কয়েকটিশব্দেরছায়া । আহমদ সায়েম
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ জুলাই ২০১২, ৮:১৮ অপরাহ্ণ, | ২১৪১ বার পঠিত
ক
কোথাও শব্দ হচ্ছে শব্দ হচ্ছে কোথাও
পুড়ছে এমন শব্দ গন্ধ হচ্ছে খুব
তৃপ্তি নিয়ে বলা যায়
গতকাল রাতের শরীরে ছিলো বৃষ্টির গন্ধ
স্বপ্ন ছিলো এবার বৃক্ষে ফসল না এলেও তার
গন্ধ ও ছায়ায় শুনা হবে উজ্জ্বল সংগীত…
রূপসী ছায়ার সাথে নেবো সহজ চুক্তি
আমার হলুদ
দিনগুলি নদীর নীরব উজ্জ্বলতায়
নিমগ্ন করে দিও
আর বলো সময়ের চোখ এখনো শূন্যতায় তৃপ্তি খোঁজে…
আহ…শব্দ হচ্ছে…গন্ধ হচ্ছে খুব…
খ
হাত বাড়িয়ে বল্লে সরল পথ, আমি শব্দ খুঁজি, আওয়াজ শুনি
পথ ও ছায়ার…
যে শব্দে নিষিদ্ধ ছিল পেশল আর মিষ্টি সব বাসনা
পথের ধারে গাড়ির শব্দ শুনো…বুঝতে পারলে কিছু
অনেক সময় গড়িয়েছে,
ভুলগুলোও মিথ্যে, সন্ধ্যায় যে গন্ধ নিয়ে রচনা দিয়েছিলে
ওখানে এখন অনেক শব্দ–ছায়াদের
ভাষা ছিল, সূক্ষ্ম ছিল তাদের দৃষ্টি ও ঘুমের প্রকাশ
অথচ এখন–আকাশ ছুঁয়ে ধুলোর মেলা
গ
কিছু গৌণ কথা নিয়ে খেলা করো আকাশ পাতাল
প্রকৃতি অনিবার জানলে হয়ত কিছু দীপ্তি পেতে
অথচ বাগানে অন্য সুর–
ডানার শব্দ শুনে মনে হয় অর্চনা নেবে…
যদি অমৃত কোন ছায়া না আসে, আরো নির্মম দেখি পথের রেখা
তবে নষ্ট হোক মুখরতা, সকল সুস্মিত আর কৌশল…
একবার দেখ–মেঘের ধারে বসে তোমার হাত দেখ
কীরকম নানা রঙের প্রজাপতিরা খেলা করছে দুপুর জুড়ে
কেউ রঙ দেখে র্নিমাণ করছে তার স্বপ্ন
কেউ নিজের ডানায় লিখে রাখছে বিকৃত সমাজ, আর তুমি
নতুন করে কৌশল আঁকছো লাল ও সবুজের…
ঘ
যেন ভিন্ন সুর
ভোরের আলো জানিয়ে দেয় নতুন এক দিনের সূচনা
সূচীত হচ্ছে জ্ঞান, শিশুটি প্রশ্ন করে
–মাঠের মধ্যে একটাই বল কেন,বৃষ্টি
কোথা থেকে আসে, পাখিটা শব্দ করে কেন…
অপরাধীর দৃষ্টিতে তাকানো ছাড়া অন্য জ্ঞান নেই
যে কয়টি মেঘ জমিয়েছি তাকে বলি, তোমার সবগুলো গন্ধ শিশুটি
জানে, তার রয়েছে ভিন্ন সুর ও স্বপ্ন
তাই শিরদাঁড় শক্ত করে সমুখে তুলে ধরি
কয়েকটি শাদা শাদা বৃক্ষ তার দৃষ্টিতে রাখি
চুপ চাপ মুদ্রিত হচ্ছে নিদ্রা, বৃষ্টি ও লুকোনো পাথরের দৃশ্য
কিছু গন্ধ তুলে রাখি শূন্যে, ভোরের আলোয় লিখে রাখি
সূচিত দিন ও সূর্যের দীর্ঘকণ্ঠ…
ঙ
ক্লান্তিতে হাত খুলে দেই, তুমি আর স্বপ্ন নিলে না
বল্লে- শুয়ার রুমে আগুন ছিল ভোরে, অথচ তুমি বিশ্বাস
কর প্রজাপতি রঙ আর বৃষ্টির ফুটা
তুমি বল্লে এখন আমার প্রছন্দ রক্ত রঙ
গণধর্ষণ, গণকবর ও পছন্দ হয় মাঝে মধ্যে…
একবার একজন বল্ল-কুয়াশায় নদীর জল গোনার ইচ্ছে তার
যে মেয়েটি রিকশা করে যাচ্ছে নদীপথ তার পছন্দ ছিলো
লাল ঘুড়িটা উড়িয়ে আকাশ মাতাবে
একদিন সবাইকে সে বলেছিল…আহ
কোনো কুয়াশা বা সংকেত হবেনা এমন একটা ভাষার রূপ দেবে সে
আমাদের লাল ঈশ্বর ও বিষাক্ত সাপের দৌড় হবে ঠাণ্ডা শূন্যতায়
আর ভাঙনের শব্দ অনেকের প্রিয় একটি মূহূর্ত…
না– আজ ভোরের ছায়ায় তুলে রাখব চুম্বনের কয়েকটি শরীর
আর ক্লান্তিতে নেব ঈশ্বরের মেঘ মন্ত্র
চ
যার সাথে চেনাশোনা ভালো
তার এক বন্ধু-নাম নিলো
বহ্নি
অভিনবত্ব ছিলো তার ছায়ায়, তার উদ্বেগ আর
শাদা রঙের মানে দিত-আতঙ্ক
অমাবস্যা রাতের নিচে জলের যে প্রবাহ তার
ভাষা ও প্রকাশ জানে ফেরিওয়ালার কুমারি মেয়ে
দীর্ঘ বালুচর…
ধূলিখেলা ছাড়া অন্য কোনো কথা হয়নি তাদের
তবু পা বাড়ায়-নদীর জলে অংক হবে এবার
যৌথখামার হবে নতুন সুরে…
পরে যুবকটি অন্য অর্থ নিয়েছে তার ছায়ার
কুড়ানো শখ কুড়ানো গন্ধ তার গায়ে…
আর সকল ঠাণ্ডা শব্দের অর্থ দিত সে ‘আতঙ্ক’
ছ
রাতের কাছে কৌশল নেব তাই পণ করে তার কোল ঘেষে বসি
দৃষ্টি শক্ত করি, ভাবি উড়ন্ত শৈশব…
মনে আনতে চেষ্টা করি অবৈধ শাসনের শেষবাক্য
দেখা হয়–সন্ধ্যায় যে তীব্র নগ্ন রূপ ছিলো তা এখন নিয়তি
তবু কৌশল বুঝি না, কোথাও ভুল হচ্ছে…
কীর্তি নিয়ে অক্ষমতা বলি–তবো কোনো চিহ্ন নেই, পাঠ নেই
একবার এক যুবক তার হাত দেখিয়ে বলেছিলো
সর্দিকাশি হলে দরজায় তালা দিয়ে বসবেন, আর পুরুষদের
জানিয়ে রাখেন বুদ্ধের মৃত্যু হবে আমার হাতে
জ
রোদ বৃষ্টি যাই হোক হাত মন্ত্র ছিল আকাশ ছোঁয়া খেলা
আকাশটাও মাতাল ছিলো তখন
ঘরের বাইরে কুয়াশা ছিলো কি না তা এখন
মনে না থাকিলেও
ফের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল প্রবাহিত সব চিৎকার, আর
তোমার আর্তনাদ যা দিয়ে তুমি পুরুষ হয়েছিলে, তখন
যে কোনো মেয়ে মানুষ ছিলো না এইটুকু মনে আছে
ফুলের গন্ধ আর চিৎকারে প্রবাহিত হল কতো বছর
তবু হাত মন্ত্র আর নিরান্নবই এক অন্য রকম অন্তর্বহুল দৃশ্য ছিল