রেট্রোস্পেকটিভ । তুহিন দাস
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১২, ১২:৪৮ পূর্বাহ্ণ, | ২৭৫৩ বার পঠিত
আমাদের শিশুমণি হাসছে বোরোপাতার খসখসে পোশাকে
উৎসবে প্লাস্টিক ফুল—কফির কাপ ফুঁইয়ে নিভানো রক্তের তাপ,
রাস্তায় খাদে পড়ে কোয়া কোয়া কাঁপছে ঠোঁট—সিসমোগ্রাফ!
ক্ষত ডুবে যায় ক্ষতে, ব্যথানাশক স্প্রে—মৌতাতে—
বসুন্ধরা মা আমার চাঁদের ঝাড়ুতে অন্ধকার আলো সম্প্রদানে
উচ্ছ্বসিত অবগত হলে—পরম ঢেউয়ে ভাসি—উজান না ভাটি
তা কী বা জানি! জ্ঞানমতে : একটাই পথ খোলা—
জন্ম ও মৃত্যুর মসান্তরাল পথে সুরেলা সুতোয় পা রেখে চলা ।
২
আহা বাছা ছন্দ নেই! হায়-হুতাশ! কোথায় বলো দ্বন্দ্ব নেই?
স্বপ্নে ধন্ধ নেই? পূর্ণবৃত্তে খণ্ড নেই? পুঁইমাচানে শাক লতানো
বন্ধ নেই । শুধুমাত্র ছন্দ নেই? শালবনে? গন্ধ নেই?
আমার সবই ভাষার গোঙানি—তবু দাগি খানা/খন্দ নেই
৪
ধোঁয়ার স্তূপের মত আত্মার ভাঁজপত্রে, এই যে এক পৃষ্ঠায়
এঁকে দিচ্ছি ধূম, মেখে দিচ্ছি চিত্রছাপ—সর্ষেভূত—আমি
গিলে খেতে পারি ক্ষুদ্র কীট, আস্ত বেজন্মা শহর, দেয়াশলাই বাক্সে
বন্দি আশীতিপর ইতিহাস—স্পুনে গাঁথা স্বর্ণবোয়াল ।
ফেরিওয়ালার সাঁঝি উপচানো শৈশবস্মৃতি কৈশোরভাঙারি—
আমার পরাভূত পাখিভরতি প্রাণ প্রচণ্ড উষ্মাময়—অঘোরগ্রস্ত । আমি?
গন্দম বৃক্ষের ক্ষেত হতে পাগলা ঘন্টা বাজাতে বাজাতে ধ্বস্ত
শহরে ধাবমান ঘূর্ণিঝড়—জন্মায়ুহীন রুদ্রকালী শরীর ।