উইন্ডমিল ও অন্যান্য কবিতা । দঈত আননাহাল
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ আগস্ট ২০১৫, ৫:৪৮ পূর্বাহ্ণ, | ২৮৪৭ বার পঠিত
যৌথ অজানায়!
আপনি না থাকলেও (যদিও থাকার কোনো কারন নাই, এবঙ আপনিত আসলে নাই!) মোনে হয় ‘আছেন’ (কি অদ্ভূত এই টের পাওয়া!) এই ‘নাই নাই থাকাটা’ জানি সত্যি সাক্ষাতের তরে প্রচলিত সরলরৈখিক চিন্তায় ঠাঁই পাওয়ার যোগ্য না!
ফলত: আপনি আরো বেশী কইরা থাকতে থাকলেন, আপনারই চিন্তা দিয়া কব্জা কইরা ফেল্লেন অসহায় আমারে, অদ্ভূত হইলো এইসব ঘটতেছে আপনের অজান্তে, আমাদের যৌথ অজানার ভিতর!
অপেক্ষা: দূরত্বের প্রত্ন মিটার!
১.
অপেক্ষা সময়ের ধারনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে… কড়া নাড়ে সমগ্র অনুভূতির দরোজায়! সূর্য গলে পড়ে ঢলে পড়ে মোমদানিতে! ক্লান্তির সীমানায় দাড়িয়ে আয়ুর সন্ধ্যা কালে— বোধ হয় অপেক্ষা; পৃথিবীর আয়ুর সমান! অন্ধকার ঘোঁচে না, আলো বোলে সুনির্দিষ্ট নেই কিছু! অপেক্ষা— সময়ের যময বোন; স্মৃতি বিরুদ্ধ প্রাক্তন নদী কোনো, যেখানে সারি সারি পার্ক করা ট্রাক, ধূলোর ভেতর হোতে চোখ মারে মাল বোঝা্ই সময়, বিক্রির পূর্বে এবঙ পারাপারের যোগ্যতালগ্নে…অপেক্ষা— মূলত ফেরী, কালভার্ট, পদ্মা সেতু, রিক্সার বেল, ইটের ভাটা, অতিরঞ্জিত বেগুনী রস্মি কোনো— মৃত্যু, অথবা প্রেমিকা!
২.
অপেক্ষার সমান দূরত্বে;
দাড়িয়ে থাকে মানুষ
— একে অন্যের হোতে!
অবসম্ভাবী!
and I stand immobilized…
সকলে চইলা গ্যাছে
— বৃষ্টি নামছে শহরে…
কতিপয় একলা মানুষ
উৎসবের ভিত্রে ভিজতেছে য্যানো
— একা আপত্তিহীন লোডশেডিং!
শহরের সকল নৈ:শব্দের একচ্ছত্র—
মালিকানায় জাইগা আছে মরুভূমি;
অপেক্ষাকাতর মৃত্যুর মতো অবসম্ভাবী…
সম্পর্ক চরিত
উভয় পক্ষের বাণিজ্য—
রক্ষা কোরে যাচ্ছেন উভয় পক্ষ;
— এটাই সম্পর্ক!
আশ্চর্য সুন্দর!
শিমুল নামের ফুলটির সাথে দেখা না হোলেও
তরুণীটির সাথে হয়; আর তখন ফুলটির সাথেও!
— আশ্চর্য সুন্দর মূলত এ্যামন!
(শিুমুল জামানকে)
একলা পালক!
আমার ছাদে সেকি হাওয়া…
ঘড়ের ভেতরটা বাহিরে উড়ে যাচ্ছে…আমিও…তোমার
— দরোজার সমুখে এসে য্যানো, ‘পড়ে আছে একটি পালক!’
সম্পর্ক পুরাণ!
ভালোবেসে যারা মরেনাই;
— তারা কেউ বাইচা নাই…
ভয়!
একে অন্যের পঁচা গলা মৃত শরীরের দুর্গন্ধে
— ভারি হোয়ে আসছে, এই গ্রহের বাতাস;
আমি আর কোনো ঘ্রান পাচ্ছি না;
নিজের মৃত শরীরের দুর্গন্ধ এছাড়া!
— আমার ভয়;
মূলত: অভ্যস্ততায়…
এত এত লাশ—
সমাধিস্থ করবে কে!
কেউ কি বেঁচে আছে?
কেউ!
শরীর হোতে যে উড়ে যাচ্ছে—
কস্তুরী জাফরান,— সকল ঘ্রান;
একে অন্যেরে খুন কোরে কোরে
দল; ভারী হচ্ছে বাতাসে লোবান!
এত এত লাশ তবে
সমাধিস্থ করবে কে!
কেউ কি বেঁচে আছি;
কেউ কি বেঁচে আছে?
উইন্ডমিল!
এ্যামন বৃষ্টির শব্দরে রাইখা ঘুমাই ক্যামনে!
কড়া নড়ে না কখনো; জানালায়, চালায় তবু
মাঝে মাঝে
বৃষ্টি আসে!
বর্ষা আইলেই বুঝি প্রেম
ধুইয়া গ্যাছে কি উপায়!
দরোজা জানালাহীন যে ঘড়
খা খা বিরান চোখের ভিতর;
অইখানে জলোচ্ছাস দিনরাত
উইন্ডমিল থামে না ক্যানোরে!
একদিক বানভাসি আর দিক
বোকা রাইত অনলে পোড়ে!
কেবল বৃষ্টিই আসে, যায়;
— এই মরা নদী বিছানায়!
লুপ!
আমি আমার দিকে অপলক তাকায়া থাইকা
জীবনের সবগুলা প্রাপ্তবয়স্ক রাত পার করছি
চোখের ভিতর সমুদ্রের ঢেউ গুনে!
— সেই ঢেউ মুখ ভিজায়া বুকে জমে
বরফ হইছে প্রতি ভোরে! পুন:শ্চ রাত
আইলে আমি বিষের লগে সেই বরফ
মিশায়া পান করছি; তারপর আমি
আমার দিকে চায়া অপলক
জীবনের সবগুলা পৌরাণিক রাত পার করছি
বুকের ভিতর খাঁচা খোলা
অথচ ডানা ভাঙা পাখিটার
মৃত্যুমুখো ঠোঁটে
— চুমু খাইতে খাইতে; ধীর মৃত্যুরে
ভালোবাসতে বাসতে;
যখন মানুষ ভুইলা গ্যাছে ভালোবাসা কারে কয়!
আমিত মৃত্যুরেই ভালোবাসছি অত:পর
প্রেমিকাস্থলে— যে নাই, শে নাই,
শে’তো নাই আর সে স্থলে!
একধরনের সকাল আসতে থাকে
এরুপে; আর তখন আমিও ফলত:
— মরতে থাকি…
লেখার সাথে ব্যবহিত সবগুলো ছবি লেখকের