরা হাতের মুঠোয় পেতে পারি, কিন্তু এখন কি আমাদের কমিক পড়ার বয়স আছে ? এখন আমাদের মুভি দেখার বয়স। কিন্তু যখন আমরা ছোট ছিলাম সেই সময় কমিকের বদলে আমরা ডিশের চ্যানেলে এই সব কমিকের কার্টুন দেখে দইয়ের স্বাধ দুধে মিটিয়েছি। ‘স্পাইডারম্যান’, ‘ব্যাটম্যান’, ‘সুপারম্যান’, ‘এক্স-মেন’, ‘হাল্ক’, এবং ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর’ ছিল সেই সময়ের সব থেকে জনপ্রিয় কার্টুন। আমার কাছে সব থেকে ফেবারিট ছিল ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর’। এই কার্টুন গুলোর কারণে আমার শৈশবটা অনেক মধুর কেটেছে। পরবর্তিতে আস্তে আস্তে বড় হয়েছি, কার্টুন দেখাও ভুলে গেছি কিন্তু এই ‘মার্ভেল’ ও ‘ডিসি’ আমাদের পিছু ছাড়েনি।
২০০৫ সালে রিলিজ পেল ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর’ মুভি। আমাদের মত কমিক ও কার্টুন প্রেমী মানুষেরা যখন আমাদের পছন্দের চরিত্রগুলোকে লাইভ অ্যাকশন রুপে বড় পর্দায় দেখলাম, তখন আমাদের খুশির কোন সীমা ছিল না। তখন কোন নায়ককে চিনতাম না। জাস্ট মুভিটা দেখে খুব মজা পেয়েছিলাম। আস্তে আস্তে মুভি দেখার সংখ্যা যতই বাড়তে লাগলো ততই অভিনেতা অভিনেত্রীদের সাথে পরিচিত হলাম। ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর’ আবার যত বার দেখলাম ততবারই মুগ্ধ হলাম। ‘রিড রিচার্ড’ চরিত্রে ভাব গম্ভীর ও বিজ্ঞানী চেহারার ‘লোন গ্রুফুড’, ‘সু স্টোর্ম’ চরিত্রে হৃদয় কাপানো ও ভয়ংকর সুন্দর ‘জেসিকা এলবা’, ‘জনি স্টোর্ম’ চরিত্রে হাসি-খুশি ও মন মাতানো ‘ক্রিস ইভান্স’ ও ‘বেন গ্রিম’ চরিত্রে বিশাল দেহী ও টাক মাথার ‘মাইকেল চিকলিস’ এবং যার কথা না বললেই নয় ‘ডক্টর ভিক্টর ভন ডুম’ চরিত্রে বলিষ্ঠ, শান্ত-শীতল ও ভয়ংকর অভিনেতা ‘জুলিয়ান ম্যাকমাহন’ ছিল এক কথায় অপ্রতিদ্বন্দ্বী। আমার কার্টুন ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর’ এর বাস্তব লাইভ অ্যাকশন চরিত্র ছিল এগুলো। আমি লাইফে প্রথম বারের মত ভিলেনের প্রেমে পড়েছিলাম এই ‘জুলিয়ান ম্যাকমাহন’ এর ‘ভিক্টর ভন ডুম’ চরিত্রটি দেখে। এর পর তো ‘জোকার’, ‘জিম মরিয়ার্টি’, ‘খান নুনিয়ান সিং’ সহ আরো কত পছন্দের ভিলেন আসলো গেল। কিন্তু শুরুটা হয়েছিল এই ‘ভিক্টর ভন ডুম’ থেকেই। অসাধারণ এই মুভিটিতে অনেক দক্ষতার সাথে এই ৪ জনের ক্যারেক্টার ডেভেলপমেন্ট দেখানো হয়েছিল, ছিল ‘জনি’ ও ‘বেন’ এর মাঝে হিউমারের যথেষ্ঠ ছড়াছড়ি, ছিল ‘বেন’ এর ইমোশোনাল টাচ এবং ‘রিড’ ও ‘সু’ এর অসাধারণ ক্যামিস্ট্রি আর সাথে ‘ভিক্টর ভন ডুম’ এর ধংসলীলা তো আছেই। ১০০ মিলিয়ন বাজেটের এই মুভিটি ডমেস্টিক বক্স অফিসে (উত্তর আমেরিকায়) ১৫৪ মিলিয়ন ও সারা বিশ্বে ৩৩০ মিলিয়ন আয় করে ব্যাপক সাফল্য লাভ করে।এত দিনে ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর’ এর সকল অভিনেতাদের চিনে গেছি ও অলরেডি ‘জেসিকা এলবা’র প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছি। ঠিক তখনই হৃদয়ে ঝড় তুলতে আবার হাজির ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর’ সাথে এক গাদা ভিলেন সহ। এ মুভির কাহিনী নেয়া হয়েছিল বিখ্যাত কমিক সিরিজ ‘গ্যালাক্টাস ট্রিলজী’ থেকে সেই সাথে মুভিতে ‘গ্যালাক্টাস’ এর সাথে সাথে মুল ভিলেন/হিরো হিসেবে আবির্ভাব ঘটানো হয় জনপ্রিয় চরিত্র ‘সিলভার সার্ফার’ এর আর সাথে পুর্বের ‘ভিক্টর ভন ডুম’ তো আছেই। চোখ ধাঁধানো স্পেশ্যাল ইফেক্ট ও মন কাঁড়া অ্যাকশন সমৃদ্ধ এই মুভিটি ছাড়িয়ে গিয়েছিল পুর্বের পর্বকেও। ১৩০ মিলিয়ন বাজেটের এই মুভিটি ডমেস্টিক বক্স অফিসে (উত্তর আমেরিকায়) আয় করে ১৩১ মিলিয়ন ও সারা বিশ্বে আয় করে ২৮৯ মিলিয়ন। মুভির শেষে ‘ভিক্টর ভন ডুম’ চরিত্রের কোন মৃত্যু ছাড়াই সমাপ্তী ও পোস্ট ক্রেডিট সিনে ‘সিলভার সার্ফার’ এর আবার জেগে ওঠা খুব সফল ভাবে ইঙ্গিত দিয়েছিল পরবর্তী সিক্যুয়ালের যার জন্য আমরা ভক্তরা অপেক্ষা করেছিলাম অধীর আগ্রহে, কিন্তু আমাদের সকল আশা ভরসায় পেট্রোল ঢেলে ২০০৯ সালের আগস্টে ‘ফক্স’ ঘোষনা দেয় ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর’ রিবুটের যার পরিণতি এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি।অনেক দিন ধরেই শুনছিলাম এই রিবুটের কথা, মনের মাঝে একটু আশাও উঁকি দিচ্ছিলো পছন্দের এই সিরিজের সাথে নতুন আঙ্গিকে নতুন চরিত্রের সবাবেশে পরিচিত হবার জন্য। কিন্তু ‘ফক্স’ যখন এ মুভির অভিনেতা অভিনেত্রীদের নাম, ছবি ও মুভির ট্রেলার প্রকাশ করলো তখনি আমার সকল আশা ভরসা ধুলোয় মিশে গেল। ‘মাইলস টেলার’ কে চিনেছি আমি ‘হুইপল্যাশ’ এর মাধ্যমে, দেখেছি তার ‘ডাইভারজেন্ট সিরিজ-ইনসারজেন্ট’। নিঃসন্দেহে সে একজন ভাল অভিনেতা কিন্তু তাকে কোন সিরিয়াস সুপার হিরো লিডিং চরিত্রে দেখবো এটা অন্তত আশা করা যায় না, কারণ তার চেহারায় শিশু সুলভ ভাবটা এখনো রয়ে গেছে আর অরিজিন ‘রিড রিচার্ড’ অভিনেতা ‘লোন গ্রুফুড’ এর সাথে তুলনা করলে ‘মাইলস টেলার’ এর এখনো জন্মই হয়নি এই চরিত্রটা করার জন্য। ‘জেসিকা এলবা’ ! কিভাবে ভুলি তাকে ? ‘কেট মারা’কে কোন যুক্তিতে এমন মোহনীয় এক নারীর ভুমিকায় নেয়া হল আমার একদম মাথায় কাজ করে না। কোথায় ‘জেসিকা এলবা’ আর কোথায় ‘কেট মারা’ ? আম আর আমড়া কি এক হল ? অরিজিন ‘ফ্যান্টাস্টিস ফোর’ মুভির ‘বেন গ্রিম’ চরিত্রটি ছিল বিশাল স্বাস্থ্যের টাক মাথার ‘মাইকেল চিকলিস’ এর। তার জায়গায় ‘ফক্স’ কোন যুক্তিতে ‘থিং’ চরিত্রে হ্যাংলা পাতলা ‘জেমি বেল’ কে কাস্ট করলো ? আমি তার এর আগে ‘জাম্পার’ দেখেছি। সে খুব ভাল অভিনয় করেছে এক পাগলাটে সুপারহিরো চরিত্রে, কিন্তু ‘থিং’ ? এটা কোন মতেই লজিক্যাল না। আর শেষ বিপর্যয়টা ‘ফক্স’ ঘটিয়েছে ‘জনি স্টোর্ম’ চরিত্রে। ‘ফক্স’ এর কি চুলকায় যে তারা এক্সপেরিমেন্ট করতে গিয়ে সাদা চামড়ার ‘ক্রিস ইভান্স’ এর ‘জনি স্টোর্ম’ চরিত্রে কালো, মুখ বাকা চেহারার ‘মাইকেল বি জর্ডান’ কে কাস্ট করলো ? আমি ‘জর্ডান’ এর আপকামিং ‘রকি’ স্পিন অফ মুভি ‘ক্রিড’ এর ট্রেলার দেখলাম। একজন বক্সারের ভুমিকায় সে জাস্ট ফাটিয়ে দিয়েছে, কিন্তু একজন সুপারহিরো ? আরে ভাই, কথায় আছে না, বন্যেরা বনে সুন্দর আর ‘জনি স্টোর্ম’ সাদা চামড়ায়। ‘মাইলস টেলার’, ‘কেট মারা’ ও ‘জেমি বেল’ কে আমি মেনে নিতে রাজি আছি, কিন্তু ‘মাইকেল বি জর্ডান’ কে কিছুতেই না। সবাই আমাকে বর্নবাদী বলে বলুক, আমি বলবো যাকে যে চরিত্রে মানায়, তাকে সেভাবেই নেয়া উচিত। কোথায় ‘ক্রিস ইভান্স’ এর হাসি খুশি দুষ্টু ‘জনি স্টোর্ম’ আর কোথায়… যত্ত সব মুখ খারাপ করতে ইচ্ছা করছে। তবে, ‘ভিক্টর ভন ডুম’ হিসেবে ‘টবি কেবেল’ খুব একটা খারাপ ছিল না। তার ‘প্রিন্স অফ পার্সিয়া’ কেখার পর থেকে তাকে আমার ভাল লাগে। কিন্তু সব মিলিয়ে এই ৫টি চরিত্র অরিজিন চরিত্রের থেকে অনেক কম বয়স্ক ও বাচ্চাদের একটা দল হয়ে গেছে, যাদের বিজ্ঞানী ও সুপারহিরো হিসেবে একদমই মানায় না। আসলে এই মুভির নাম হয়া উচিত ছিল ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর জুনিয়র’ ! এই মুভি দিয়ে নাকি আবার ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর’ ও ‘ব্রায়ান সিঙ্গার’ এর ‘এক্স-মেন’ ইউনিভার্সের ক্রসওভার ঘটানোর কথা চিন্তা করা হয়েছিল। কি হাস্যকর থিউরী। সত্যিই ব্যাপক বিনোদন পেলাম। তবে সেই আশার এখন গুড়ে বালি…
আমি মনে প্রাণে আশা করেছিলাম এই মুভিটি যেন ফ্লপ যায়। ‘ফক্স’ যেন একটা উচিত শিক্ষা পায় উল্টা-পাল্টা কাস্টিং করে আমাদের মত ভক্ত দের হৃদয় ভাঙ্গার জন্য। অবশেষে, আমার আশাই পুর্ণ হল। মুভির ডিজাস্টার বক্স অফিস রিপোর্ট দেখে এখন মুভির অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক সবাই একে অন্যের দিকে কাদা ছোঁড়াছুড়ি করছে। নেট ঘাটলে এখন অনেক কারণ বের হচ্ছে, কেন ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর’ ফ্লপ গেল। পরিচালক ‘জশ ট্র্যাঙ্ক’ মুভি রিলিজের এক দিন পর মুভির এই ফলাফল দেখে তার টুইটার অ্যাকাউন্টে দুঃখ করে লিখেছিলেন যে “A year ago I had a fantastic version of this. And it would’ve received great reviews. You’ll probably never see it. That’s reality though.” এই লেখাটি অবশ্য তিনি কিছুক্ষণ পরে ডিলিট করে দেন, কিন্তু অঘটন যা ঘটার তা অলরেডী ঘটে গেছে। সারা বিশ্ব জেনে গেছে তার এই টুইটারের কথা। ‘ফক্স’ এর সাথে ‘ট্র্যাঙ্ক’ এর শুরু থেকেই বিরোধ ছিল, ‘ফক্স’ সব সময় ‘ট্র্যাঙ্ক’ এর থেকে মুভির কনট্রল কেড়ে নিয়েছে ও ‘ফক্স’ ‘ট্র্যাঙ্ক’ এর অরিজিনাল কাট এ সন্তুষ্ট না হয়ায় তারা ‘ট্র্যাঙ্ক’কে বাদ দিয়ে পুনরায় রিশট নিয়ে মুভির কাজ শেষ করে। মুভির প্রচারনার থেকেও ‘ট্যাঙ্ক’ নিজেকে সরিয়ে রেখেছিল। মুভির ট্রেলারে যে অ্যাকশন সিন গুলো দেখানো হয়েছে তার অধিকাংশই নাকি মুভিতে মিসিং ছিল বিশেষ করে ‘থিং’ এর আকাশ থেকে ট্যাংকের উপর লাফিয়ে পড়ার আকর্ষনীয় সিনটি। তাদেরকে ড্রেসও পরানো হয়েছে হাস্যকর স্টাইলের, তাদেরকে সুপারহিরো কম বরং গ্যারেজের মেকানিক বলে বেশী মনে হয়েছে স্পেশ্যালী ‘মাইলস টেলার’কে। আর আমার মজা লেগেছে এ মুভিতে ‘থিং’ কে পুরোই উলংগ করে উপস্থাপন করায়। পরিচালকরা কি ভেবেছিল ? ‘জ্যাক স্নাইডার’ যেমন তার ‘ম্যান অফ স্টিল’ এ ‘সুপারম্যান’ এর আন্ডারওয়ার গায়েব করে দিয়ে যে সফলতা পেয়েছে, সেটাই ফলো করতে গিয়ে ‘জশ ট্র্যাঙ্ক’ ‘থিং’ এর পুরো প্যান্টই গায়েব করে দিল ? মাই গড ! ‘থিং’ এর কি ‘দ্য থিং’ নাই ? কই ট্রেলারে তো কিছুই দেখলাম না। ‘জশ ট্র্যাঙ্ক’ ‘থিং’ এর প্যান্টের সাথে সাথে পুরো ‘দ্য থিং’ টাই গায়েব করে দিল। সাহস আছে বলতে হবে। আর আমার পছন্দের ভিলেন ‘ভিক্টর ভন ডুম’ এর তো পুরাই বলাৎকার করা হয়েছে এ মুভিতে। ‘ডুম’ এর যে মুখোশ তাকে পরানো হয়েছে, তাকে দেখে ‘স্টার ওয়ার্স’ এর কোন বাতিল ভাঙ্গাচোরা রোবট বলে মনে হচ্ছিল। এই মুভিতে সায়েন্সেরও যাচ্ছে তাই ব্যবহার দেখানো হয়েছে যার অধিকাংশই কোন লজিকের মধ্যে পড়ে না। এই মুভি ফ্লপ যাবে নাতো কি ‘অ্যাভাটার’ এর রেকর্ড ভাংবে ? আরে এইটা তো আগের দুইটা পর্বের ধারে কাছেও যেতে পারেনি। ১২০ মিলিয়ন বাজেটের এই মুভি ডমেস্টিক বক্স অফিসে (উত্তর আমেরিকায়) এখন পর্যন্ত আয় করেছে মাত্র ৩৩ মিলিয়ন ও সারা বিশ্বে ৭২ মিলিয়ন। সেই সাথে সমালোচকেরা ও দর্শকেরা একদম ধুয়ে দিয়েছে এই মুভিকে। এই মুভির ‘IMDb’ রেটিং ৩.৯ এবং ‘পঁচা টমেটো থেকে পেয়েছে মাত্র ৮% রেটিং, যাকে বলে একদম সত্যিকারের পঁচা টমেটোর মাইর।আমি এখনো এই মুভি দেখিনি। অপেক্ষা করে আছি ব্লু-রে প্রিন্টের জন্য। আমি অবশ্যই এই মুভি দেখতে চাই, এই মুভির ব্যর্থতা সেলিব্রেট করার জন্য। এই মুভি রিলিজের আগেই এর সিক্যুয়ালের রিলিজ ডেট ঠিক করা হয়েছিল ৯ জুন ২০১৭। ‘ফক্স’ নাকি এখনো তাদের এই সিক্যুয়াল নিয়ে আশাবাদী। যেখানে ‘ডিসি’ তাদের ‘গ্রিন ল্যান্টার্ন’ এর ভরাডুবির পর এর সিক্যুয়ালের কাজ বাতিল করে গোটা সিরিজ আবার রিবুট করছে এবং ‘সনি’ তাদের ‘দ্য অ্যামেজিং স্পাইডারম্যান’ এর ব্যর্থতার পর এর সিক্যুয়ালের কাজ বাতিল করে ‘মার্ভেল’ এর সাথে যৌথ প্রযোজনা করে ‘স্পাইডারম্যান’ রিবুট করছে সেখানে ‘ফক্স’ কিভাবে এই লস প্রজেক্ট এগিয়ে নিয়ে যাবার চিন্তা ভাবনা করে ? একে বোকামী বলবো নাকি একগুয়েমী বলবো নাকি বাহাদুরী বলবো ? তবে যাই হোক, যদি ‘ফক্স’ তাদের সিদ্ধান্ত না বদলায় ও ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর’ যদি ‘মার্ভেল’ এর কাছে হস্তান্তর না করে তবে অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রইলাম ৯ জুন ২০১৭ তে আরো একটি ডিজাস্টার ও আমার অন্যতম প্রিয় সিরিজের অপমৃত্যু দেখার জন্য… !!!
Rating: N/A/10 (N/A votes) Director: Josh Trank Writer: Simon Kinberg (screenplay), Jeremy Slater (screenplay), Josh Trank (screenplay), Stan Lee (characters), Jack Kirby (characters) Stars: Miles Teller, Michael B. Jordan, Kate Mara, Jamie Bell Runtime: 106 min Rated: PG-13 Genre: Action, Adventure, Sci-Fi Released: 7 Aug 2015 |
|
Plot: Four young outsiders teleport to an alternate and dangerous universe which alters their physical form in shocking ways. The four must learn to harness their new abilities and work together to save Earth from a former friend turned enemy. |