একগুচ্ছ কবিতা / ইউসুফ বান্না
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ জানুয়ারি ২০১৪, ৬:৫৩ অপরাহ্ণ, | ১৯৮৯ বার পঠিত
জ্বলছে শহর পুড়ছে মানুষ-–প্রয়াণ পরব
. এই পরতে–তামাম তামাশা-–
তালিয়া বাজাও বাচ্ছালোক ! নির্বাচনী দশেরা-–অবরোধে-–জয় মা দুর্গা
অবরুদ্ধ নগরীতে কতশত রাবণ-–বধ ও বাদ্ধকতায়
বেঁচে বর্তে আছে মহিষাসুরের সাথে আঁতাত করছে আলাপে–
. জুঝে নাও এই দফা-–তামাম তামাশা–
যেখানে রক্তের দোল খেলা নেই মৃত্যু আছে
আর তানাশাহি একজন তার অধিততপরতা নিয়ে ক্রমাগত
. মারা যাচ্ছে আমার নাগালে
যে আমি ভাল নেই তাকে কেউ চিনেনি
যাকে ভালো দেখছে ভালোবাসা দিয়ে-শমনকরণ–
তাকে হচ্ছে নির্ঘুম রাত–ক্লান্তি নিয়ে ভাল–
তাকে অনুরাগে নয়–তাগাদায় ও তাগিদে শুনতে হচ্ছে
চউরাশিয়ার বাঁশী–-মালকোষে রশিদ খাঁ
খেয়ালে হারালে আমি লিখে যাচ্চি
এ পোড়া শহরের মতো নির্মম কাগজে সে
বন্দিশেরই তারানা- টাকার সাথে এই দফা চুদে উঠতে
পারিনি বলেই পৌরাণিক শয়ানে জেগে মনে হচ্ছে
. কি হবে এইভাবে
তামাশার তানানানা গড্ডালিকায়…
অবরোধের প্যাণ্ডেমনিয়াম
(যারা কিছুই না জেনে দুর্ভাগা্ দগ্ধ,সেই সব অগ্নিশর্মাদের প্রতি)
কতদিন হলে কতকাল-
. কতকাল পিছুলে স্মৃতি ?
আমাকে গন্তব্যের অগত্যা পেয়ে বসে
আর সম্ভারের বিহবলতা দিতে পারেনা কোন উত্তর,
কতোটা ভুলে গেলে প্রশ্নবোধ তবে
. চিহ্ন হয়ে উঠে?
আমাদের নিরাকার নিরাশা
. কতটা নির্বেদ মেনে দগ্ধ?
করন, তুমি অন্ধ নও-– ঘুমিয়ে আছ শুধু
আর প্রানমোহী-তার প্রাতিস্বিক হুঁশিয়ারিতে
চিরস্থায়ী দুঃখ সেঁটে দিলে কপালে
আমি উপকৃত হই-– বিপ্রতীব্রতায়
নানান রকম নৈঋত বাতাসে
হাসে নয় দিক-ফিক করে হেসে ফেলি
সে সময় বেঠিক- টিক টিক টিক
দাদাঘড়ি আমারও আছে -দাদা নেই বেঁচে
আর দৈহিক অদৃশ্যময়তার space –এ
Alarm বেজে উঠেছে
. তীব্রনাদে
সাংবেশিক তৎসমতায় প্রণোদিত
. আমার সময়
কতকাল পেরোলে নিশ্চয়তা
. কতদিন ধরে বাঁচা?
প্রতিটি অক্ষর আঙুল ডুবিয়ে আঁকা
তাও ভাল নয়-– কাঁটাছেরা
সম্পাদনার লালরঙ নয় রক্ত
. তবু সময় – সময়েরই ক্ষত
অবরোধে পুড়ে mausoleum হয়ে গেছে
. হাসপাতাল
আর উপদ্রুতরা সব মমি-–যন্ত্রণা ও ক্রোধে যার
চিৎকারটুকুও ব্যর্থ করে শূন্যতা
মৌনতার লাশ হয়ে যায়
কারন-
তৃতীয় মাত্রার আগুনে পুড়ে অগ্নিশর্মারা শব-
মারা যায় শুধু শ্বাসনালী পুড়ে…
. ৮।১২।১৩
কাঁটাতারের পাখি
আমাকে একটা আস্ত মানুষ
খুঁজে দেবে কেউ-–পূর্ণতা-–
তোমার ছায়াকে আমি অবয়ব দেব
আমার চোখে-–দৃষ্টি কোরকে
বিহবলতার যে পরিনাম লেখা
তাতে আগাপাশতলা জুটেছে
. অনেক মানুষ,
অনেক তবে আস্ত নয় কেউ–
দৃশ্যত দিশেহারা হলে
যেমন ওঙ্কারে ডুকরে উঠে
. জানান দেয় হারানো মানুষ
আমি তার ত্রাহিকালের একলা দোসর।
সে তো সময় নয়– ঘড়ি পরিমণ্ডলে
. টিক টিক পেন্টা মিটার
বুকে হাত দিয়ে দেখো
. একই beat- এমনি জীবন,
আমি কি তবে সময়কে করেছি ধারন
নাকি নস্যাত করে সকল পেন্ডুলাম
সৃষ্টি করছি নতুন দোলাচল
অথবা টানা পোড়েনের ঠাশ বুনটে
. গ্রহন ঘোরের নকশা-
কোন grand design নয় মানবিকতা
Segmented সমাসগুলোর
ব্যসবাক্য দীর্ঘ হয়ে গেলে
যাপন ভীষণ শ্রান্ত horizon
যেখানে পরিধি তার
. হারায় নাগাল,
যে তোমাকে নির্মাণ করে আমিই মাত্র
. ধ্বংস প্রাপ্তি রাখি–
কতটা বাড়ালে হাত বল তোমাকে ছোঁব ?
বিপুল ধ্বংসের পিঠে–
. ইটে ও কংক্রিটে
নিরেট মাথার মানুষেরা
আমাতে ভর দিয়ে চলে যায় পরিনামে
যখন আকাশকে কেউ রং শেখাচ্ছে
মেঘকে বলছে জল-–গোধূলির
গৈরিক বর্মে তখন আমি ভুল বিস্তারিত হলে
. ভুলে যাই প্রতিরোধ।
আমি জলের কার্নিশে বসে
কলসির তলানীতে পাথর ফেলা
. কাকের মতো তৃষ্ণার্ত হয়ে আছি–
একটা আস্ত মানুষ পেলে প্রশ্নতাম
বোধের কেমন অভিধা বা অবদমন যে
তোমাকে ছুঁয়ে নীরার কাছে যাওয়া
পাপ বলে মনে হয়–
আর পূন্য সঞ্চারিত প্রশ্নমালায়
আমিও কি আস্ত হতে গিয়ে
. নিজেই খর্ব হচ্ছিনা দিনদিন?
. ২৫।১২।’১৩
যোগফল শূন্য
আমি একটা কেউ
কেউ আমাকে নয় আমার মত
ও মতকে ভন্ডামি শেখায়
Ranting শব্দটি আমি নতুন জেনেছি
তারা হাওয়াই হমুমান সব
ফাকা লাফ দিচ্ছে গাঁদা ফুলের মালা পরে
আমি *অজ’তে লিখছি- যার পরিমণ্ডল
. আমার দুটো গন্তব্য
আসা যাওয়া বা চলে যাওয়ার পথে সর্বাত্মক অন্ধকার
যার ডিক্রি জারি হয়ে আছে আমার নামে
হুলিয়া-নুড়িপাথর ছড়ানো এক
পরত বিছানো পথ- চলে গেলে বাঁকে
. আমি হারায় যেতে পারি;
To get lost is a good emergence
If am the centre of a circle
যার পরিধি ধরে
. কাফকার মতো তেলাপোকা- শুধু
. অথর্ব না এমতো পার্থক্যে
আমি কামড়ে খেয়ে ফেলছি
দৈনন্দিন circumference
বিভেদ কইতে পারো বিবাগী
আমি যদি সংসারী হই
. তবে বৈরাগ্যের victim
আর বাণপ্রস্থে আছি বলে
সংসারী উপদ্রুত জোছনা
আমারে গৃহত্যগ করতে বলে;
আমি গৌতম থেকে সিদ্ধার্থ ফের
বুদ্ধ হয়ে এক জোছনায় অবরোধের মধ্যেও
. যুদ্ধে চলে যাবো,
পিছুটানের কাছে জবাবদিহির কি আছে বলোতো
better half ,- কতটা বেস্ট আমার
কতটা ছায়া? রৌদ্র কতদূর?
প্রখরতা যার পরিহাসক্লিস্ট বাস্তব-
বাস্তবতা – আমি তোমাকেই ছেড়ে যেতে
. গেলে ডিভোর্স হোয়ে যাবে,
এই কি সকল সংজ্ঞা?এর বেশি
আমি কি কম? আমি কি
. কেউ ছিলাম না?
. ২১।১২।১৩
কুয়াশা সকাল
আমিরা আছি অথবা নেই
শৈত্যে যে জড়তা থাকে
তাতে জমে যেতে যেতে মনে হয়
নিরেট আমারই কাণ্ডে আজ প্ললব নেই গাছে
খুব কাছে থেকে দেখা গন্ধ পাওয়ার মতন
বাসি ও বসতিময় বাস্তু
সংবেদন ও তৎপরতা নিয়ে তাই
দূরে চলে যাওয়া ভালো
কুয়াশা সকাল ভালো আলোক পূর্ব আড়ালে,
কেননা–
একি স্মৃতি খুব কাছে টানে-সন্ন্যাসে্র সন্নিধানে – পিছুটানের ইন্ধনে
বখে যাওয়া কিশোরের গোপন যৌবন যেন
বাহ্যত প্লেটোনিক ইশতেহার- পড়ে দেখ
আমার না জানা কথাগুলো – একটু পড়েই কিন্তু সূর্য উঠে যাবে
. 3.1.14
স্বাধীনতার খাঁচা
স্বগতোক্তিতে তুমি সক্রেটিস-– প্রতিদিন যায়
হেমলক পান কর-– বেঁচে থাকো-
বাতাসে রেখার গন্ধ ছান্দসিক তাপমা্নতা
তোমাতে জটিল সমাস হয়ে আসে
যাতে অঙ্ক হয়-বিশুদ্ধ logic,
তারপর শুধু ভাগ নয় গুনে যোগে ফলাফল
উম্মাদ হয়ে উঠে তোমার গনিতে
আশা করি সংশয় বোঝো- ধৃষ্টতা
হলে সই-– মাত্রার চালাক চালে
জিতে গেছো খেলা-এত যদি পারদর্শী
তবে কেন যাপনের সন্নিধানে ভয় পাও
নিশ্চিতার কাছাকাছি থাকো,
আমি Mayhem এ হুঁশ হয়ে আছি
এদিকে bedlam বেঁধে গ্যাছে আদালতে,
জনে জনে জেনে নাও
ঘরে বশে মদ খাও যতক্ষণ না
বমি হচ্ছে post modern trauma
অথবা-
দেখার দশম আঙ্গিকে
অন্ধ হয়ে যাওয়া;
যাই, তবে প্রোকষ্টে লুকনো নিজের ভেতর
যাই – এর বেশি থাকা না থাকার মতো বলে
যাই- মুখোমুখি হোতে সম্মুখে– অবদমনে–
আমি মাত্রা ছেড়ে বহুকাল–
তিলে তিলে তৈরি করেছি শূন্যতা
দেখে যাও তিলের ফোড়ণে কতটা ঘ্রান আর
রুটিতে কি ক্ষুধা মেটে –আমি দেখতে পাচ্ছি তোমাকে–
অপারে অন্তহীন -আয়নাময়তায়–
. ৪।১।২০১৪