একগুচ্ছ কবিতা । সন্তর্পণ ভৌমিক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ অক্টোবর ২০১২, ১:১৯ অপরাহ্ণ, | ২৩৩১ বার পঠিত
দীর্ঘকাল বিব্রত আছি
কেননা বিব্রত বোধ করি অবচেতনের পৃথিবী খুব কাছে এলে
মরসুমি অন্ধকার দূর ও ভাতঘুমে আমাকে গ্রস্ত করে বিকেল অবধি
আর আমি শীতার্ত, উবু হওয়া কাকের চেয়ে প্রকটতর অনুচ্চ হয়ে
প্রার্থীতার ’হেইও’ দেখি, যে হাসে আভঙ্গ মূর্তির কৃত অনুচ্ছেদে
প্রণমহি, মাতৃ ও ঘাসের ঘুমে এখনো শেষঅংকের দৃশ্য বাকি আছে
আমি আপোষে ও ঝোড়ো হাওয়ায় ঋণজব্দ কবির নিকট
অলসে অভ্যাসে দ্রুতঘন পঙ্ক্তির জটিলতর উপাদেয় হয়ে
লম্বা ঘুম দিই, আর ঘুম ভাঙে সম্ভবের পদস্খলনে।
প্রলয়, প্রলয়তর
আবারো প্রলয় হবে এই ভাবনায় ধুলোমৃত্যু ঝাড়তে থাকি
এমন নিখুঁত বলো কার সাধ্যি বাতাসেরও ফিসফাস নেই
জোর হাততালি দেবে তুমি ওই মায়া ও মোহের আস্তিনে
এমন ঘটবে বলে অঘটন লেগেই থাকে আমাদের হাতে ও পায়ে
অতঃপর, বিষাদে পূর্ব-পূর্বপুরুষেরা রঙের টহল দেখে দেখে
অপার আনন্দের মাঝে বিষের বিণতিগুলো বিষগুল্মের মতো
এপাড়ায় ওপাড়ায় মৃতগর্ভ প্রসূতির আশীর্বাদ স্বরূপ
অনেক নৃত্যেকৃত্যে আরও বীভৎস হলো রঙমাটিবিভ্রান্তির স্থাপী প্রলয়ে।
রঙ ও রঙিন
যে রঙে আছিল দুঃখ তারে নিয়া সহসা ডুবি
চুপিসারে ছদ্মবেশে যেই না ষোড়শী দেহ বিক্রি হবে শুরু
আমার অন্ত্যজ মূল স্থূল ও নষ্ট দেখে ভীত ও কাতর হলো সেই
আমিও বিরূপ হলাম, বিরূপে সংযত নই-কেননা প্রভেদ নেই রক্ত ও জলে
নিথর ও অনুচ্চারিত যে জঘনে চিহ্ন রেখে আসি
সমগ্র হাওয়ার ব্যেপে ধর্ম ও ধার্মিকেরা তাহাতে সন্তষ্ট হলো
মর্ষ ও ধর্ষকামে, এবং পরম্পরায় আমিও সংযোজী হলে
তাহারা সংযত কিন্তু, রক্ত বা ভ্রূণে নয়, অন্তর্বাসের রঙে।