বেতফুলের বিভ্রম ও অন্যান্য কবিতা / হাসান মসফিক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ মার্চ ২০১৪, ৫:৪৪ পূর্বাহ্ণ, | ২৪৬৬ বার পঠিত
আমাকে লিখতে দাও বেতফুলের বিভ্রম। গোলাপের জীবনী। জন্মান্ধ ওইযে মেয়েটি; চিনে গেছে গেছে লেবুফুলের ক্লাসরুম। ভাঁজ খুলে গেলে যেভাবে হয়ে ওঠে এক-একটি দারুচিনির দ্বীপ।
ধরো, পাঁচিলধারের গাছটার মরাকাঁটায় একটা ঝকঝকে বিকেল আটকে আছে!
ধরো, জিয়ল বেয়ে বেয়ে উঠে যাচ্ছি সত্য দেখতে।
অন্ধকার
তোমার আলখেল্লার ভিত্রে ঘুমায়া পড়ছিলাম। জাইগা দেহি, সকাল হাঁইটা গেছে বহুদূর। নহর বাইয়া নামতাছে পিঁপড়ের বিষ। আমারে ছোঁয়াও, ধরতে দাও সাপেদের ফিসফিস। ফাল দিয়া উইড়া যায় পাখিদের আস্তানা। নখ দিয়া খুইটা দেহি, এখনো সবুজ চুমুদের আঙিনা।
আমিও যাই- ছাপাখানায় বিকেল ছাপতে দিয়া কোনো কোনো রাতের কাছে। ঢাইলা দিয়া আসি পুরনো গোপন সব অন্ধকার।
চলো … গলতে গলতে আমারে তবে শিখায়া দাও মোমের জিল্লতি!
শীতলকাল
এক
শহর জুড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে বিষণ্ণ সাইরেন।
সেইসব পাখিদের কথা মনে পড়ছে। যারা ভাগ করে গণতন্ত্রের কেঁচো খেয়ে উড়ে গিয়ে প্রাসাদে বাসা বেঁধেছে। এখন সমস্তটা দেখে মোলায়েম ফ্রেমের ভেতর দিয়ে।
ভালোবাসা, গন্ধের ওমে কেটে যায় একটার পর একটা শীতবেলা।
দুই
আটকা পড়ে যাচ্ছি; দ্রুতলয়ে বেরিয়ে পড়তে হবে
শীত থেকে।
মখমলের উপর চোরাকাঁটার সামিয়ানা। এখনো একেকটা তারিখের রোডমার্চকে ঘিরে রেখেছে ঘন কুয়াশা।
ফুল-পাখিদের গান অনেকে হলো; জানালা জুড়ে উজ্জ্বল আকাশ চাই।
ওই দেখো, সমস্ত খাতা থেকে ব্যর্থতা উড়ে যায় …